ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও অবৈধ ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের খবরে কয়েকজন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক তালা লাগিয়ে বন্ধ করে পালিয়ে যান। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৫টি ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র ও মান যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে বন্ধ করা হয় ও নবায়নকৃত কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ‘সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সারা দেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিন দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকায় বেশ কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অভিযানে ক্লিনিক, প্যাথলজি ও  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মধ্যে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাৎক্ষনিক সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টার, আমাদের সনো ও চুয়াডাঙ্গা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেন্টার সিলগালা করে বন্ধ করা হয়। এছাড়াও নবায়নকৃত অনুমোদিত কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় তিশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামী হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক বিভাগ মৌখিকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। এদিকে, অভিযানের খবরে সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকার বেশকিছু অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখে পালিয়ে যান মালিকরা।

অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল এলাকার ২৫ টির বেশি ক্লিনিক ও প্যাথলজিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির বলে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। এছাড়াও নবায়নকৃত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তিসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে পরবর্তাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক জুনায়েদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনসহ থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও অবৈধ ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের খবরে কয়েকজন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক তালা লাগিয়ে বন্ধ করে পালিয়ে যান। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৫টি ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র ও মান যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে বন্ধ করা হয় ও নবায়নকৃত কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ‘সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সারা দেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিন দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকায় বেশ কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অভিযানে ক্লিনিক, প্যাথলজি ও  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মধ্যে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাৎক্ষনিক সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টার, আমাদের সনো ও চুয়াডাঙ্গা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেন্টার সিলগালা করে বন্ধ করা হয়। এছাড়াও নবায়নকৃত অনুমোদিত কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় তিশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামী হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক বিভাগ মৌখিকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। এদিকে, অভিযানের খবরে সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকার বেশকিছু অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখে পালিয়ে যান মালিকরা।

অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল এলাকার ২৫ টির বেশি ক্লিনিক ও প্যাথলজিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির বলে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। এছাড়াও নবায়নকৃত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তিসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে পরবর্তাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক জুনায়েদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনসহ থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।