ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় আশা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় আশা খাতুন নামে এক নারী ফিরে পেয়েছে তার সুখের সংসার। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে এ মধ্যস্থতা করা হয়।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর খুলসিদাহের আবু হানেফের মেয়ে আশা খাতুন (২৮) চুয়াডাঙ্গা এতিমখানাপাড়ার রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে হযরত আলী (৩৮) এর সাথে বিবাহ হয়। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন কারণে হযরত আলী তার স্ত্রী আশা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে হযরত আলী আশা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আশা খাতুন স্বামীর দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে তার সন্তানদেরকে নিয়ে পিতা-আবু হানেফ এর বাড়ীতে চলে আসে। হযরত তার স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া ও ভরণ পোষন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আশা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও বিরোধ মিটেনি। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের নিকট আসেন। পুলিশ সুপার বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই মুহিদ হাসান ও “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই মিতা রানীকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয়পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় হযরত আলী তার স্ত্রী আশা খাতুনকে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় আশা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার

আপলোড টাইম : ০৮:২০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদক:
পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় আশা খাতুন নামে এক নারী ফিরে পেয়েছে তার সুখের সংসার। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে এ মধ্যস্থতা করা হয়।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর খুলসিদাহের আবু হানেফের মেয়ে আশা খাতুন (২৮) চুয়াডাঙ্গা এতিমখানাপাড়ার রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে হযরত আলী (৩৮) এর সাথে বিবাহ হয়। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন কারণে হযরত আলী তার স্ত্রী আশা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে হযরত আলী আশা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আশা খাতুন স্বামীর দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে তার সন্তানদেরকে নিয়ে পিতা-আবু হানেফ এর বাড়ীতে চলে আসে। হযরত তার স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া ও ভরণ পোষন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আশা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও বিরোধ মিটেনি। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের নিকট আসেন। পুলিশ সুপার বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই মুহিদ হাসান ও “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই মিতা রানীকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয়পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় হযরত আলী তার স্ত্রী আশা খাতুনকে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়।