ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার হাসনহাটিতে দুপরিবারের সংঘর্ষ : কৃষক নিহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামে হেদায়েত ম-ল (৪৮) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। নিহত হেদায়েত ম-ল হাসনহাটি গ্রামের মৃত পুটে ম-লের ছেলে। এ ঘটনার পর ওই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামে একটি ইটভাটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের হেদায়েত ম-ল ও কাদের আলীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার রাতে হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তারের সঙ্গে কাদের আলীর ভাগ্নে শাহীনের কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে হেদায়েত ম-ল আহত হন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মামুন জানান, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তার মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর পাশ দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে যাচ্ছিলেন কাদের আলীর ভাগ্নে শাহীন। এ সময় ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর এ ঘটনার জের ধরে দুই পরিবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহত হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আমি শাহীনকে ধাপ্পড় দিলে সে বাড়িতে গিয়ে তাদের পক্ষের ১০-১২ জনকে নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আমার বাবা (হেদায়েত ম-ল) তাদেরকে থামাতে এগিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাবাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ঘটনার পর হাসনহাটি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আগামীকাল (আজ) লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার হাসনহাটিতে দুপরিবারের সংঘর্ষ : কৃষক নিহত

আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামে হেদায়েত ম-ল (৪৮) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। নিহত হেদায়েত ম-ল হাসনহাটি গ্রামের মৃত পুটে ম-লের ছেলে। এ ঘটনার পর ওই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামে একটি ইটভাটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের হেদায়েত ম-ল ও কাদের আলীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার রাতে হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তারের সঙ্গে কাদের আলীর ভাগ্নে শাহীনের কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে হেদায়েত ম-ল আহত হন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মামুন জানান, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তার মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর পাশ দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে যাচ্ছিলেন কাদের আলীর ভাগ্নে শাহীন। এ সময় ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর এ ঘটনার জের ধরে দুই পরিবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহত হেদায়েত ম-লের ছেলে আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাক্টর দিয়ে চাপা দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আমি শাহীনকে ধাপ্পড় দিলে সে বাড়িতে গিয়ে তাদের পক্ষের ১০-১২ জনকে নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আমার বাবা (হেদায়েত ম-ল) তাদেরকে থামাতে এগিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাবাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ঘটনার পর হাসনহাটি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আগামীকাল (আজ) লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।