ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৪ ও মেহেরপুরে ৬৮ হাজার ৭১৬ শিশুকে খাওয়ানো হলো ভিটামিন এ ক্যাপসুল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে

অন্ধত্ব ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত
সমীকরণ ডেস্ক: দেশের ২ কোটি ২১ লাখ শিশুকে অন্ধত্ব ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন (দ্বিতীয় রাউন্ড) পালন করা হয়েছে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ও ২০ হাজার অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান।
এবার চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার তালিকাভুক্ত শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়। এতে জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৬ হাজার ৪০৭ শিশুকে নীল রঙের এ ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর জন্য আটউরিচ, স্থায়ী, অতিরিক্ত ও ভ্রাম্যমাণসহ ৯৬৫টি কেন্দ্রে ১১৩ জন প্রথম সারির তত্ত্বাবধায়ক এবং এক হাজার ৯৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন।

আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বেলা ৮টায় আলমডাঙ্গা পৌরসভায় সারা দেশের ন্যায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ সদর উদ্দিন ভোলা, প্যানেল মেয়র-২ জহুরুল ইসলাম স্বপন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আলী আজগর সাচ্চু, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন অর রশিদ হাসানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পৌর কর্মচারী আশরাফ আলী, মো. বিল্লাল হোসেন, খন্দকার খাইরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রানাসহ স্বাস্থ্য শাখার কর্মচারী ও পৌরসভার অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ। আলমডাঙ্গা পৌরসভার ২৪টি স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে, ৫টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ও ১১টি অতিরিক্ত কেন্দ্রের ৩টি মোবাইল টিমে ১৩০ জন সেচ্ছাসেবক পৌরসভার সকল কর্মচারীর মাধ্যেমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ও ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ৭০০১ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ক্যাম্পেইন পরিচালনায় পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।


দর্শনা অফিস জানিয়েছে, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিশ্যত। দেশের প্রত্যেকটি শিশুকে রক্ষনা বেক্ষন করা দেশ ও জাতির দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় দর্শনায় শিশুদের জন্য ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা হতে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৬ মাসের শিশু থেকে ৫৯ মাসের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। দর্শনা পৌরসভার টিকাদান সুপার ভাইজার আ. মজিদ জানান, পৌর এলাকার ২৯টি পয়েন্টে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ৬ থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ জন শিশু। এর মধ্যে ৩৮২ জন শিশু ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৫০ জান শিশু। তার মধ্যে ৩০৬৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওনো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত ৬ মাস হতে ৫৯ মাস পর্যন্ত শিশু ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেতে পারেনি। তাদের অভিভাবকরা শিশুদের পৌরসভায় নিয়ে এসে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর শিশুদের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় জীবননগর মেইন বাসষ্ঠ্রান্ডে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙ্গের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙ্গের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্বোধন করেন জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র সাইদুর রহমান, কাউন্সিলর আপিল উদ্দিন, হযরত আলী, আবুল কাশেম, মহিলা কাউন্সিলার বিউটি ও রিজিয়া খাতুন, পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর জামাল বিশ্বাসসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগন। এ বছর জীবননগর পৌর সভায় মোট ২৯টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট ছিল ৩৮৬ জন। এর মধ্যে খাওয়ানো হয়েছে ৩৭৫ জন শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়নোর টার্গেট ছিল ৩ হাজার ২০২ জন শিশুর এর মধ্যো খাওয়ানো হয় ৩ হাজার ১৫০ জন শিশুকে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পইনের (২য় রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে একটি শিশুকে ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামসুজ্জামান। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত জেলার ৯৮০ টি কেন্দ্রে ৬৮ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৭৯৩ জন শিশুকে নীল রংয়ের ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৯ হাজার ৭২৩ জন শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অলোক কুমার দাসসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৪ ও মেহেরপুরে ৬৮ হাজার ৭১৬ শিশুকে খাওয়ানো হলো ভিটামিন এ ক্যাপসুল

আপলোড টাইম : ০২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

অন্ধত্ব ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত
সমীকরণ ডেস্ক: দেশের ২ কোটি ২১ লাখ শিশুকে অন্ধত্ব ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন (দ্বিতীয় রাউন্ড) পালন করা হয়েছে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ও ২০ হাজার অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান।
এবার চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার তালিকাভুক্ত শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়। এতে জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৬ হাজার ৪০৭ শিশুকে নীল রঙের এ ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর জন্য আটউরিচ, স্থায়ী, অতিরিক্ত ও ভ্রাম্যমাণসহ ৯৬৫টি কেন্দ্রে ১১৩ জন প্রথম সারির তত্ত্বাবধায়ক এবং এক হাজার ৯৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন।

আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বেলা ৮টায় আলমডাঙ্গা পৌরসভায় সারা দেশের ন্যায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ সদর উদ্দিন ভোলা, প্যানেল মেয়র-২ জহুরুল ইসলাম স্বপন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আলী আজগর সাচ্চু, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন অর রশিদ হাসানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পৌর কর্মচারী আশরাফ আলী, মো. বিল্লাল হোসেন, খন্দকার খাইরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রানাসহ স্বাস্থ্য শাখার কর্মচারী ও পৌরসভার অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ। আলমডাঙ্গা পৌরসভার ২৪টি স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে, ৫টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ও ১১টি অতিরিক্ত কেন্দ্রের ৩টি মোবাইল টিমে ১৩০ জন সেচ্ছাসেবক পৌরসভার সকল কর্মচারীর মাধ্যেমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ও ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ৭০০১ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ক্যাম্পেইন পরিচালনায় পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।


দর্শনা অফিস জানিয়েছে, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিশ্যত। দেশের প্রত্যেকটি শিশুকে রক্ষনা বেক্ষন করা দেশ ও জাতির দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় দর্শনায় শিশুদের জন্য ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা হতে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৬ মাসের শিশু থেকে ৫৯ মাসের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। দর্শনা পৌরসভার টিকাদান সুপার ভাইজার আ. মজিদ জানান, পৌর এলাকার ২৯টি পয়েন্টে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ৬ থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ জন শিশু। এর মধ্যে ৩৮২ জন শিশু ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৫০ জান শিশু। তার মধ্যে ৩০৬৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওনো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত ৬ মাস হতে ৫৯ মাস পর্যন্ত শিশু ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেতে পারেনি। তাদের অভিভাবকরা শিশুদের পৌরসভায় নিয়ে এসে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর শিশুদের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় জীবননগর মেইন বাসষ্ঠ্রান্ডে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙ্গের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙ্গের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্বোধন করেন জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র সাইদুর রহমান, কাউন্সিলর আপিল উদ্দিন, হযরত আলী, আবুল কাশেম, মহিলা কাউন্সিলার বিউটি ও রিজিয়া খাতুন, পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর জামাল বিশ্বাসসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগন। এ বছর জীবননগর পৌর সভায় মোট ২৯টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট ছিল ৩৮৬ জন। এর মধ্যে খাওয়ানো হয়েছে ৩৭৫ জন শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়নোর টার্গেট ছিল ৩ হাজার ২০২ জন শিশুর এর মধ্যো খাওয়ানো হয় ৩ হাজার ১৫০ জন শিশুকে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পইনের (২য় রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে একটি শিশুকে ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামসুজ্জামান। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত জেলার ৯৮০ টি কেন্দ্রে ৬৮ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৭৯৩ জন শিশুকে নীল রংয়ের ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৯ হাজার ৭২৩ জন শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অলোক কুমার দাসসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা।