ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আরও পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

করোনার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু, পরপর দুদিন সংক্রমণে রেকর্ড
সমীকরণ প্রতিবেদক:
বিগত বছর জুড়ে করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ হতে না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের খবর চাউর হয়েছে। এরআগে করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে বেশ স্বতস্ফুর্ত ছিল সাধারণ মানুষ। সংক্রমণের হার, মৃতের সংখ্যা কম দেখে উচ্ছ্বাসের কারণ নেই। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্পষ্ট যে, মানব শরীরে হানা দিতে করোনা ভাইরাস তার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু করেছে। কারণ পরপর দুদিন দেশে সংক্রমণে রেকর্ড হয়েছে।
টানা দুদিন ধরে দেশে করোনায় শনাক্ত রোগী ৭ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৫ জনের। এসময় মারা গেছেন ৫২ জন। গত রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৮৭ জনের, যা দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এক দিনে ছিল সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণে মারা গেছেন ৫৩ জন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৩১৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জন। গত শনিবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৫ হাজার ৬৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। আর মারা গিয়েছিলেন ৫৮ জন। তার আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৮৩০ জনের। সেদিন ৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ মাস থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পরে গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫৯ জনে। গতকাল সোমবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নতুন আক্রান্তদের প্রত্যোকেই সদর উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন ও নারী ১ জন। বয়স ৩২ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত। গতকাল জেলা নতুন কেউ সুস্থ হয়নি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬২২ জন।
জানা যায়, গত বোববার করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৩৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে ১৫টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁঁছায়। এর মধ্যে ৫ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে বাকি ১০টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে ৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৭৩৩টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮হাজার ৪৭৪টি, পজিটিভ ১ হাজার ৭৫৯টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ২৭২টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৮৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ জন ও জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ১৪জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ২ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় আরও পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত

আপলোড টাইম : ১১:৩০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

করোনার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু, পরপর দুদিন সংক্রমণে রেকর্ড
সমীকরণ প্রতিবেদক:
বিগত বছর জুড়ে করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ হতে না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের খবর চাউর হয়েছে। এরআগে করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে বেশ স্বতস্ফুর্ত ছিল সাধারণ মানুষ। সংক্রমণের হার, মৃতের সংখ্যা কম দেখে উচ্ছ্বাসের কারণ নেই। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্পষ্ট যে, মানব শরীরে হানা দিতে করোনা ভাইরাস তার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু করেছে। কারণ পরপর দুদিন দেশে সংক্রমণে রেকর্ড হয়েছে।
টানা দুদিন ধরে দেশে করোনায় শনাক্ত রোগী ৭ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৫ জনের। এসময় মারা গেছেন ৫২ জন। গত রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৮৭ জনের, যা দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এক দিনে ছিল সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণে মারা গেছেন ৫৩ জন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৩১৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জন। গত শনিবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৫ হাজার ৬৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। আর মারা গিয়েছিলেন ৫৮ জন। তার আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৮৩০ জনের। সেদিন ৫০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ মাস থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পরে গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫৯ জনে। গতকাল সোমবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নতুন আক্রান্তদের প্রত্যোকেই সদর উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন ও নারী ১ জন। বয়স ৩২ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত। গতকাল জেলা নতুন কেউ সুস্থ হয়নি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬২২ জন।
জানা যায়, গত বোববার করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৩৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে ১৫টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁঁছায়। এর মধ্যে ৫ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে বাকি ১০টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে ৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ৭৩৩টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৮হাজার ৪৭৪টি, পজিটিভ ১ হাজার ৭৫৯টি, নেগেটিভ ৬ হাজার ২৭২টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৮৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ জন ও জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮জন হোম আইসোলেশন ও অন্য ১৪জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন ২ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।