ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (৫ মে) ফলাফল এসেছে ১৩টি। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এক নারীর রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এবং অন্য ১২টি রিপোর্ট নেগেটিভ। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে পাঁচটি ও আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ছয়টি নমুনাসহ মোট ১১ জনের নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই নারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। একই দিনে পূর্বের করোনাভাইরাস শনাক্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের এক কিশোরকে হাসপাতালের আইসোলেসনে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৪ মে) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে পাঁচটি ও দামুড়হুদা উপজেলা থেকে একটি নমুনাসহ মোট ছয়টি নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলাফল আসে ২০টি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। রোববার (৩ মে) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করে। ফলাফল আসে দুটি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। (২ মে) শনিবার চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন আটজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। একই দিনে ফলাফল এসেছে ৩০টি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিনটি ও দামুড়হুদা উপজেলার পাঁচটি নমুনাসহ মোট আটটি নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
১ মে শুক্রবার কোনো নমুনা সংগ্রহ হয়নি এবং নতুন কোনো ফলাফল পাইনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে ৩০ এপ্রিল ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ২৬টি ও বিকেলে আরও একটি নমুনাসহ মোট ২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই দিনে পূর্বের অমীমাংসিত ২৮টি পজেটিভ রিপোর্টের ফলাফল প্রকাশ করে আইইডিসিআর। উক্ত ২৮টি পজেটিভ রিপোর্টর মধ্যে ২৭টিই নেগেটিভ ও ১টি পজেটিভ বলে আইইডিসিআর জেলা সিভিল সার্জনকে জানায়। ৩০ এপ্রিল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আরো ১৫ টি নমুনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠিয়েছে সিভিল সার্জন অফিসে।
২৯ এপ্রিল প্রাপ্ত রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয় আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামের এক ব্যক্তি। তাঁর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ ও তাঁর পরিবারে অন্য সদস্যরা যেন তাঁর থেকে করোনা সংক্রমিত না হয় সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। পরে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে আলাদা রুমে কোয়ান্টোইনে রাখার ব্যবস্থা নেই। এ যন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেসনে ভর্তি রাখে। তাঁর শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। এ নিয়ে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন করেছে মোট তিন জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস থেকে (৫ মে) প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলা থেকে মোট নমুনা সংগ্রহ ৩৯৭টি, প্রাপ্ত রিপোর্ট ৩১৪টি, পজেটিভ ১০টি, নেগেটিভ ৩০৪টি, সুস্থ ১ ও মৃত্যু শূন্য। মঙ্গলবার পাঠানো ১১ নমুনাসহ ফলাফল পেতে বাকি আছে ৮৩টি নমুনার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (৫ মে) ফলাফল এসেছে ১৩টি। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এক নারীর রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এবং অন্য ১২টি রিপোর্ট নেগেটিভ। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে পাঁচটি ও আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ছয়টি নমুনাসহ মোট ১১ জনের নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই নারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। একই দিনে পূর্বের করোনাভাইরাস শনাক্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের এক কিশোরকে হাসপাতালের আইসোলেসনে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৪ মে) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে পাঁচটি ও দামুড়হুদা উপজেলা থেকে একটি নমুনাসহ মোট ছয়টি নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলাফল আসে ২০টি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। রোববার (৩ মে) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করে। ফলাফল আসে দুটি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। (২ মে) শনিবার চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন আটজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। একই দিনে ফলাফল এসেছে ৩০টি, যার সবগুলোই নেগেটিভ। শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিনটি ও দামুড়হুদা উপজেলার পাঁচটি নমুনাসহ মোট আটটি নমুনা সংগহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
১ মে শুক্রবার কোনো নমুনা সংগ্রহ হয়নি এবং নতুন কোনো ফলাফল পাইনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে ৩০ এপ্রিল ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ২৬টি ও বিকেলে আরও একটি নমুনাসহ মোট ২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই দিনে পূর্বের অমীমাংসিত ২৮টি পজেটিভ রিপোর্টের ফলাফল প্রকাশ করে আইইডিসিআর। উক্ত ২৮টি পজেটিভ রিপোর্টর মধ্যে ২৭টিই নেগেটিভ ও ১টি পজেটিভ বলে আইইডিসিআর জেলা সিভিল সার্জনকে জানায়। ৩০ এপ্রিল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আরো ১৫ টি নমুনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠিয়েছে সিভিল সার্জন অফিসে।
২৯ এপ্রিল প্রাপ্ত রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয় আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামের এক ব্যক্তি। তাঁর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ ও তাঁর পরিবারে অন্য সদস্যরা যেন তাঁর থেকে করোনা সংক্রমিত না হয় সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। পরে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে আলাদা রুমে কোয়ান্টোইনে রাখার ব্যবস্থা নেই। এ যন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেসনে ভর্তি রাখে। তাঁর শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। এ নিয়ে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন করেছে মোট তিন জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস থেকে (৫ মে) প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলা থেকে মোট নমুনা সংগ্রহ ৩৯৭টি, প্রাপ্ত রিপোর্ট ৩১৪টি, পজেটিভ ১০টি, নেগেটিভ ৩০৪টি, সুস্থ ১ ও মৃত্যু শূন্য। মঙ্গলবার পাঠানো ১১ নমুনাসহ ফলাফল পেতে বাকি আছে ৮৩টি নমুনার।