ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ধর্মীয় উৎসবের বিষয়টা খুবই স্পর্শ কাতর। তাই আমরা উৎসব উদযাপনের বিষয়ে কোন আইন প্রনয়ণ করছি না। তবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে পূজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি এবং ইলেক্ট্রিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার (বক্স সেট) ও গান বাজনা বাজানোর বিষয়ে একটু সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করছি। কথাগুলো গতকাল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক মতবিনিময় সভায় বললেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছূফী উল¬াহ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি, হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কুন্ডুসহ চুয়াডাঙ্গা ৪ উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ তোজাম্মেল হক, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার-ইন-চার্জ আকরাম হোসেন, জীবননগর থানার অফিসার-ইন-চার্জ লিয়াকত হোসেন, দামুড়হুদা থানার অফিসার-ইন-চার্জ আবু জিহাদ মো: ফখরুল খানসহ চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই উৎসবকে অপরাধীরা যাতে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালিত করতে না পারে, সেদিকে সকল পুলিশ সদস্যরা সচেতন থাকবেন বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়ীক দেশ, যাতে এই উৎসব সফল হয় এবং উৎসবের মধ্যদিয়ে শুরু করে পূনরায় উৎসবের মধ্যেই সমাপ্ত করা যায় তার জন্য চুয়াডাঙ্গা কাজ করে যাবে বলেও জানান অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। নিরাপত্তার সার্থে মন্ডপে আশা দর্শনার্থীদের পূজা মন্ডপে ব্যাগসহ অযথা কোন জিনিষপত্র না আনার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ছূফী উল¬াহ। উলে¬খ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪উপজেলায় মোট ৮৭টি মণ্ডপ। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী জেলাই সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ৪১, গুরত্বপূর্ণ ২৮ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১৭টি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১২টি, গুরত্বপূর্ণ ৮টি ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ৩টি ও ১টির বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। দামুড়হুদা উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১৩, গুরত্বপূর্ণ ৩ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ২টি। জীবননগর উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১১, গুরত্বপূর্ণ ৭ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১টি। আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ ৫, গুরত্বপূর্ণ ৯ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১১টি  মন্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৮:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ধর্মীয় উৎসবের বিষয়টা খুবই স্পর্শ কাতর। তাই আমরা উৎসব উদযাপনের বিষয়ে কোন আইন প্রনয়ণ করছি না। তবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে পূজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি এবং ইলেক্ট্রিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার (বক্স সেট) ও গান বাজনা বাজানোর বিষয়ে একটু সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করছি। কথাগুলো গতকাল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক মতবিনিময় সভায় বললেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছূফী উল¬াহ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি, হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কুন্ডুসহ চুয়াডাঙ্গা ৪ উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ তোজাম্মেল হক, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার-ইন-চার্জ আকরাম হোসেন, জীবননগর থানার অফিসার-ইন-চার্জ লিয়াকত হোসেন, দামুড়হুদা থানার অফিসার-ইন-চার্জ আবু জিহাদ মো: ফখরুল খানসহ চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই উৎসবকে অপরাধীরা যাতে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালিত করতে না পারে, সেদিকে সকল পুলিশ সদস্যরা সচেতন থাকবেন বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়ীক দেশ, যাতে এই উৎসব সফল হয় এবং উৎসবের মধ্যদিয়ে শুরু করে পূনরায় উৎসবের মধ্যেই সমাপ্ত করা যায় তার জন্য চুয়াডাঙ্গা কাজ করে যাবে বলেও জানান অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। নিরাপত্তার সার্থে মন্ডপে আশা দর্শনার্থীদের পূজা মন্ডপে ব্যাগসহ অযথা কোন জিনিষপত্র না আনার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ছূফী উল¬াহ। উলে¬খ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪উপজেলায় মোট ৮৭টি মণ্ডপ। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী জেলাই সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ৪১, গুরত্বপূর্ণ ২৮ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১৭টি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১২টি, গুরত্বপূর্ণ ৮টি ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ৩টি ও ১টির বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। দামুড়হুদা উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১৩, গুরত্বপূর্ণ ৩ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ২টি। জীবননগর উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ হচ্ছে ১১, গুরত্বপূর্ণ ৭ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১টি। আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাধারণ মণ্ডপ ৫, গুরত্বপূর্ণ ৯ ও অধিক গুরত্বপূর্ণ ১১টি  মন্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।