ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দিন ভিক্ষুকদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭
  • / ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

19512602_481690912163340_1271628687_nনিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরে পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিদের জন্য দুপুরে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক’র আমন্ত্রনে জেলা সদরের আলুকদিয়া ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার শতাধিক পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যাক্তিরা স্ব পরিবারে সার্কিট হাউসে আসে। ঈদের দিন দুপুরে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষ মালঞ্চে তাদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কাজ চলমান রয়েছে। সাথে সাথে তাদেরকে কর্মমূখী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার জোর করে নয় আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। ভিক্ষুক বলে তাদেরকে কেউ সম্মান দেয়নি, ভালো জায়গায় বসতে দেয়নি, ভালো কিছু খেতে দেয়নি। তাই আমরা এবার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিদেরকে দাওয়াত দিয়ে, সম্মান দিয়ে নিয়ে এসে ভালো জায়গায় বসিয়েছি এবং উন্নত মানের খাবার খাওয়াচ্ছি। এতে তাদের নিজেদের মধ্যে সম্মানবোধ জাগ্রত হবে। ফলে ভিক্ষাবৃত্তির মত নিকৃষ্ট কাজ থেকে তারা সরে দাড়াবে। এক সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা শতভাগ ভিক্ষুকমুক্ত হবে সাথে সাথে ভিক্ষুকরা পুনর্বাসিত হবে।
আমন্ত্রনে আসা শংকরচন্দ্রের পুনর্বাসিত ভিক্ষুক গফুর মিয়া বলেন, “ঈদিরদিন আমাগের খুব ভালো লাগচে। আমাগের কেউ খোঁজখবর রাখেনা, এখন খোঁজখবর রাকচে, দু’টো ডাল ভাত খাওয়াচ্চে তাই আমরা আর ভিক্ষে করবো না।” আলুদিয়া ইউনিয়নের ভিক্ষুক মওলা বক্স বলেন, কেউ খোঁজ রাখেনা আমাদের আর এ রকম আয়োজনে আগে কেউ করেওনি। এবার জেলা প্রশাসক সাহেব ঈদেরদিন আমাদের দাওয়াত করে দু’টো ডাল ভাত খাওয়াচ্ছেন এতে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি। সার্কিট হাউসে আয়োজিত পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যাক্তিদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে, এনডিসি তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস, শংকরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান প্রমূখ। এদিকে ঈদুল ফিতরে চুয়াডাঙ্গাসহ চার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ভিক্ষুকদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদের দিন এমন নজিরবিহীন আয়োজনে আনন্দিত সমাজের পিছিয়ে পড়া পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দিন ভিক্ষুকদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

আপলোড টাইম : ০৫:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭

19512602_481690912163340_1271628687_nনিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরে পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিদের জন্য দুপুরে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক’র আমন্ত্রনে জেলা সদরের আলুকদিয়া ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার শতাধিক পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যাক্তিরা স্ব পরিবারে সার্কিট হাউসে আসে। ঈদের দিন দুপুরে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষ মালঞ্চে তাদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কাজ চলমান রয়েছে। সাথে সাথে তাদেরকে কর্মমূখী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার জোর করে নয় আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। ভিক্ষুক বলে তাদেরকে কেউ সম্মান দেয়নি, ভালো জায়গায় বসতে দেয়নি, ভালো কিছু খেতে দেয়নি। তাই আমরা এবার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিদেরকে দাওয়াত দিয়ে, সম্মান দিয়ে নিয়ে এসে ভালো জায়গায় বসিয়েছি এবং উন্নত মানের খাবার খাওয়াচ্ছি। এতে তাদের নিজেদের মধ্যে সম্মানবোধ জাগ্রত হবে। ফলে ভিক্ষাবৃত্তির মত নিকৃষ্ট কাজ থেকে তারা সরে দাড়াবে। এক সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা শতভাগ ভিক্ষুকমুক্ত হবে সাথে সাথে ভিক্ষুকরা পুনর্বাসিত হবে।
আমন্ত্রনে আসা শংকরচন্দ্রের পুনর্বাসিত ভিক্ষুক গফুর মিয়া বলেন, “ঈদিরদিন আমাগের খুব ভালো লাগচে। আমাগের কেউ খোঁজখবর রাখেনা, এখন খোঁজখবর রাকচে, দু’টো ডাল ভাত খাওয়াচ্চে তাই আমরা আর ভিক্ষে করবো না।” আলুদিয়া ইউনিয়নের ভিক্ষুক মওলা বক্স বলেন, কেউ খোঁজ রাখেনা আমাদের আর এ রকম আয়োজনে আগে কেউ করেওনি। এবার জেলা প্রশাসক সাহেব ঈদেরদিন আমাদের দাওয়াত করে দু’টো ডাল ভাত খাওয়াচ্ছেন এতে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি। সার্কিট হাউসে আয়োজিত পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যাক্তিদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে, এনডিসি তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস, শংকরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান প্রমূখ। এদিকে ঈদুল ফিতরে চুয়াডাঙ্গাসহ চার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ভিক্ষুকদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদের দিন এমন নজিরবিহীন আয়োজনে আনন্দিত সমাজের পিছিয়ে পড়া পুনর্বাসিত (ভিক্ষুক) ব্যক্তিরা।