ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কেটে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের অদূরে হকপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোহাম্মদ শাহীন (৪০) নামের এক শ্রবণ প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী আপ রকেট মেইল ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। নিহত শাহীন শহরের হকপাড়ার মণ্ডল শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইক চালিয়ে ও ভাপা পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে গোসল শেষে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহীন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী আপ রকেট মেইল ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। মুহূর্তেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শাহিন কানে কম শুনতেন। ট্রেনটি অনেকক্ষণ যাবৎ হর্ন দিলেও তিনি কানে শোনেননি।
এদিকে, শাহিনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। গতকাল এশার নামাজের পর জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, দুপুরে চিলাহাটগামী রকেট ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশের আগে হকপাড়া এলাকায় এলে কাটা পড়ে নিহত হন মোহাম্মদ শাহীন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে স্টেশন মাস্টার জানান, নিহত শাহীন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি বাড়ি অদূরের পুকুরে গোসল শেষে রেললাইনের ওপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়েন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কেটে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের অদূরে হকপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোহাম্মদ শাহীন (৪০) নামের এক শ্রবণ প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী আপ রকেট মেইল ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। নিহত শাহীন শহরের হকপাড়ার মণ্ডল শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইক চালিয়ে ও ভাপা পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে গোসল শেষে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহীন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী আপ রকেট মেইল ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। মুহূর্তেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শাহিন কানে কম শুনতেন। ট্রেনটি অনেকক্ষণ যাবৎ হর্ন দিলেও তিনি কানে শোনেননি।
এদিকে, শাহিনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। গতকাল এশার নামাজের পর জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, দুপুরে চিলাহাটগামী রকেট ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশের আগে হকপাড়া এলাকায় এলে কাটা পড়ে নিহত হন মোহাম্মদ শাহীন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে স্টেশন মাস্টার জানান, নিহত শাহীন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি বাড়ি অদূরের পুকুরে গোসল শেষে রেললাইনের ওপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়েন।