ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন দুটি জাতের তরমুজ চাষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮
  • / ১৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাম্পার ফলন : কৃষকরা স্বাবলম্বী
আফজালুল হক/ খাইরুল কবির দিনার: অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানি কৃষকের এ বছর ব্যাপক ক্ষতি হলেও উদ্যম ইচ্ছা শক্তির কারনে অনেকেই সফল হয়েছেন। শিক্ষিত তরুণরা আধুনিক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বিশ্বে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির হার এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন দুটি জাতের তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের চাষ করছেন কৃষকরা। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের উপরের রং হলুদ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের উপরের রং গাঢ় সবুজ। দুটি জাতের তরমুজের ভেতরের রং গাঢ় লাল ও খেতে বেশ সুস্বাদু। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা মাঠে অন্য ফসল চাষ বাদ দিয়ে সারা মাঠে এই তরমুজ চাষ করছেন। গ্রীস্মকালীন এই তরমুজ সাধারণত মাচায় চাষ হয়ে থাকে। মাঠে প্রতিটি মাঁচায় ঝুলছে সবুজ আর হলুদ তরমুজ। জেলার অন্য উপজেলায়ও কিছু কিছু এই তরমুজ চাষ করছেন। চাষের দুই মাস পর গাছে ফল ধরতে শুরু করে। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের চাহিদা বেশি। গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ প্রায় ৭৫-৮০ কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ব্লাক প্রিন্স তরমুজ ২৫-৩৫ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হয়। কৃষকরা বলছেন, বাজার দর ভাল থাকলে তরমুজ চাষ করে প্রতি বিঘায় প্রায় ১ লাখ টাকা মত লাভ হয়। এ চাষে কোন লোকসান হয়না।
গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানান, চাষের দুই মাস পর ফল পাওয়া যায়। খরচ তুলনা মুলক কম হওয়ায় লাভ বেশি। কৃষক জালাল বলেন, গ্রামের অনেক বেকার যুবক তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। গ্রামের দৃশ্য পাল্টে গেছে। অনেক জেলার কৃষকরা তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে আসে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবায়ের মাশরুর জানান, তরমুজ চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ তরমুজ মাঁচায় চাষ করতে হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫’শ বিঘা জমিতে বেশি তরমুজ আবাদ হচ্ছে। হদুল রং এর তরমুজের চাহিদা বেশি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন দুটি জাতের তরমুজ চাষ

আপলোড টাইম : ০৬:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮

বাম্পার ফলন : কৃষকরা স্বাবলম্বী
আফজালুল হক/ খাইরুল কবির দিনার: অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানি কৃষকের এ বছর ব্যাপক ক্ষতি হলেও উদ্যম ইচ্ছা শক্তির কারনে অনেকেই সফল হয়েছেন। শিক্ষিত তরুণরা আধুনিক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বিশ্বে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির হার এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন দুটি জাতের তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের চাষ করছেন কৃষকরা। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের উপরের রং হলুদ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের উপরের রং গাঢ় সবুজ। দুটি জাতের তরমুজের ভেতরের রং গাঢ় লাল ও খেতে বেশ সুস্বাদু। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা মাঠে অন্য ফসল চাষ বাদ দিয়ে সারা মাঠে এই তরমুজ চাষ করছেন। গ্রীস্মকালীন এই তরমুজ সাধারণত মাচায় চাষ হয়ে থাকে। মাঠে প্রতিটি মাঁচায় ঝুলছে সবুজ আর হলুদ তরমুজ। জেলার অন্য উপজেলায়ও কিছু কিছু এই তরমুজ চাষ করছেন। চাষের দুই মাস পর গাছে ফল ধরতে শুরু করে। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের চাহিদা বেশি। গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ প্রায় ৭৫-৮০ কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ব্লাক প্রিন্স তরমুজ ২৫-৩৫ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হয়। কৃষকরা বলছেন, বাজার দর ভাল থাকলে তরমুজ চাষ করে প্রতি বিঘায় প্রায় ১ লাখ টাকা মত লাভ হয়। এ চাষে কোন লোকসান হয়না।
গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানান, চাষের দুই মাস পর ফল পাওয়া যায়। খরচ তুলনা মুলক কম হওয়ায় লাভ বেশি। কৃষক জালাল বলেন, গ্রামের অনেক বেকার যুবক তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। গ্রামের দৃশ্য পাল্টে গেছে। অনেক জেলার কৃষকরা তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে আসে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবায়ের মাশরুর জানান, তরমুজ চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ তরমুজ মাঁচায় চাষ করতে হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫’শ বিঘা জমিতে বেশি তরমুজ আবাদ হচ্ছে। হদুল রং এর তরমুজের চাহিদা বেশি।