ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় স্বামী ও শাশুড়ির পিটুনিতে গৃহবধূ রক্তাক্ত জখম : হাসপাতালে ভর্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামী ও শাশুড়ির পিটুনিতে গুরুতর জখম হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি গ্রামের গৃহবধূ ছকিনা খাতুন। তাকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে স্বামী সুরুজ ও শাশুড়ি হাসিনা খাতুন। এতে অজ্ঞান হয়ে যায় ছকিনা। গতকাল রাত ৮টার দিকে ছকিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম ছকিনা খাতুন (২৮) সাতগাড়ি গ্রামের নতুনপাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দক্ষিন গোরস্থান পাড়ার মৃত আমীর আলী শেখের মেয়ে ছকিনা খাতুনের সাথে সাতগাড়ি এলাকার নতুন পাড়ার মৃত মুক্তার সর্দারের ছেলে সুরুজ আলীর ১০ বছর আগে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। ছকিনা খাতুন বলেন, আমি দেখতে কালো, তাই আমার শাশুড়ি আমাকে পছন্দ করতো না। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি হাসিনা খাতুন ও আমার স্বামী সামান্য বিষয় নিয়ে আমাকে মারধর করে। গতকাল রাতে আমার মেয়ে ঘুমানো নিয়ে আমার শাশুড়ি ও স্বামী চ্যালাকাঠ দিয়ে আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। খবর পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ছকিনা খাতুনের বোন বলেন, বিয়ের পর থেকেই ছকিনার স্বামী সুরুজ আলী, শাশুড়ি হাসিনা খাতুন, দুই দেবর সোহাগ ও রাসেল তাকে নির্যাতন করতো। এর আগেও অনেক নির্যাতন করেছে। কিছুদিন আগেও ছকিনা খাতুনকে নির্যাতনের জন্য বাড়ি নিয়ে আসি। পরে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যায় ছকিনা। এদিকে, আজ রাতে ওরা আবারও আমার বোনকে নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করেছে। আমার বোন এখন হাসপাতালে পড়ে আছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্বামী সুরুজ আলী বলেন, আমার আসলেই ভুল হয়ে গেছে। আমি রাতে বাসায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ে আমার মায়ের কাছে নেই। এ সময় আমার মা জানায়, আমার মেয়েকে ওর দাদীর কাছে যেতে নিষেধ করেছে আমার স্ত্রী ছকিনা। এই নিয়ে ছকিনার সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হলে সে আমার গলা টিপে ধরে। পরে আমি রেগে গিয়ে ওকে একাই মারধর করেছি। তবে আমার মা তাকে কোনদিনই মারধর করেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় স্বামী ও শাশুড়ির পিটুনিতে গৃহবধূ রক্তাক্ত জখম : হাসপাতালে ভর্তি

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামী ও শাশুড়ির পিটুনিতে গুরুতর জখম হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি গ্রামের গৃহবধূ ছকিনা খাতুন। তাকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে স্বামী সুরুজ ও শাশুড়ি হাসিনা খাতুন। এতে অজ্ঞান হয়ে যায় ছকিনা। গতকাল রাত ৮টার দিকে ছকিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম ছকিনা খাতুন (২৮) সাতগাড়ি গ্রামের নতুনপাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দক্ষিন গোরস্থান পাড়ার মৃত আমীর আলী শেখের মেয়ে ছকিনা খাতুনের সাথে সাতগাড়ি এলাকার নতুন পাড়ার মৃত মুক্তার সর্দারের ছেলে সুরুজ আলীর ১০ বছর আগে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। ছকিনা খাতুন বলেন, আমি দেখতে কালো, তাই আমার শাশুড়ি আমাকে পছন্দ করতো না। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি হাসিনা খাতুন ও আমার স্বামী সামান্য বিষয় নিয়ে আমাকে মারধর করে। গতকাল রাতে আমার মেয়ে ঘুমানো নিয়ে আমার শাশুড়ি ও স্বামী চ্যালাকাঠ দিয়ে আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। খবর পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ছকিনা খাতুনের বোন বলেন, বিয়ের পর থেকেই ছকিনার স্বামী সুরুজ আলী, শাশুড়ি হাসিনা খাতুন, দুই দেবর সোহাগ ও রাসেল তাকে নির্যাতন করতো। এর আগেও অনেক নির্যাতন করেছে। কিছুদিন আগেও ছকিনা খাতুনকে নির্যাতনের জন্য বাড়ি নিয়ে আসি। পরে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যায় ছকিনা। এদিকে, আজ রাতে ওরা আবারও আমার বোনকে নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করেছে। আমার বোন এখন হাসপাতালে পড়ে আছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্বামী সুরুজ আলী বলেন, আমার আসলেই ভুল হয়ে গেছে। আমি রাতে বাসায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ে আমার মায়ের কাছে নেই। এ সময় আমার মা জানায়, আমার মেয়েকে ওর দাদীর কাছে যেতে নিষেধ করেছে আমার স্ত্রী ছকিনা। এই নিয়ে ছকিনার সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হলে সে আমার গলা টিপে ধরে। পরে আমি রেগে গিয়ে ওকে একাই মারধর করেছি। তবে আমার মা তাকে কোনদিনই মারধর করেনি।