ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৭ জন আক্রান্ত, সুস্থ ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

দেশে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল ১১ হাজার, নতুন আক্রান্ত ২৯২২
সমীকরণ প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণহানি হয়েছে ১১ হাজার ৫৩ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯২২ জনের। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩০১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র । মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছরের মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও সাতজনের শরীরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৮৭ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৫৩ জন, দামুড়হুদায় ৩১৮ জন ও জীবননগরে ১৯৮ জন। গতকাল রোববার জেলায় করোনা থেকে নতুন ২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৮৯২ জন, আলমডাঙ্গার ৩২৭ জন, দামুড়হুদার ২৯৪ জন ও জীবননগরের ১৮৪ জন।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনার মধ্যে ২৩টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিস প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৭টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে, বাকি ১৬টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৬টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রেরণ করেনি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ২০১টি।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ২০১টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮ হাজার ৯৭৩টি, পজিটিভ ১ হাজার ৮৫৬টি ও নেগেটিভ ৭ হাজার ৮৩টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন, আলমডাঙ্গায় ১০ জন, দামুড়হুদায় ১৩ জন ও জীবননগরে ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৯১ জন হোম আইসোলেশন আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, আলমডাঙ্গায় ৯ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ৪জন, আলমডাঙ্গার ১, দামুড়হুদার ২ জন ও জীবননগরের ১জনসহ ৯ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ১৪ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৩ জন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৭ জন আক্রান্ত, সুস্থ ৩

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

দেশে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল ১১ হাজার, নতুন আক্রান্ত ২৯২২
সমীকরণ প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণহানি হয়েছে ১১ হাজার ৫৩ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯২২ জনের। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩০১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র । মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছরের মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও সাতজনের শরীরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৮৭ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৫৩ জন, দামুড়হুদায় ৩১৮ জন ও জীবননগরে ১৯৮ জন। গতকাল রোববার জেলায় করোনা থেকে নতুন ২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৮৯২ জন, আলমডাঙ্গার ৩২৭ জন, দামুড়হুদার ২৯৪ জন ও জীবননগরের ১৮৪ জন।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনার মধ্যে ২৩টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিস প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৭টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে, বাকি ১৬টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৬টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রেরণ করেনি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ২০১টি।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ২০১টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮ হাজার ৯৭৩টি, পজিটিভ ১ হাজার ৮৫৬টি ও নেগেটিভ ৭ হাজার ৮৩টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন, আলমডাঙ্গায় ১০ জন, দামুড়হুদায় ১৩ জন ও জীবননগরে ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৯১ জন হোম আইসোলেশন আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, আলমডাঙ্গায় ৯ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ৪জন, আলমডাঙ্গার ১, দামুড়হুদার ২ জন ও জীবননগরের ১জনসহ ৯ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ১৪ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৩ জন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।