ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

15380466_1096560590441134_8718471326966597518_nসমীকরণ ডেস্ক: ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর পঙতির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করেছে তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। বুধবার ভোর থেকে দিনভর লাখো মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ঢেকে যায় তাদের স্মরণে গড়া স্মৃতির মিনার। সকাল ৭টার দিকে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। একইভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেন। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক, যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, চিফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোটেক ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনসহ অন্যান্য নেতা ও সংসদ সদস্যগণ। পরে জনসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেয়া হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্ত পেরিয়ে বাঙালি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আল-বদর, আল-শামস। তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে হত্যা করা হয় তাদের। বুদ্ধিজীবী হত্যার স্থানটি পরে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি পায়, যেখানে তাদের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত হয় ‘বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।
আমাদের শহর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় শহীদ হাসান চত্বরের শহীদবেদীতে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন। এরপর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যান শহীদ বেদীতে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজের উদ্দ্যোগে কলেজ চত্ত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন রফিকুল হাসান, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপধ্যক্ষ অজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দর্শনা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম সবুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, হুমায়ুন কবির। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু। উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজসহ ছাত্রলীগের লোমান, রিপন, মিল্লাত, প্রভাত, আলম, মোহাম্মদ, ইমন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভগের প্রভাষক আশরাফুল আলম।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় জীবননগরেও শহীদ বুদ্ধীজীবী দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় থানা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ১৪ই ডিসেম্বার শহীদ বুদ্ধীজীবী দিবস উপলক্ষে জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের আয়োজনে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  জীবননগর  উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজার সভাপতিত্বে শহীদ বুদ্ধীজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মুন্সী নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার মাস্টার, জাকির হোসেন বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার, ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন রনি, রিংকু, নাজমুল, শুভ, জাহাঙ্গীর, দ্বীপ, সাগর, রাসেল প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মুন্সী নাসির উদ্দিন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক  কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদ হাসান খান আলো, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন প্রমূখ।
মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে স্মৃতি সৌধে পুস্পম্যাল্য অর্পন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ স্মৃতিসৌধে পৃথক পৃথক পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। গতকল বুধবার সকালে প্রথমে পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং পরে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময় পৌর সচিব তৌফিকুল আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তহমিনা খাতুন স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ছফুরা খাতুনসহ নেত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, মেহেরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। গতকাল বুধবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বড়বাজার মোড় প্রদক্ষিন শেষে একই সড়ক হয়ে শহেরর কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে নেতাকর্মীরা পুস্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ দলের নেতা-কর্মী কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
গাংনী অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনীতে শহিদ বুদ্ধি জীবি দিবস উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্বলন র‌্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যারাতে কাথুলী মোড় থেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে একটি র‌্যালী বের করে গাংনী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার মধ্যেদিয়ে শেষ হয়। পরে গাংনী উপজেলা অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান, বিশিষ্ট কথা সাহ্যিতিক রফিকুর রশিদ রিজভী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম, মেহেরপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মুরাদ হোসেন, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রমজান আলী, প্রভাষক আবু সায়েম পল্টু, রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, সালাউদ্দীন আহম্মেদ, ওয়ার্কাস পাটির আবুল হাসেম, জাসদের ওমর আলী প্রমূখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে  অভিনয়, গান ও কবিতা আবৃত্তি  করেন সাইদুর রহমান সাবু, ডরিন, শাহিন, ফিরোজ, বাপ্পি, টুটুল, লিনজা ও স্বরনাসহ একদল তরুন-তরুনী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

15380466_1096560590441134_8718471326966597518_nসমীকরণ ডেস্ক: ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর পঙতির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করেছে তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। বুধবার ভোর থেকে দিনভর লাখো মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ঢেকে যায় তাদের স্মরণে গড়া স্মৃতির মিনার। সকাল ৭টার দিকে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। একইভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেন। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক, যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, চিফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোটেক ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনসহ অন্যান্য নেতা ও সংসদ সদস্যগণ। পরে জনসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেয়া হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্ত পেরিয়ে বাঙালি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আল-বদর, আল-শামস। তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে হত্যা করা হয় তাদের। বুদ্ধিজীবী হত্যার স্থানটি পরে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি পায়, যেখানে তাদের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত হয় ‘বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।
আমাদের শহর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় শহীদ হাসান চত্বরের শহীদবেদীতে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন। এরপর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যান শহীদ বেদীতে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজের উদ্দ্যোগে কলেজ চত্ত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন রফিকুল হাসান, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপধ্যক্ষ অজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দর্শনা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম সবুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, হুমায়ুন কবির। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু। উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজসহ ছাত্রলীগের লোমান, রিপন, মিল্লাত, প্রভাত, আলম, মোহাম্মদ, ইমন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভগের প্রভাষক আশরাফুল আলম।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় জীবননগরেও শহীদ বুদ্ধীজীবী দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় থানা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ১৪ই ডিসেম্বার শহীদ বুদ্ধীজীবী দিবস উপলক্ষে জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের আয়োজনে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  জীবননগর  উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজার সভাপতিত্বে শহীদ বুদ্ধীজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মুন্সী নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার মাস্টার, জাকির হোসেন বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার, ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন রনি, রিংকু, নাজমুল, শুভ, জাহাঙ্গীর, দ্বীপ, সাগর, রাসেল প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মুন্সী নাসির উদ্দিন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক  কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদ হাসান খান আলো, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন প্রমূখ।
মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে স্মৃতি সৌধে পুস্পম্যাল্য অর্পন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ স্মৃতিসৌধে পৃথক পৃথক পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। গতকল বুধবার সকালে প্রথমে পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু শহীদ সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং পরে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময় পৌর সচিব তৌফিকুল আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তহমিনা খাতুন স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ছফুরা খাতুনসহ নেত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, মেহেরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। গতকাল বুধবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বড়বাজার মোড় প্রদক্ষিন শেষে একই সড়ক হয়ে শহেরর কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে নেতাকর্মীরা পুস্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ দলের নেতা-কর্মী কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
গাংনী অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনীতে শহিদ বুদ্ধি জীবি দিবস উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্বলন র‌্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যারাতে কাথুলী মোড় থেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে একটি র‌্যালী বের করে গাংনী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার মধ্যেদিয়ে শেষ হয়। পরে গাংনী উপজেলা অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান, বিশিষ্ট কথা সাহ্যিতিক রফিকুর রশিদ রিজভী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম, মেহেরপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মুরাদ হোসেন, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রমজান আলী, প্রভাষক আবু সায়েম পল্টু, রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, সালাউদ্দীন আহম্মেদ, ওয়ার্কাস পাটির আবুল হাসেম, জাসদের ওমর আলী প্রমূখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে  অভিনয়, গান ও কবিতা আবৃত্তি  করেন সাইদুর রহমান সাবু, ডরিন, শাহিন, ফিরোজ, বাপ্পি, টুটুল, লিনজা ও স্বরনাসহ একদল তরুন-তরুনী।