ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনীতে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

গণসঙ্গীত ও আলোকচিত্র উভয়ই মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালীকে ধারণ করে
আফজালুল হক/মেহেরাব্বিন সানভী: মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক আমেজ এবং উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী হয়েছে। গতকাল শনিবার দু’দিনব্যাপী গণসঙ্গীত উৎসবের ২য় ও সমাপনী সন্ধ্যায় গণসঙ্গীত প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আপামর জনতাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ধরনের গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন দিনগুলোতে গণসঙ্গীত দেশের সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভুত ক্ষোভ আর বেদনাকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে স্বাধীনতা অর্জনের পথকে মসৃন করে তুলেছিল। সেই সকল গান আমরা গতকাল ও আজ শুনেছি তা অত্যন্ত চমকপ্রদ। আর ফটোগ্রাফি নিজেই আলাদা একটি ভাষা। একটি ছবি দশ হাজার শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সংগ্রহগুলো চমৎকার ছিলো। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠানটি অসাধারণ হয়েছে।

আমি যদি চুয়াডাঙ্গাতে থাকি আগামিতেও এমন অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করবো। সাংস্কৃতি প্রিয় চুয়াডাঙ্গাবাসীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার সকল প্রকার চেষ্টা করবো। গণসঙ্গীত ও আলোকচিত্র উভয়ই মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালীকে ধারণ করে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশিমুল বারী, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গির আলম মান্নান, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা কালেক্টরেটের সহকারি কমিশনারবৃন্দ।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের বিশেষ প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এ গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান হয়। দুই দিনব্যাপী গণসঙ্গীত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদ, চুয়াডাঙ্গা খেলাঘর আসর, আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংগঠন, জীবননগর নিকেতন কালচারাল একাডেমি, দামুড়হুদা শহীদ সঙ্গীত নিকেতন, দামুড়হুদা সঙ্গীতা সাংস্কৃতিক সংগঠন, চুয়াডাঙ্গা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শহর বাউল একাডেমি, আলমডাঙ্গা কলা কেন্দ্র, কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ শিল্পী গোষ্ঠী, দর্শনা আনন্দধাম, চুয়াডাঙ্গা সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও চিত্রা সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ মোট ১৩টি দল। গণসঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করে দামুড়হুদা সঙ্গীতা সাংস্কৃতিক সংগঠন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দর্শনা আনন্দধাম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা চিত্রা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্যদিকে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে চুয়াডাঙ্গার শিল্প সাংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে চুয়াডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গার কৃষি ও প্রকৃতিসহ মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে চিত্র জমা নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়। এসব চিত্রের মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। চুয়াডাঙ্গার শিল্প সাংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রকৃতি ও সংগ্রাম শিরোনামে দেওয়া বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম সনি, ২য় স্থান অধিকার করে মাহমুদ আল জান্নাত। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে চুয়াডাঙ্গা বিষয়ে ১ম স্থান অধিকার করে আলী আজগর ও ২য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটি। চুয়াডাঙ্গার কৃষি ও প্রকৃতি বিষয়ে ১ম স্থান অধিকার করে বখতিয়ার হামিদ, ২য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটি এবং ৩য় স্থান অধিকার করে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটির পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি হুসাইন মালিক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজালুল হক। গণসঙ্গীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে শুভেচ্ছা স্মারক, সম্মানিসহ প্রথম পুরষ্কার নগদ ১৫ হাজার টাকা, ২য় পুরষ্কার ১০ হাজার টাকা ও ৩য় পুরষ্কার ৫ হাজার টাকা এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১ম পুরষ্কার নগদ ৭ হাজার টাকা, ২য় পুরষ্কার সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও ৩য় পুরষ্কার ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনীতে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

গণসঙ্গীত ও আলোকচিত্র উভয়ই মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালীকে ধারণ করে
আফজালুল হক/মেহেরাব্বিন সানভী: মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক আমেজ এবং উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী হয়েছে। গতকাল শনিবার দু’দিনব্যাপী গণসঙ্গীত উৎসবের ২য় ও সমাপনী সন্ধ্যায় গণসঙ্গীত প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আপামর জনতাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ধরনের গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন দিনগুলোতে গণসঙ্গীত দেশের সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভুত ক্ষোভ আর বেদনাকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে স্বাধীনতা অর্জনের পথকে মসৃন করে তুলেছিল। সেই সকল গান আমরা গতকাল ও আজ শুনেছি তা অত্যন্ত চমকপ্রদ। আর ফটোগ্রাফি নিজেই আলাদা একটি ভাষা। একটি ছবি দশ হাজার শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সংগ্রহগুলো চমৎকার ছিলো। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠানটি অসাধারণ হয়েছে।

আমি যদি চুয়াডাঙ্গাতে থাকি আগামিতেও এমন অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করবো। সাংস্কৃতি প্রিয় চুয়াডাঙ্গাবাসীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার সকল প্রকার চেষ্টা করবো। গণসঙ্গীত ও আলোকচিত্র উভয়ই মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালীকে ধারণ করে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশিমুল বারী, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গির আলম মান্নান, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা কালেক্টরেটের সহকারি কমিশনারবৃন্দ।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের বিশেষ প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এ গণসঙ্গীত উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান হয়। দুই দিনব্যাপী গণসঙ্গীত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদ, চুয়াডাঙ্গা খেলাঘর আসর, আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংগঠন, জীবননগর নিকেতন কালচারাল একাডেমি, দামুড়হুদা শহীদ সঙ্গীত নিকেতন, দামুড়হুদা সঙ্গীতা সাংস্কৃতিক সংগঠন, চুয়াডাঙ্গা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শহর বাউল একাডেমি, আলমডাঙ্গা কলা কেন্দ্র, কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ শিল্পী গোষ্ঠী, দর্শনা আনন্দধাম, চুয়াডাঙ্গা সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও চিত্রা সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ মোট ১৩টি দল। গণসঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করে দামুড়হুদা সঙ্গীতা সাংস্কৃতিক সংগঠন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দর্শনা আনন্দধাম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা চিত্রা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্যদিকে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে চুয়াডাঙ্গার শিল্প সাংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে চুয়াডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গার কৃষি ও প্রকৃতিসহ মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে চিত্র জমা নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়। এসব চিত্রের মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। চুয়াডাঙ্গার শিল্প সাংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রকৃতি ও সংগ্রাম শিরোনামে দেওয়া বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম সনি, ২য় স্থান অধিকার করে মাহমুদ আল জান্নাত। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে চুয়াডাঙ্গা বিষয়ে ১ম স্থান অধিকার করে আলী আজগর ও ২য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটি। চুয়াডাঙ্গার কৃষি ও প্রকৃতি বিষয়ে ১ম স্থান অধিকার করে বখতিয়ার হামিদ, ২য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটি এবং ৩য় স্থান অধিকার করে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চুয়াডাঙ্গা ফটোগ্রাফি সোসাইটির পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি হুসাইন মালিক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজালুল হক। গণসঙ্গীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে শুভেচ্ছা স্মারক, সম্মানিসহ প্রথম পুরষ্কার নগদ ১৫ হাজার টাকা, ২য় পুরষ্কার ১০ হাজার টাকা ও ৩য় পুরষ্কার ৫ হাজার টাকা এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১ম পুরষ্কার নগদ ৭ হাজার টাকা, ২য় পুরষ্কার সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও ৩য় পুরষ্কার ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।