ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় লোকাল বালির অভাবে অনেক কাজ বন্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বালির অভাবে চুয়াডাঙ্গায় ব্যহত হচ্ছে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ গুটিয়ে চলে গেছে অন্তরালে। কেন কাজ থেমে আছে, কেনইবা ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন নির্মাধীন বাড়ি এবং ফার্মের কাজ হচ্ছে না। এবিষয়ে সাধারন মানুষ, বালি ব্যবসায়ী, ইট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিকদের জিজ্ঞাসা করলে তাদের সকলের জবাব, বালি পাওয়া যাচ্ছেনা তাই কাজ করতে পারছিনা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে চলছে পানির পাইপ লাইন বসানোর কাজ। শহরের অধিকাংশ জায়গায় পাইপ লাইনের অসমাপ্ত মাটির পরিখা বাড়িয়েছে জনগনের ভোগান্তি। কোন কোন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ মুখেই রয়েছে পাইপ লাইনের গভীর পরিখা। এ পরিখা আলগা ও অসমাপ্ত থাকায় পথচারি যেমন পারাপারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি পরিখার মাঝে পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাট দুর্ঘনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালি ব্যবসায়ী বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার অবকাঠামো, ব্রিজ, কালভাট, রাস্তা-ঘাট তৈরীর কাজে লোকাল বালির চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু আমরা বালি উত্তোলন করতে পারছিনা, তাই এসব উন্নয়নমুলক কাজে বালি সরবরাহ করতে পারছিনা।
জানা গেছে, মেহেরপুর মুজিবনগর থেকে চুয়াডাঙ্গার সিপি বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রধান সড়কের কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন, চুয়াডাঙ্গা বিএডসির ফুড গোডাউনের ঠিকাদার ঝিনাইদহের মাসুম, নীলমনিগঞ্জের নান্নু মিয়ার ইটভাটা, দশমাইলের মোতালেব মিয়ার ইটভাটাসহ সরকারী-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্টানের কাজ থেমে আছে বালির অভাবে বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সুমীরদিয়া পাড়ার এপেক্স ইটভাটার মালিক হাসান ইমাম বকুল বলেন, স্থানীয়ভাবে কোন বালি না পেয়ে কুষ্টিয়ার পাকশী থেকে বালি নিয়ে আসছি এবং পূর্বের ওর্ডার নেয়া ইট প্রস্তুত করছি। কারন লোকাল বালির অভাব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় লোকাল বালির অভাবে অনেক কাজ বন্ধ

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: বালির অভাবে চুয়াডাঙ্গায় ব্যহত হচ্ছে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ গুটিয়ে চলে গেছে অন্তরালে। কেন কাজ থেমে আছে, কেনইবা ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন নির্মাধীন বাড়ি এবং ফার্মের কাজ হচ্ছে না। এবিষয়ে সাধারন মানুষ, বালি ব্যবসায়ী, ইট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিকদের জিজ্ঞাসা করলে তাদের সকলের জবাব, বালি পাওয়া যাচ্ছেনা তাই কাজ করতে পারছিনা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে চলছে পানির পাইপ লাইন বসানোর কাজ। শহরের অধিকাংশ জায়গায় পাইপ লাইনের অসমাপ্ত মাটির পরিখা বাড়িয়েছে জনগনের ভোগান্তি। কোন কোন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ মুখেই রয়েছে পাইপ লাইনের গভীর পরিখা। এ পরিখা আলগা ও অসমাপ্ত থাকায় পথচারি যেমন পারাপারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি পরিখার মাঝে পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাট দুর্ঘনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালি ব্যবসায়ী বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার অবকাঠামো, ব্রিজ, কালভাট, রাস্তা-ঘাট তৈরীর কাজে লোকাল বালির চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু আমরা বালি উত্তোলন করতে পারছিনা, তাই এসব উন্নয়নমুলক কাজে বালি সরবরাহ করতে পারছিনা।
জানা গেছে, মেহেরপুর মুজিবনগর থেকে চুয়াডাঙ্গার সিপি বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রধান সড়কের কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন, চুয়াডাঙ্গা বিএডসির ফুড গোডাউনের ঠিকাদার ঝিনাইদহের মাসুম, নীলমনিগঞ্জের নান্নু মিয়ার ইটভাটা, দশমাইলের মোতালেব মিয়ার ইটভাটাসহ সরকারী-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্টানের কাজ থেমে আছে বালির অভাবে বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সুমীরদিয়া পাড়ার এপেক্স ইটভাটার মালিক হাসান ইমাম বকুল বলেন, স্থানীয়ভাবে কোন বালি না পেয়ে কুষ্টিয়ার পাকশী থেকে বালি নিয়ে আসছি এবং পূর্বের ওর্ডার নেয়া ইট প্রস্তুত করছি। কারন লোকাল বালির অভাব।