ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘতম উচুঁ ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পূরণ হতে চলেছে। এটি নির্মিত হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে। এর উচ্চতা হবে ১শ’ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করবেন ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া ও ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। এছাড়াও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক বক্তব্য দেন।


প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগটি শুনে খুবই ভালো লাগছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সব থেকে উঁচু ভাস্কর্য হলে সবাই দেখতে আসবে দুরদূরান্ত থেকে। প্রতিটি কাজের পেছনে অর্থের দরকার। ভালো কাজটি করার জন্য যতটুকু সামর্থ্য আছে করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের গর্বের ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ইতিহাসের তেমন কিছুই নেই। চট্টগ্রামে রাজউকের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্যটি রয়েছে সেটির উচ্চতা ৬৬ ফুট, বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে ভাস্কর্যটি রয়েছে তার উচ্চতা ৫৩.৫০ ফুট। চুয়াডাঙ্গায় ১০০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে যা হবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। এর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিচিত লাভ পাবে। এজন্য সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব চালু করা হবে। ওই হিসাবে সবাই টাকা জমা দিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, এটার জন্য কোন সরকারী বাজেট নাই। তাই সামর্থবান, বিত্তশালীসহ বিভিন্ন সংগঠনক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশা করি।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেন, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটি সাহসী উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শূন্য হাত নিয়ে শুরু করছেন সবার আন্তরিক ও অংশগ্রহণ দরকার। আমি ও আমার ডিপার্টেন্ট যথাসাধ্য সহযোগীতা করে পাশে থাকবে। যেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি চুয়াডাঙ্গাকে।
ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক বলেন- পাথর, খোঁয়া, ইট, রড ও সিমেন্টের কাজ হবে। এ কাজে পাঁচ মাস সময় লাগবে। দূর থেকে দেখা যাবে। আর্কিটেক্ট এর সম্ভাব্য বাজেট দিয়েছেন ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। শিল্পীর সম্মানী আলাদা। ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ ভাস্কর্য আমি করেছি। তবে ভাস্কর্যটি নির্মাণে কত টাকা ব্যয় হবে এটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াশীমুল বারী, দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান, আলমডাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান, জীবননগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সিব্বির আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আলোচনা সভা শেষে ভাস্কর্য নির্ধারিত স্থান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে পরিদর্শন করেন সবাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য

আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘতম উচুঁ ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পূরণ হতে চলেছে। এটি নির্মিত হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে। এর উচ্চতা হবে ১শ’ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করবেন ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া ও ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। এছাড়াও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক বক্তব্য দেন।


প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগটি শুনে খুবই ভালো লাগছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সব থেকে উঁচু ভাস্কর্য হলে সবাই দেখতে আসবে দুরদূরান্ত থেকে। প্রতিটি কাজের পেছনে অর্থের দরকার। ভালো কাজটি করার জন্য যতটুকু সামর্থ্য আছে করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের গর্বের ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ইতিহাসের তেমন কিছুই নেই। চট্টগ্রামে রাজউকের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্যটি রয়েছে সেটির উচ্চতা ৬৬ ফুট, বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে ভাস্কর্যটি রয়েছে তার উচ্চতা ৫৩.৫০ ফুট। চুয়াডাঙ্গায় ১০০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে যা হবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। এর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিচিত লাভ পাবে। এজন্য সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব চালু করা হবে। ওই হিসাবে সবাই টাকা জমা দিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, এটার জন্য কোন সরকারী বাজেট নাই। তাই সামর্থবান, বিত্তশালীসহ বিভিন্ন সংগঠনক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশা করি।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেন, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটি সাহসী উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শূন্য হাত নিয়ে শুরু করছেন সবার আন্তরিক ও অংশগ্রহণ দরকার। আমি ও আমার ডিপার্টেন্ট যথাসাধ্য সহযোগীতা করে পাশে থাকবে। যেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি চুয়াডাঙ্গাকে।
ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক বলেন- পাথর, খোঁয়া, ইট, রড ও সিমেন্টের কাজ হবে। এ কাজে পাঁচ মাস সময় লাগবে। দূর থেকে দেখা যাবে। আর্কিটেক্ট এর সম্ভাব্য বাজেট দিয়েছেন ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। শিল্পীর সম্মানী আলাদা। ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ ভাস্কর্য আমি করেছি। তবে ভাস্কর্যটি নির্মাণে কত টাকা ব্যয় হবে এটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াশীমুল বারী, দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান, আলমডাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান, জীবননগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সিব্বির আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আলোচনা সভা শেষে ভাস্কর্য নির্ধারিত স্থান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে পরিদর্শন করেন সবাই।