ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ১০ জন ও ঝিনাইদহে ১ জন আক্রান্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১১৫ বার পড়া হয়েছে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৭৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড দেখল দেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত ৭৪ জন মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময় ৬ হাজার ৮৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত বুধবার সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৯৩ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৫২১ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ মাস থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে দশজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ জনে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল জেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ১জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৮ জন ও নারী ২ জন। বয়স ৯ থেকে ৬১ বছর পর্যন্ত। গতকাল জেলার সদর উপজেলা পাঁচজন নতুন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৩০ জন।
জানা যায়, গত বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৪১টি নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনারসহ ৪৭টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁঁছায়। এর মধ্যে দশ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে বাকি ৩৭টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে ৩০টি ও জীবননগর থেকে ৩টি নমুনাসহ মোট ৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৮৩৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮হাজার ৫৮৬টি, পজিটিভ ১ হাজার ৭৮৩টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ৩৬১টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন ও জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ১৪জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ২ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্ত হয়ে দরবার আলী (৮০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ছে। নিহত দরবার আলী শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের মৃত আক্কেল প্রামানিকের ছেলে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ঝিনাইদহে মা মেয়েসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপূর্বে কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তাঁর মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে দরবার আলী গত ৩ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ এলে গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে সদর উপজেলার মহিষাকুণ্ডু পঞ্চগ্রাম গোরস্থানে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি দরবার আলীর দাফন কার্য সম্পন্ন করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ১০ জন ও ঝিনাইদহে ১ জন আক্রান্ত

আপলোড টাইম : ১১:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৭৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
সমীকরণ প্রতিবেদক:
করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড দেখল দেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত ৭৪ জন মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময় ৬ হাজার ৮৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত বুধবার সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৯৩ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৫২১ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ মাস থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে দশজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ জনে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল জেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ১জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৮ জন ও নারী ২ জন। বয়স ৯ থেকে ৬১ বছর পর্যন্ত। গতকাল জেলার সদর উপজেলা পাঁচজন নতুন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৩০ জন।
জানা যায়, গত বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৪১টি নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনারসহ ৪৭টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁঁছায়। এর মধ্যে দশ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে বাকি ৩৭টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে ৩০টি ও জীবননগর থেকে ৩টি নমুনাসহ মোট ৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৮৩৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮হাজার ৫৮৬টি, পজিটিভ ১ হাজার ৭৮৩টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ৩৬১টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন ও জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ১৪জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ২ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্ত হয়ে দরবার আলী (৮০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ছে। নিহত দরবার আলী শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের মৃত আক্কেল প্রামানিকের ছেলে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ঝিনাইদহে মা মেয়েসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপূর্বে কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তাঁর মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে দরবার আলী গত ৩ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ এলে গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে সদর উপজেলার মহিষাকুণ্ডু পঞ্চগ্রাম গোরস্থানে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি দরবার আলীর দাফন কার্য সম্পন্ন করে।