ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার সবাই দুদুকে পাগল বলে চেনে; তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হোক- জিপু চৌধুরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু’র কটুক্তির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায়
যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি : দুদু’র কুশপুত্তলিকা দাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয় হতে জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি কোর্ট মোড় হয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ টেন্ডে এসে শেষ হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে সাড়া দিয়ে বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতা সেদিন যুদ্ধে নেমে দেশ স্বাধীন করেছিল। আর সেই ভাষণ আজ যখন আন্তর্জাতিক ভাবে স্কীকৃতি তখন এক শ্রেণীর স্বাধীনতা বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছেন। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে অস্বীকার ও কটুক্তি করে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন- এই ভাষণে নাকি কিছুই নেই। তার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে আটক করে আইনের আশ্রয়ে নেয়া হোক। তা না হলে তার জন্মস্থান চুয়াডাঙ্গা থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা থেকে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই দুদুকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।’


জিপু চৌধুরী বলেন, “দুদু চুয়াডাঙ্গার একটা কলঙ্কিত সন্তান; সে পাগল নামে পরিচিত। ‘দুদু পাগল’ নাম ছাড়া কেউ তাকে চিনতে পারে না। আজ বিশ্ব স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কটুক্তি করে সে যে বক্তব্য দিয়েছে তার ফল স্বরূপ তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দুদুকে চুয়াডাঙ্গায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।” বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য হাফিজুর রহমান হাফিজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ইমরান হোসেন বিপ্লব, মো. ওয়াসিম, আবুল হোসেন মিলন, তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নেফাউর রহমান ডেভিড, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, দপ্তর সম্পাদক শেখ সামি তাপু, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল, জেলা যুবলীগ নেতা ইমরান, সবুজ, সামাদসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের কয়েক’শ নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে কটুক্তি করে গত রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কবে কোন কালে কে বক্তৃতা করেছিল, তা নিয়ে কি মাতামাতি!’ এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় তা উদযাপনের কারণ দেখছেন না বিএনপি র এই নেতা। আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধু এই ভাষণ দিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেখানে (ভাষণে) স্বাধীনতার কিছু ছিল না। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই আলোচনার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী সংগঠন জিয়া পরিষদ।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনকে ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গত রবিবার ঢাকায় একটি আলোচনা সভায় ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বলেন, ওই বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের তেমন কিছুই ছিল না। এ ভাষণ নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু নেই বলে কটুক্তি করেন তিনি। তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। পরে শামসুজ্জামান দুদু’র কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ টেন্ডে এসে শেষ হয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ, পৌর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সেখ সামি তাপু, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজন, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নিপন, কানন। বক্তারা বলেন, ‘শামসুজ্জামান দুদু জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে যে বক্তব্য দিয়েছে তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই স্বাধীন বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষন নিয়ে কুটক্তি করার সাহস হয় কি করে। আজ আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ একত্রিত হয়ে ওই জামাত শিবিরের দালাল দুদুর বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অবিলম্বে শামসুজ্জামান দুদুর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর থানা ছাত্রলীগ নেতা মানিক, নাজমুল, মিরাজ ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, ফারহান রাব্বি, ইশতিয়াক সিথুন, আরাফাত প্লাবন, কামরান, সবুজ, আফ্রিদি, সানজিদ, হাফিজ ইমন, রাজন, মাহাবুলসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার সবাই দুদুকে পাগল বলে চেনে; তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হোক- জিপু চৌধুরী

আপলোড টাইম : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু’র কটুক্তির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায়
যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি : দুদু’র কুশপুত্তলিকা দাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয় হতে জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি কোর্ট মোড় হয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ টেন্ডে এসে শেষ হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে সাড়া দিয়ে বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতা সেদিন যুদ্ধে নেমে দেশ স্বাধীন করেছিল। আর সেই ভাষণ আজ যখন আন্তর্জাতিক ভাবে স্কীকৃতি তখন এক শ্রেণীর স্বাধীনতা বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছেন। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে অস্বীকার ও কটুক্তি করে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন- এই ভাষণে নাকি কিছুই নেই। তার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে আটক করে আইনের আশ্রয়ে নেয়া হোক। তা না হলে তার জন্মস্থান চুয়াডাঙ্গা থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা থেকে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই দুদুকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।’


জিপু চৌধুরী বলেন, “দুদু চুয়াডাঙ্গার একটা কলঙ্কিত সন্তান; সে পাগল নামে পরিচিত। ‘দুদু পাগল’ নাম ছাড়া কেউ তাকে চিনতে পারে না। আজ বিশ্ব স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কটুক্তি করে সে যে বক্তব্য দিয়েছে তার ফল স্বরূপ তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দুদুকে চুয়াডাঙ্গায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।” বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য হাফিজুর রহমান হাফিজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ইমরান হোসেন বিপ্লব, মো. ওয়াসিম, আবুল হোসেন মিলন, তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নেফাউর রহমান ডেভিড, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, দপ্তর সম্পাদক শেখ সামি তাপু, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল, জেলা যুবলীগ নেতা ইমরান, সবুজ, সামাদসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের কয়েক’শ নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে কটুক্তি করে গত রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কবে কোন কালে কে বক্তৃতা করেছিল, তা নিয়ে কি মাতামাতি!’ এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় তা উদযাপনের কারণ দেখছেন না বিএনপি র এই নেতা। আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধু এই ভাষণ দিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেখানে (ভাষণে) স্বাধীনতার কিছু ছিল না। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই আলোচনার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী সংগঠন জিয়া পরিষদ।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনকে ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গত রবিবার ঢাকায় একটি আলোচনা সভায় ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বলেন, ওই বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের তেমন কিছুই ছিল না। এ ভাষণ নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু নেই বলে কটুক্তি করেন তিনি। তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। পরে শামসুজ্জামান দুদু’র কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ টেন্ডে এসে শেষ হয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ, পৌর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সেখ সামি তাপু, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজন, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নিপন, কানন। বক্তারা বলেন, ‘শামসুজ্জামান দুদু জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে যে বক্তব্য দিয়েছে তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই স্বাধীন বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষন নিয়ে কুটক্তি করার সাহস হয় কি করে। আজ আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ একত্রিত হয়ে ওই জামাত শিবিরের দালাল দুদুর বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অবিলম্বে শামসুজ্জামান দুদুর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর থানা ছাত্রলীগ নেতা মানিক, নাজমুল, মিরাজ ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, ফারহান রাব্বি, ইশতিয়াক সিথুন, আরাফাত প্লাবন, কামরান, সবুজ, আফ্রিদি, সানজিদ, হাফিজ ইমন, রাজন, মাহাবুলসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।