ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার মালোপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৯৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার মালোপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ এবং অন্যত্র বিয়ে করার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মালোপাড়ার মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে ইমতিয়াজ রহমান সোহাগের সাথে একই পাড়ার মো. হান্নানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার স্বপ্নার সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে এবং দশ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ ১০ বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি ৭বছর বয়সের কন্যা সন্তান আছে বলেও জানা গেছে। স্বপ্না বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান অফিসে স্থানীয় রেজিষ্টার পদে কর্মরত আছে। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। সোহাগ একজন নেশাখোর, নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য সে স্বপ্নার নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। সে টাকা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে গোপনে ডিভোর্স দেয়। এবং পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলার বাঁকা মাঠ গ্রামের মকছেদ আলীর কন্যা নুরুন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করে। ভুক্তভোগী স্বপ্না সোহাগের নামে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ৩৬৩/১৬ যে মামলার আগামী বছরের ১লা এপ্রিল চার্জ গঠনের দিন ধার্য আছে। এই মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহাগ তার দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহারকে ডিভোর্স দিয়ে স্বপ্নার সাথে মিথ্যা অভিনয় করে বিয়ে করে। এরপর থেকেই তার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। এমনকি সোহাগ তাকে রাতের আধারে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বপ্নার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের বিয়ের পর সোহাগের সাথে জীবননগর উপজেলার বাঁকা মাঠ পাড়া গ্রামের নুরুন্নহারের সাথে গোপনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে গোপনে সম্পর্কটা থেকেই যায় এবং তারা আবার বিবাহ বন্ধনে হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে আমি সোহাগকে গত ০৩রা ডিসেম্বর ডিভোর্স দিয় এবং দেনমোহর ও খোরপোষ চেয়ে পারিবারিক আইনে মামলা করেছি যার মামলা নং ১৫৮/১৭। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে এ মামলার রায় ঘোষনা হবে বলেও সে জানায়। আর এরপর থেকেই সে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। সে আমাকে বিভিন্ন রকমভাবে এসিড নিক্ষেপসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে অভিযুক্ত সোহাগ জানান, সে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে অবস্থিত নীলা জুয়েলার্সের স্বর্ণকারীগর। হঠাৎ করেই স্বপ্না তার ঘরের আসবাবপত্র, ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার ও ঘরে রাখা নগত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তার পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই এমন কাজ করেছেন বলে ধারনা করছেন। সোহাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্ত্রীর স্বপ্নার সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী সোহাগের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী স্বপ্নাকে ফেরত পাওয়ার জন্য পৌর মেয়রের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার মালোপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার মালোপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ এবং অন্যত্র বিয়ে করার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মালোপাড়ার মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে ইমতিয়াজ রহমান সোহাগের সাথে একই পাড়ার মো. হান্নানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার স্বপ্নার সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে এবং দশ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ ১০ বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি ৭বছর বয়সের কন্যা সন্তান আছে বলেও জানা গেছে। স্বপ্না বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান অফিসে স্থানীয় রেজিষ্টার পদে কর্মরত আছে। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। সোহাগ একজন নেশাখোর, নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য সে স্বপ্নার নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। সে টাকা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে গোপনে ডিভোর্স দেয়। এবং পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলার বাঁকা মাঠ গ্রামের মকছেদ আলীর কন্যা নুরুন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করে। ভুক্তভোগী স্বপ্না সোহাগের নামে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ৩৬৩/১৬ যে মামলার আগামী বছরের ১লা এপ্রিল চার্জ গঠনের দিন ধার্য আছে। এই মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহাগ তার দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহারকে ডিভোর্স দিয়ে স্বপ্নার সাথে মিথ্যা অভিনয় করে বিয়ে করে। এরপর থেকেই তার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। এমনকি সোহাগ তাকে রাতের আধারে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বপ্নার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের বিয়ের পর সোহাগের সাথে জীবননগর উপজেলার বাঁকা মাঠ পাড়া গ্রামের নুরুন্নহারের সাথে গোপনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে গোপনে সম্পর্কটা থেকেই যায় এবং তারা আবার বিবাহ বন্ধনে হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে আমি সোহাগকে গত ০৩রা ডিসেম্বর ডিভোর্স দিয় এবং দেনমোহর ও খোরপোষ চেয়ে পারিবারিক আইনে মামলা করেছি যার মামলা নং ১৫৮/১৭। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে এ মামলার রায় ঘোষনা হবে বলেও সে জানায়। আর এরপর থেকেই সে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। সে আমাকে বিভিন্ন রকমভাবে এসিড নিক্ষেপসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে অভিযুক্ত সোহাগ জানান, সে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে অবস্থিত নীলা জুয়েলার্সের স্বর্ণকারীগর। হঠাৎ করেই স্বপ্না তার ঘরের আসবাবপত্র, ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার ও ঘরে রাখা নগত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তার পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই এমন কাজ করেছেন বলে ধারনা করছেন। সোহাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্ত্রীর স্বপ্নার সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী সোহাগের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী স্বপ্নাকে ফেরত পাওয়ার জন্য পৌর মেয়রের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।