ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ধাপে ৩৬ হাজার মানুষ পাচ্ছে টিকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৮৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের টিকা, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রয়োগ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পৌঁছেছে মহামারির করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপের টিকা। গতকাল শুক্রবার সকালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড তাদের করোনার টিকাবাহী ফ্রিজিং গাড়ি এ তিন জেলার সিভিল সার্জনের নিকট টিকা হস্তান্তর করে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে করোনার টিকা প্রয়োগ।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট প্রথম ধাপে করোনাভাইরাসের ৩৬ হাজার ডোজ টিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করোনার টিকাবাহী ফ্রিজিং গাড়ি চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিস্ট্রিবিউশন) কামরুল আহসান চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসানের নিকট এ টিকা হস্তান্তর করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে
আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের ৩টি কার্টুনে ৩ হাজার ৬ শ টিকা চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। একটি কাটুর্নে ১২০০ ভায়াল এবং প্রতি ভায়ালে ১০টি করে টিকা রয়েছে। সেই হিসেবে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে ৩৬ হাজার টিকা। চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ হাজার মানুষ এই টিকা পাবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ উপজেলাতেই টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি জেলায় ৫০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে। এ জন্য ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি টিকাদান কাজে নিয়োজিদ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য বিভাগ এর আগেও সকলে মিলে সমন্বিতভাবে একত্রিত হয়ে কাজ করে সফল হয়েছে। আমি আশা করব, ‘করোনার এই টিকা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে আবারও আমরা সফল হব।’
টিকা হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান, এমওসিএস ডা. আউলিয়ার রহমান, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক কে এম মুহসীনিন মাহবুবসহ সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঝিনাইদহ অফিস:


ঝিনাইদহে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁঁছেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বেক্সিমকো কোম্পানির ফ্রিজার ভ্যানযোগে ভ্যাকসিন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, প্রথম ধাপে ৫টি কার্টুনে ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বুঝে নেওয়া হয়েছে। এটি ইপিআই ভবনের স্টোর রুমে রাখা হয়েছে। আগামী ১ এবং ২ ফেব্রুয়ারি সিভিল সার্জন অফিসে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষকবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। আশা করছি, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
মেহেরপুর:
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে এসে পৌঁছেছে প্রথম দফার এক কার্টুন কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন। বেক্সিমকোর ডেপুটি ম্যানেজার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি মিনি কার্গোযোগে ভ্যাকসিনগুলো মেহেরপুরে সিভিল সার্জন অফিস কার্যালয়ে পৌঁছায়। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রাকিবুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর আব্দুল আউয়ালসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ। সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন জানান, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ধাপে ৩৬ হাজার মানুষ পাচ্ছে টিকা

আপলোড টাইম : ০৯:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের টিকা, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রয়োগ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পৌঁছেছে মহামারির করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপের টিকা। গতকাল শুক্রবার সকালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড তাদের করোনার টিকাবাহী ফ্রিজিং গাড়ি এ তিন জেলার সিভিল সার্জনের নিকট টিকা হস্তান্তর করে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে করোনার টিকা প্রয়োগ।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট প্রথম ধাপে করোনাভাইরাসের ৩৬ হাজার ডোজ টিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করোনার টিকাবাহী ফ্রিজিং গাড়ি চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিস্ট্রিবিউশন) কামরুল আহসান চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসানের নিকট এ টিকা হস্তান্তর করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে
আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের ৩টি কার্টুনে ৩ হাজার ৬ শ টিকা চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। একটি কাটুর্নে ১২০০ ভায়াল এবং প্রতি ভায়ালে ১০টি করে টিকা রয়েছে। সেই হিসেবে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে ৩৬ হাজার টিকা। চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ হাজার মানুষ এই টিকা পাবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ উপজেলাতেই টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি জেলায় ৫০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে। এ জন্য ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি টিকাদান কাজে নিয়োজিদ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য বিভাগ এর আগেও সকলে মিলে সমন্বিতভাবে একত্রিত হয়ে কাজ করে সফল হয়েছে। আমি আশা করব, ‘করোনার এই টিকা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে আবারও আমরা সফল হব।’
টিকা হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান, এমওসিএস ডা. আউলিয়ার রহমান, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক কে এম মুহসীনিন মাহবুবসহ সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঝিনাইদহ অফিস:


ঝিনাইদহে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁঁছেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বেক্সিমকো কোম্পানির ফ্রিজার ভ্যানযোগে ভ্যাকসিন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, প্রথম ধাপে ৫টি কার্টুনে ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বুঝে নেওয়া হয়েছে। এটি ইপিআই ভবনের স্টোর রুমে রাখা হয়েছে। আগামী ১ এবং ২ ফেব্রুয়ারি সিভিল সার্জন অফিসে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষকবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। আশা করছি, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
মেহেরপুর:
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে এসে পৌঁছেছে প্রথম দফার এক কার্টুন কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন। বেক্সিমকোর ডেপুটি ম্যানেজার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি মিনি কার্গোযোগে ভ্যাকসিনগুলো মেহেরপুরে সিভিল সার্জন অফিস কার্যালয়ে পৌঁছায়। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রাকিবুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর আব্দুল আউয়ালসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ। সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন জানান, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।