ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মিলল নয়নের লাশ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া থেকে পাখিভ্যানসহ কিশোর নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজের একদিন পর চুয়াডাঙ্গায় মিলল নয়ন (১২) নামের এক কিশোর পাখিভ্যান-চালকের লাশ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের গোলাম ফারুকের ফসলি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সদর-থানা পুলিশ। পুলিশের দাবি কিশোর নয়নকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়েই নয়নের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। গতকাল রাতেই কিশোর নয়নের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। নিহত নয়ন কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নিরিসিংহপুর গ্রামের মিঠু শাহ-এর ছেলে। এর আগে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদরের ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঠে শনিবার সকালে এলাকার কয়েকজন কৃষক ক্ষেতে কাজ করার সময় অজ্ঞাত একটি লাশ দেখতে পায়। এসময় তারা বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশটি একটি কিশোরের। তার পরনে ছিলো একটি সাদা টি-শার্ট ও লাল রঙের ট্রাউজার। পরে মৃতদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে ছবি দেখে রাতেই নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা তাকে তাদের সন্তান নয়ন বলে শনাক্ত করেন।


চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকাল ৯টায় খবর পেয়ে উপজেলার ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝামাঝি ডমপুলের গোলাম ফারুকের ফসলি জমি থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে নয়নকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে গতকালই নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথমে লাশটি অজ্ঞাত থাকলেও রাত ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা।
ওসি আরও জানান, ‘নয়ন পেশায় পাখিভ্যান চালক। গত শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে পাখিভ্যানসহ নিখোঁজ হয় সে। লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নয়নের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে আটকের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নিহত নয়নের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা ছিলো। পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা পৌছালে লাশটি তাদের নিকট হস্তান্তর করবে পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় মিলল নয়নের লাশ!

আপলোড টাইম : ১১:০০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

কুষ্টিয়া থেকে পাখিভ্যানসহ কিশোর নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজের একদিন পর চুয়াডাঙ্গায় মিলল নয়ন (১২) নামের এক কিশোর পাখিভ্যান-চালকের লাশ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের গোলাম ফারুকের ফসলি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সদর-থানা পুলিশ। পুলিশের দাবি কিশোর নয়নকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়েই নয়নের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। গতকাল রাতেই কিশোর নয়নের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। নিহত নয়ন কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নিরিসিংহপুর গ্রামের মিঠু শাহ-এর ছেলে। এর আগে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদরের ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঠে শনিবার সকালে এলাকার কয়েকজন কৃষক ক্ষেতে কাজ করার সময় অজ্ঞাত একটি লাশ দেখতে পায়। এসময় তারা বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশটি একটি কিশোরের। তার পরনে ছিলো একটি সাদা টি-শার্ট ও লাল রঙের ট্রাউজার। পরে মৃতদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে ছবি দেখে রাতেই নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা তাকে তাদের সন্তান নয়ন বলে শনাক্ত করেন।


চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকাল ৯টায় খবর পেয়ে উপজেলার ছোটশলুয়া-ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝামাঝি ডমপুলের গোলাম ফারুকের ফসলি জমি থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে নয়নকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে গতকালই নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথমে লাশটি অজ্ঞাত থাকলেও রাত ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা।
ওসি আরও জানান, ‘নয়ন পেশায় পাখিভ্যান চালক। গত শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে পাখিভ্যানসহ নিখোঁজ হয় সে। লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নয়নের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে আটকের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নিহত নয়নের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা ছিলো। পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা পৌছালে লাশটি তাদের নিকট হস্তান্তর করবে পুলিশ।