ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০
  • / ২১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে চুয়াডাঙ্গায়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিট থেকে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বয়ে যায় কালবৈশাখী। ৫৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতির ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় পাঁচ মিনিট। এতে জেলার অনেক স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে গেছে। কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে। বেশ কিছু স্থানের বিদ্যুতের তার ছিড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ফলে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরে প্রায় সব স্থানেই পিডিবির লাইন ঠিক হলেও পল্লী বিদ্যুতের বেশকিছু লাইন এখনো বন্ধ আছে। তবে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
কালবৈশাখীর কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে শত বছরের অসংখ্যা গাছপালাসহ শতশত গাছাপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কয়েকশ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর ও টিনের ছাউনি। জেলার অনেক স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটের মূল ঝড়ে জেলার অনেক স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আম, কলা, পান ও পেঁপের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক স্থানে পানবরজ পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে কলা ও পেঁপে গাছ। তবে, ধানের ক্ষতি হয়নি। কাটতে বাকি আছে এমন ধান ক্ষেতে পড়ে গেছে। এতে শ্রমিক খরচ একটু বাড়বে। তাছাড়া বেশি ক্ষতি হবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে চুয়াডাঙ্গায়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিট থেকে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বয়ে যায় কালবৈশাখী। ৫৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতির ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় পাঁচ মিনিট। এতে জেলার অনেক স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে গেছে। কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে। বেশ কিছু স্থানের বিদ্যুতের তার ছিড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ফলে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরে প্রায় সব স্থানেই পিডিবির লাইন ঠিক হলেও পল্লী বিদ্যুতের বেশকিছু লাইন এখনো বন্ধ আছে। তবে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
কালবৈশাখীর কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে শত বছরের অসংখ্যা গাছপালাসহ শতশত গাছাপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কয়েকশ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর ও টিনের ছাউনি। জেলার অনেক স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটের মূল ঝড়ে জেলার অনেক স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আম, কলা, পান ও পেঁপের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক স্থানে পানবরজ পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে কলা ও পেঁপে গাছ। তবে, ধানের ক্ষতি হয়নি। কাটতে বাকি আছে এমন ধান ক্ষেতে পড়ে গেছে। এতে শ্রমিক খরচ একটু বাড়বে। তাছাড়া বেশি ক্ষতি হবে না।