ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় কর্মব্যস্ত দিন কাটালেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয়বারের মত চুয়াডাঙ্গায় এসে কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সড়ক পথে তিনি চুয়াডাঙ্গায় আসেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি গোরস্থানে প্রয়াত স্কাউটার হাজী রেজাউল করিমের কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরজাহান খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুচিত্র রঞ্জন দাস, সহকারী কমিশনার পাপিয়া আক্তার, সহকারী কমিশনার ¯িœগ্ধা দাস, জেলা স্কাউটস’র সম্পাদক আব্দুল হান্নান, পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, মরহুমের বড় ছেলে সুলতান মাহমুদ রাসেল। দোয়া পরিচালনা করেন বেলগাছি আছির উদ্দিন ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রেজাউল করিম।
এদিন বেলা ১১টায় তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বিভাগীয় কমিশনার এ সময় জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন এবং শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা দেখেন। মাদকের ব্যাপারে জোরেসোরে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া সকলকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এ কার্যালয়ের সকল সমস্যা দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা কারাগার পরিদর্শন করে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন। এ সময় তিনি কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা, আবাসন ব্যবস্থা, কয়েদিদের জীবনমানসহ বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, কারা তত্ত্বাবধায়ক নজরুল ইসলাম, কারাধ্যক্ষ ইমরান হোসেন মিয়াসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বেলা সাড়ে ১২টায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় এসেই বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি; কথা বলেছি। শান্তিপূর্ণ চুয়াডাঙ্গায় আর অশান্তি ফিরে আসবে না। সীমান্তে মাদক, চোরাচালান ও নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনিক কর্মকান্ড আগের থেকেও জোরালো হয়েছে।’ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের হালচিত্র উল্লেখ করে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুত পৌছুবে। বিগত বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিস্তর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে জানাতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে তা জাতীয় পর্যায়েও পৌছে দিতে হবে। এরআগে চলমান সকল উন্নয়ন কাজ নিজেদেরকেই বুঝে নিতে হবে।’
মাদক প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘মাদক কোন পেশা নয়। মাদক কারো আয় রোজগারের পথ হতে পারে না। মাদকের টাকা বিষ হয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই মাদক হতে নিজের ও নিজেদের সন্তানদের দূরে রাখতে হবে।’ বাল্য বিবাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাল্য বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। বাল্য বিবাহের দাওয়াত খেতে গেলেও তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।’ এ ছাড়াও ভিক্ষুকমুক্ত করণে সকলের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বিভাগীয় কমিশনার। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মোহা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবউল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) জি এম ইমদাদুল হক, উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, প্রকল্প কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার অশোক কুমার, এআই টেকনিশিয়ান মনিরুজ্জামানসহ সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, জুড়ানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাফ হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজ, নাটুদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, কার্পাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু, কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হক শাহ ইনু ও হাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহাম্মদ আলী শহি মিন্টুসহ সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।


এ ছাড়া জীবননগর আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। পুর্ণবার্সিত ব্যক্তিগন প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে দোকানঘর, মার্কেট নির্মাণ করার জন্য মনোহরপুর আবাসন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় তিনি পুর্নবাসিত প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষে বিভিন্ন উপকরণ প্রদান ও প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান ব্যবসা সৃষ্টির লক্ষে মনোহরপুর আবাসন প্রকল্পের মধ্যেই স্বাভলম্বী ও অর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউপি সচিব, ইউডিসি উদ্যোক্তা, স্থানীয় সুধী, আবাসনে বসবাসকারী ব্যক্তিগণ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় কর্মব্যস্ত দিন কাটালেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া

আপলোড টাইম : ১১:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয়বারের মত চুয়াডাঙ্গায় এসে কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সড়ক পথে তিনি চুয়াডাঙ্গায় আসেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি গোরস্থানে প্রয়াত স্কাউটার হাজী রেজাউল করিমের কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরজাহান খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুচিত্র রঞ্জন দাস, সহকারী কমিশনার পাপিয়া আক্তার, সহকারী কমিশনার ¯িœগ্ধা দাস, জেলা স্কাউটস’র সম্পাদক আব্দুল হান্নান, পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, মরহুমের বড় ছেলে সুলতান মাহমুদ রাসেল। দোয়া পরিচালনা করেন বেলগাছি আছির উদ্দিন ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রেজাউল করিম।
এদিন বেলা ১১টায় তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বিভাগীয় কমিশনার এ সময় জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন এবং শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা দেখেন। মাদকের ব্যাপারে জোরেসোরে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া সকলকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এ কার্যালয়ের সকল সমস্যা দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা কারাগার পরিদর্শন করে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন। এ সময় তিনি কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা, আবাসন ব্যবস্থা, কয়েদিদের জীবনমানসহ বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, কারা তত্ত্বাবধায়ক নজরুল ইসলাম, কারাধ্যক্ষ ইমরান হোসেন মিয়াসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বেলা সাড়ে ১২টায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় এসেই বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি; কথা বলেছি। শান্তিপূর্ণ চুয়াডাঙ্গায় আর অশান্তি ফিরে আসবে না। সীমান্তে মাদক, চোরাচালান ও নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনিক কর্মকান্ড আগের থেকেও জোরালো হয়েছে।’ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের হালচিত্র উল্লেখ করে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুত পৌছুবে। বিগত বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিস্তর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে জানাতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে তা জাতীয় পর্যায়েও পৌছে দিতে হবে। এরআগে চলমান সকল উন্নয়ন কাজ নিজেদেরকেই বুঝে নিতে হবে।’
মাদক প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘মাদক কোন পেশা নয়। মাদক কারো আয় রোজগারের পথ হতে পারে না। মাদকের টাকা বিষ হয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই মাদক হতে নিজের ও নিজেদের সন্তানদের দূরে রাখতে হবে।’ বাল্য বিবাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাল্য বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। বাল্য বিবাহের দাওয়াত খেতে গেলেও তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।’ এ ছাড়াও ভিক্ষুকমুক্ত করণে সকলের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বিভাগীয় কমিশনার। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মোহা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবউল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) জি এম ইমদাদুল হক, উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, প্রকল্প কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার অশোক কুমার, এআই টেকনিশিয়ান মনিরুজ্জামানসহ সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, জুড়ানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাফ হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজ, নাটুদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, কার্পাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু, কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হক শাহ ইনু ও হাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহাম্মদ আলী শহি মিন্টুসহ সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।


এ ছাড়া জীবননগর আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। পুর্ণবার্সিত ব্যক্তিগন প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে দোকানঘর, মার্কেট নির্মাণ করার জন্য মনোহরপুর আবাসন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় তিনি পুর্নবাসিত প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষে বিভিন্ন উপকরণ প্রদান ও প্রাক্তন ভিক্ষুকদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান ব্যবসা সৃষ্টির লক্ষে মনোহরপুর আবাসন প্রকল্পের মধ্যেই স্বাভলম্বী ও অর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউপি সচিব, ইউডিসি উদ্যোক্তা, স্থানীয় সুধী, আবাসনে বসবাসকারী ব্যক্তিগণ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা।