ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে ১৮ হাজার, মেহেরপুরে প্রায় ১১ হাজার প্রার্থী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন : ৩য় ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আজ
বিশেষ প্রতিবেদক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সব আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রশ্নফাঁস, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এর আগে ১ম ও ২য় ধাপের পরীক্ষায় বিভিন্ন জেলায় প্রশ্নফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। এসব ঘটনা এড়াতে এবার প্রশাসনের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা বাড়ানোসহ তারা আরও বেশি কৌশলী হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন রোধে লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্রে মুখ-কান ঢেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা আরম্ভের ৪৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে আনা যাবে না ঘড়ি, মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধায়নে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হয়। সকাল আটটায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। ১৫টি ভেন্যুর ১৬টি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাবেন ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় বা টপ শিটে থাকা গোলাকার বৃত্ত বলপেন দিয়ে ভরাট করে রোল নম্বর ও পরে সেট কোড নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্য থেকে বৃত্ত ভরাট করে সঠিক উত্তরটি দিতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ চারটি ভুল উত্তর দিলে কাটা যাবে একটি সঠিক উত্তরের পূর্ণ (এক) নম্বর।
কোন কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা: জেলার ১৮ হাজার ৬৬১ জন সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫টি ভেন্যুর ১৬টি কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাণিজ্য ভবন, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরস্থ সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপিঠ, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল ও দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ।
এদিকে জোর গুঞ্জন শোনা যায়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম সব কেন্দ্রপ্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছেন, উত্তরপত্রের সঙ্গে থাকা টপ শিট আলাদা না করে তা সংযুক্ত রেখেই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র জমা নিতে হবে। যা জেলা প্রশাসকের সামনে কাটা বা আলাদা করা হবে। এটি নাকি অনিয়ম রোধের একটি কৌশল! পরবর্তীতে এ নিয়ে পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় বলে জানা যায়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিতের পর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোন রেখে দেওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যথারীতি। অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্রে সংযুক্ত টপ শিট আলাদা করা হবে। তিনি আরও জানান, ১৬টি কেন্দ্রের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের জন্য ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরাই সরাসরি প্রশ্নপত্র নিয়ে যাবেন কেন্দ্রগুলোতে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে পোশাক ও অস্ত্রধারী পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও পরীক্ষা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজখবর রাখবেন। কোথাও কোনো গোলযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ১৮ হাজার ৬৬১ জন, মেহেরপুরের তিন উপজেলা থেকে ১০ হাজার ৮৮৮ জন এবং ঝিনাইদহের তিন উপজেলা (মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু) থেকে ১৮ হাজার ৫৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে ১৮ হাজার, মেহেরপুরে প্রায় ১১ হাজার প্রার্থী

আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন : ৩য় ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আজ
বিশেষ প্রতিবেদক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সব আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রশ্নফাঁস, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এর আগে ১ম ও ২য় ধাপের পরীক্ষায় বিভিন্ন জেলায় প্রশ্নফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। এসব ঘটনা এড়াতে এবার প্রশাসনের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা বাড়ানোসহ তারা আরও বেশি কৌশলী হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন রোধে লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্রে মুখ-কান ঢেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা আরম্ভের ৪৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে আনা যাবে না ঘড়ি, মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধায়নে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হয়। সকাল আটটায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। ১৫টি ভেন্যুর ১৬টি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাবেন ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় বা টপ শিটে থাকা গোলাকার বৃত্ত বলপেন দিয়ে ভরাট করে রোল নম্বর ও পরে সেট কোড নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্য থেকে বৃত্ত ভরাট করে সঠিক উত্তরটি দিতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ চারটি ভুল উত্তর দিলে কাটা যাবে একটি সঠিক উত্তরের পূর্ণ (এক) নম্বর।
কোন কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা: জেলার ১৮ হাজার ৬৬১ জন সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫টি ভেন্যুর ১৬টি কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাণিজ্য ভবন, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরস্থ সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপিঠ, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল ও দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ।
এদিকে জোর গুঞ্জন শোনা যায়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম সব কেন্দ্রপ্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছেন, উত্তরপত্রের সঙ্গে থাকা টপ শিট আলাদা না করে তা সংযুক্ত রেখেই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র জমা নিতে হবে। যা জেলা প্রশাসকের সামনে কাটা বা আলাদা করা হবে। এটি নাকি অনিয়ম রোধের একটি কৌশল! পরবর্তীতে এ নিয়ে পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় বলে জানা যায়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিতের পর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোন রেখে দেওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যথারীতি। অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্রে সংযুক্ত টপ শিট আলাদা করা হবে। তিনি আরও জানান, ১৬টি কেন্দ্রের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের জন্য ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরাই সরাসরি প্রশ্নপত্র নিয়ে যাবেন কেন্দ্রগুলোতে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে পোশাক ও অস্ত্রধারী পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও পরীক্ষা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজখবর রাখবেন। কোথাও কোনো গোলযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ১৮ হাজার ৬৬১ জন, মেহেরপুরের তিন উপজেলা থেকে ১০ হাজার ৮৮৮ জন এবং ঝিনাইদহের তিন উপজেলা (মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু) থেকে ১৮ হাজার ৫৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।