ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬০৮
সমীকরণ প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৮৪। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭ জন। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার। করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আছিয়া বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত আছিয়া বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯১০ জন। গতকাল নতুন শনাক্ত তিনজনের মধ্যে সদর উপজেলার একজন ও জীবননগরের দুজন রয়েছেন। জেলায় মোট শনাক্তের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ১৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৬০ জন, দামুড়হুদায় ৩৩০ জন ও জীবননগরে ২০৬ জন। গতকাল জেলায় আরও সাতজন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ জন।
জানা যায়, গত ১২ মে পরিবারের সদস্যরা আছিয়া বেগমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি ভর্তি রাখেন। ১৬ মে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১৭ মে তাঁর নমুনায় করোনা শনাক্ত হলে সেদিন রাতেই তাঁকে ইয়োলো-জোন থেকে আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে, গত বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনার মধ্যে ৩৪টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে তিনটি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয় ও বাকী ৩১টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিকে গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ২১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে। এনিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭৩টি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, আছিয়া বেগম জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ইয়োলো-জোনে ভর্তি হয়। পরে তাঁর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় ১৭ মে করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকালই আছিয়ার লাশ করোনা প্রটোকল মেনে তাঁর নিজ গ্রাম সরিষাডাঙ্গায় দাফন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৫৭৩টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ৩৪০টি, পজিটিভ ১ হাজার ৯১০টি। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৫৭ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৪ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ১৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৪৬ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ২ জন, দামুড়হুদায় ৫ জন ও জীবননগরে ১৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ২ জন ও আলমডাঙ্গায় ২ জন ও দামুড়হুদায় ৬ জনসহ ১০ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ১ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬০ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ জন, আলমডাঙ্গায় ১৬ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬০৮
সমীকরণ প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৮৪। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭ জন। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার। করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আছিয়া বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত আছিয়া বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯১০ জন। গতকাল নতুন শনাক্ত তিনজনের মধ্যে সদর উপজেলার একজন ও জীবননগরের দুজন রয়েছেন। জেলায় মোট শনাক্তের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ১৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৬০ জন, দামুড়হুদায় ৩৩০ জন ও জীবননগরে ২০৬ জন। গতকাল জেলায় আরও সাতজন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ জন।
জানা যায়, গত ১২ মে পরিবারের সদস্যরা আছিয়া বেগমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি ভর্তি রাখেন। ১৬ মে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১৭ মে তাঁর নমুনায় করোনা শনাক্ত হলে সেদিন রাতেই তাঁকে ইয়োলো-জোন থেকে আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে, গত বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনার মধ্যে ৩৪টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে তিনটি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয় ও বাকী ৩১টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিকে গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ২১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে। এনিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭৩টি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, আছিয়া বেগম জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ইয়োলো-জোনে ভর্তি হয়। পরে তাঁর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় ১৭ মে করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকালই আছিয়ার লাশ করোনা প্রটোকল মেনে তাঁর নিজ গ্রাম সরিষাডাঙ্গায় দাফন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৫৭৩টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ৩৪০টি, পজিটিভ ১ হাজার ৯১০টি। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৫৭ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৪ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ১৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৪৬ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ২ জন, দামুড়হুদায় ৫ জন ও জীবননগরে ১৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ২ জন ও আলমডাঙ্গায় ২ জন ও দামুড়হুদায় ৬ জনসহ ১০ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ১ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬০ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ জন, আলমডাঙ্গায় ১৬ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।