ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে হাসপাতালে গরু ব্যবসায়ী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে শণ্টু বিশ্বাস (৫৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা খোয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে বাসযোগে শেয়ারমারী হাটে হাটে যাওয়ার পথিসধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বাসটি উথলী মোড়ে পৌঁছালে বাসের কন্ট্রাকটার তাঁকে বাসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গতকাল বিকেল ৬টার দিকে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া কামরুল আলী সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে।
শণ্টু বিশ্বাসের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে শেয়ালমারি গরুর হাট থেকে গরু কেনার জন্য দুইলাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শণ্টু। দুপুর তিনটার পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর স্বামী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে এবং তাঁকে জীবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। এসময় আমরা জীবননগর হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’ তিনি আরও জানান, গরু কেনার জন্য শণ্টু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুই লাখ টাকা অন্তরবাসের দুইপাশে করে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর নিকট থেকে এক লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাম পাশে লুঙ্গি ও অর্ন্তবাস কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ বিকেলে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় শণ্টু বিশ্বাস নামের এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নেয়। তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে তার শরীরে চেতনানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে দারণা করা হচ্ছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে খর্তি রাখা হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরতে ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। বাজারে বেশ কয়েক ধরনের ঘুমের ওষুধ আছে। এর মধ্যে কিছু আছে ‘ট্রাঙ্কুলাইজার’ চেতনানাশক বা তীব্র ঘুমের ওষুধ। এটা খাওয়ানো বা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার আগের বা পরের ঘটনা মানুষ মনে করতে পারে না।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পার্টির খপ্পরে পড়া শণ্টু বিশ্বাস সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে হাসপাতালে গরু ব্যবসায়ী

আপলোড টাইম : ১১:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে শণ্টু বিশ্বাস (৫৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা খোয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে বাসযোগে শেয়ারমারী হাটে হাটে যাওয়ার পথিসধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বাসটি উথলী মোড়ে পৌঁছালে বাসের কন্ট্রাকটার তাঁকে বাসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গতকাল বিকেল ৬টার দিকে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া কামরুল আলী সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে।
শণ্টু বিশ্বাসের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে শেয়ালমারি গরুর হাট থেকে গরু কেনার জন্য দুইলাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শণ্টু। দুপুর তিনটার পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর স্বামী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে এবং তাঁকে জীবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। এসময় আমরা জীবননগর হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’ তিনি আরও জানান, গরু কেনার জন্য শণ্টু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুই লাখ টাকা অন্তরবাসের দুইপাশে করে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর নিকট থেকে এক লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাম পাশে লুঙ্গি ও অর্ন্তবাস কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ বিকেলে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় শণ্টু বিশ্বাস নামের এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নেয়। তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে তার শরীরে চেতনানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে দারণা করা হচ্ছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে খর্তি রাখা হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরতে ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। বাজারে বেশ কয়েক ধরনের ঘুমের ওষুধ আছে। এর মধ্যে কিছু আছে ‘ট্রাঙ্কুলাইজার’ চেতনানাশক বা তীব্র ঘুমের ওষুধ। এটা খাওয়ানো বা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার আগের বা পরের ঘটনা মানুষ মনে করতে পারে না।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পার্টির খপ্পরে পড়া শণ্টু বিশ্বাস সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।