ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজনের করোনা শনাক্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৪৯
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে আরও ১ হাজার ৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কিছুদিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৮ জন। গতকাল রোববার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নতুন করোনা শনাক্ত দুজনের মধ্যে সদর উপজেলার ১ জন ও জীবননগর উপজেলার ১ জন রয়েছে। আক্রান্তদের দুজনই পুরুষ, বয়স ৫৫ থেকে ৮০। গতকাল জেলা থেকে নতুন কেউ সুস্থ হয়নি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩০ জন।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত ১৪পি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ২জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী ১২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা থেকে ১১টি, দামুড়হুদা থেকে ৩টি ও জীবননগর থেকে ১টি নমুনাসহ ১৫টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৭ হাজার ৩১৫টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৭ হাজার ১২৪টি, পজিটিভ ১ হাজার ৬৩৮টি, নেগেটিভ ৫ হাজার ৭০২টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৫ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৪ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৩ জন। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজনের করোনা শনাক্ত

আপলোড টাইম : ১০:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৪৯
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে আরও ১ হাজার ৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কিছুদিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৮ জন। গতকাল রোববার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নতুন করোনা শনাক্ত দুজনের মধ্যে সদর উপজেলার ১ জন ও জীবননগর উপজেলার ১ জন রয়েছে। আক্রান্তদের দুজনই পুরুষ, বয়স ৫৫ থেকে ৮০। গতকাল জেলা থেকে নতুন কেউ সুস্থ হয়নি। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩০ জন।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত ১৪পি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ২জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী ১২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা থেকে ১১টি, দামুড়হুদা থেকে ৩টি ও জীবননগর থেকে ১টি নমুনাসহ ১৫টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৭ হাজার ৩১৫টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৭ হাজার ১২৪টি, পজিটিভ ১ হাজার ৬৩৮টি, নেগেটিভ ৫ হাজার ৭০২টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৫ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৪ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৩ জন। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।