ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া এসআইসহ সহযোগী গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের এসআই পরিচয়দানকারী এক প্রতারকসহ তাঁর সহযোগীকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট চত্বর থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাঁদের এক সহযোগী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশ বাদী হয়ে ওই প্রতারকদের নামে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার প্রতারণার মাস্টার মাইন্ড কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়ি গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে হিমেল (২৭) ও তাঁর অপর সহযোগী হোটেল রয়েল ব্লু’র কর্মচারী আলমডাঙ্গা থানার রামনগর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে নাজমুল হুদা (২১)।
সদর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদাহ মানিকদিহি পাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের স্ত্রী রশিদা খাতুনের জামাই খোকন (৩২) আলমডাঙ্গা থানার একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি বর্তমানে যশোর জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। প্রতারক ভুয়া এসআই সোহেল রানা ও তাঁর সহযোগী গত ১৭ এপ্রিল রশিদা খাতুনের বাড়ি যান। ওই সময় রশিদাকে বলেন দেশে করোনার কারণে আপনার জামাইয়ের সাজ মাফ করেছে সরকার। তাঁকে জামিন করতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। দীর্ঘদিন পর জামাইয়ের জমিনের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান রশিদা। প্রস্তাব অনুযায়ী পর দিন ১৮ এপ্রিল ওই প্রতারকদের ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকি টাকা গতকাল দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে ওই প্রতারকদের আচরণে সন্দেহ হলে রশিদা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানান। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও জানা যায়, গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসে প্রতারক সোহেল রানা। চুয়াডাঙ্গায় রয়েল ব্লু হোটেলে রুম ভাড়া নের তিনি। হোটেলে থাকাকালীন ওই হোটেলের কর্মচারী নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় নিজেদেরকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত তিনটি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে চক্রটি। তাঁদেরকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানায় সদর থানার পুলিশ।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার বিষয়ে খবর পেয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এ ধরণের প্রতারক, চাঁদাবাজদের বিষয়ে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে সতর্ক হতে হবে। যদি কেউ এ ধরনের অনৈতিক টাকা-পয়সা দাবি করে, সাথে সাথে নিকটবর্তী থানাতে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া এসআইসহ সহযোগী গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের এসআই পরিচয়দানকারী এক প্রতারকসহ তাঁর সহযোগীকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট চত্বর থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাঁদের এক সহযোগী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশ বাদী হয়ে ওই প্রতারকদের নামে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার প্রতারণার মাস্টার মাইন্ড কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়ি গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে হিমেল (২৭) ও তাঁর অপর সহযোগী হোটেল রয়েল ব্লু’র কর্মচারী আলমডাঙ্গা থানার রামনগর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে নাজমুল হুদা (২১)।
সদর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদাহ মানিকদিহি পাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের স্ত্রী রশিদা খাতুনের জামাই খোকন (৩২) আলমডাঙ্গা থানার একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি বর্তমানে যশোর জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। প্রতারক ভুয়া এসআই সোহেল রানা ও তাঁর সহযোগী গত ১৭ এপ্রিল রশিদা খাতুনের বাড়ি যান। ওই সময় রশিদাকে বলেন দেশে করোনার কারণে আপনার জামাইয়ের সাজ মাফ করেছে সরকার। তাঁকে জামিন করতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। দীর্ঘদিন পর জামাইয়ের জমিনের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান রশিদা। প্রস্তাব অনুযায়ী পর দিন ১৮ এপ্রিল ওই প্রতারকদের ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকি টাকা গতকাল দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে ওই প্রতারকদের আচরণে সন্দেহ হলে রশিদা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানান। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও জানা যায়, গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসে প্রতারক সোহেল রানা। চুয়াডাঙ্গায় রয়েল ব্লু হোটেলে রুম ভাড়া নের তিনি। হোটেলে থাকাকালীন ওই হোটেলের কর্মচারী নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় নিজেদেরকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত তিনটি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে চক্রটি। তাঁদেরকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানায় সদর থানার পুলিশ।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার বিষয়ে খবর পেয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এ ধরণের প্রতারক, চাঁদাবাজদের বিষয়ে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে সতর্ক হতে হবে। যদি কেউ এ ধরনের অনৈতিক টাকা-পয়সা দাবি করে, সাথে সাথে নিকটবর্তী থানাতে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।