ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা উপেক্ষা
বিশেষ প্রতিবেদক:
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে সকল প্রকার কোচিং, প্রাইভেট, ব্যাচ এবং টিউশনি বন্ধে সরকার কর্তৃক কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে কোচিং, প্রাইভেট ও ব্যাচ পরিচালনা করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমাণ্যকারী শিক্ষক/মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস ও আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ এলাকার নলেজ টিচিং হোমের পরিচালক জহির উদ্দীন ও সিএন্ডবি পাড়ার ম্যান্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দু’জনকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এমন অবৈধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারীও দেয়া হয়।
এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। অপর এক শিক্ষকের কাছ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল রোববার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান মুন্সিগঞ্জ জেহালা বাজারে অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর রবিউল হকের প্রাইভেট কোচিং রুমে তালা লাগিয়ে কোচিং বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও কাচিকাটা গ্রামের ভাদুশাহার ছেলে মধুসুধন (৪০) শিক্ষককে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। অপর প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুরসহ অন্য শিক্ষকরা পালিয়ে যায়। এ সময় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই জামালসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান

আপলোড টাইম : ১০:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা উপেক্ষা
বিশেষ প্রতিবেদক:
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে সকল প্রকার কোচিং, প্রাইভেট, ব্যাচ এবং টিউশনি বন্ধে সরকার কর্তৃক কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে কোচিং, প্রাইভেট ও ব্যাচ পরিচালনা করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমাণ্যকারী শিক্ষক/মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস ও আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ এলাকার নলেজ টিচিং হোমের পরিচালক জহির উদ্দীন ও সিএন্ডবি পাড়ার ম্যান্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দু’জনকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এমন অবৈধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারীও দেয়া হয়।
এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। অপর এক শিক্ষকের কাছ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল রোববার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান মুন্সিগঞ্জ জেহালা বাজারে অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর রবিউল হকের প্রাইভেট কোচিং রুমে তালা লাগিয়ে কোচিং বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও কাচিকাটা গ্রামের ভাদুশাহার ছেলে মধুসুধন (৪০) শিক্ষককে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। অপর প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুরসহ অন্য শিক্ষকরা পালিয়ে যায়। এ সময় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই জামালসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।