ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সম্পাদকসহ তিন জন কারাগারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশকসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  মামলা সূত্রে জানা যায়, পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে গত ৮মার্চ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। চাঁদার টাকা না দিলে পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপানোর ভয়ভীতিও দেখানো হয়। পরদিন রাত ৮টার দিকে চাঁদার টাকা আদায়ের সময় শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা শুভ নামে রতনের এক সহযোগীকে চাঁদার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় পালিয়ে রক্ষা পায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতনসহ অপর তিনজন। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় চাঁদাবাজি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৩। এ মামলার পর পরই গ্রেফতার এড়াতে চুয়াডাঙ্গা থেকে আত্মগোপন করেন সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর চাঁদাবাজির এই মামলায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতন সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এ ছাড়াও তার নামে আরো ১৫টি মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় সম্পাদকসহ তিন জন কারাগারে

আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশকসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  মামলা সূত্রে জানা যায়, পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে গত ৮মার্চ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। চাঁদার টাকা না দিলে পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপানোর ভয়ভীতিও দেখানো হয়। পরদিন রাত ৮টার দিকে চাঁদার টাকা আদায়ের সময় শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা শুভ নামে রতনের এক সহযোগীকে চাঁদার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় পালিয়ে রক্ষা পায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতনসহ অপর তিনজন। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় চাঁদাবাজি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৩। এ মামলার পর পরই গ্রেফতার এড়াতে চুয়াডাঙ্গা থেকে আত্মগোপন করেন সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর চাঁদাবাজির এই মামলায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতন সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এ ছাড়াও তার নামে আরো ১৫টি মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।