ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত কেতুর দাফন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা বন্দুক যুদ্ধে নিহত কেতুর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহত কেতুর মরদেহ তার সৎ ভাই ইস্্রাফিল এর কাছে হস্তান্তর করে। গতকাল বাদ আসর নিজ গ্রাম আকুন্দবাড়িয়া গ্রাম্য কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। নিহত কেতু (৩৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়ার শওকতের ছেলে। উল্লেখ্য, কেতু পুলিশের তালিকাভুক্ত পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা) আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিতহ কেতুর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর জাকারিয়া সাধু হত্যাকান্ডসহ ৩টি হত্যা ও ২টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী কুখ্যাত চরমপন্থী কেতুকে গত সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে। সেখান থেকে তাকে চুয়াডাঙ্গায় সদর থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার সারাদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তার হেফাজতে রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বের হয়। পুলিশের দলটি কেতুকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া কানাপুকুর এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ১৫/১৬ জনের একদল অস্ত্রধারী পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় কেতু পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত কেতুর দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা বন্দুক যুদ্ধে নিহত কেতুর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহত কেতুর মরদেহ তার সৎ ভাই ইস্্রাফিল এর কাছে হস্তান্তর করে। গতকাল বাদ আসর নিজ গ্রাম আকুন্দবাড়িয়া গ্রাম্য কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। নিহত কেতু (৩৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়ার শওকতের ছেলে। উল্লেখ্য, কেতু পুলিশের তালিকাভুক্ত পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা) আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিতহ কেতুর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর জাকারিয়া সাধু হত্যাকান্ডসহ ৩টি হত্যা ও ২টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী কুখ্যাত চরমপন্থী কেতুকে গত সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে। সেখান থেকে তাকে চুয়াডাঙ্গায় সদর থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার সারাদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তার হেফাজতে রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বের হয়। পুলিশের দলটি কেতুকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া কানাপুকুর এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ১৫/১৬ জনের একদল অস্ত্রধারী পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় কেতু পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।