ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে পুলিশের পিটুনিতে আলী হায়দার আহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৯০ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে পুলিশের পিটুনিতে হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর কাছে হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আমিরুল অন্যায় শিকার করেছে। উক্ত ঘটনায় শিশু সন্তান ফিরে পেয়েছে তার মায়ের কোল। জানা গেছে, বছরখানেক আগে পারিবারিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার আলী হায়দারের ছেলে রফিকের সাথে বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার তারিণপুর গ্রামের মাঠপাড়ার জহরের মেয়ে অন্তরার সাথে। মাসখানেক আগে তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান আসে। সংসার জীবনে সবকিছুই তাদের ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু গত শনিবার সকালে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গৃহবধু অন্তরা অভিমান করে এক মাসের শিশু সন্তান সুখতারাকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে যান। পরে শিশু সন্তানকে ফিরে পাবার জন্য অন্তরা দামুড়হুদা থানায় অভিযোগ করে। এ অভিযোগের সুত্রে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোস্তের বসুতিপাড়ায় একমাস বয়সী শিশুকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় হিজলগাড়ী পুলিশ কনস্টেবল শামিম বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে অন্তরার স্বামী রফিকের ডাক দেয় এবং একপর্যায়ে তাকে নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করে। এ ঘটনা দেখে রফিকের পিতা আলী হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল শামিমকে শান্ত হতে বলে। এসময় কনস্টেবল শামিম তার হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে আলী হায়দারকে জোরে আঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলে আলী হায়দারের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আহতকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় গ্রামবাসীর নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হয় পুলিশ অফিসার আমিরুল ইসলাম। পরে হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আমিরুল অন্যায় শিকার করে উত্তেজিত জনগনের কাছে। ঘটনার পর স্থানীয় মন্ডল-মাতবরা ওই রাতেই উভয় পরিবারের আপস মিমাংসা করে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ওই শিশুকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এসময় ওই গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সালেহ, আ. লীগ নেতা হাবিবুর রহমান কাজলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে পুলিশের পিটুনিতে আলী হায়দার আহত

আপলোড টাইম : ১১:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে পুলিশের পিটুনিতে হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর কাছে হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আমিরুল অন্যায় শিকার করেছে। উক্ত ঘটনায় শিশু সন্তান ফিরে পেয়েছে তার মায়ের কোল। জানা গেছে, বছরখানেক আগে পারিবারিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার আলী হায়দারের ছেলে রফিকের সাথে বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার তারিণপুর গ্রামের মাঠপাড়ার জহরের মেয়ে অন্তরার সাথে। মাসখানেক আগে তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান আসে। সংসার জীবনে সবকিছুই তাদের ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু গত শনিবার সকালে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গৃহবধু অন্তরা অভিমান করে এক মাসের শিশু সন্তান সুখতারাকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে যান। পরে শিশু সন্তানকে ফিরে পাবার জন্য অন্তরা দামুড়হুদা থানায় অভিযোগ করে। এ অভিযোগের সুত্রে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোস্তের বসুতিপাড়ায় একমাস বয়সী শিশুকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় হিজলগাড়ী পুলিশ কনস্টেবল শামিম বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে অন্তরার স্বামী রফিকের ডাক দেয় এবং একপর্যায়ে তাকে নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করে। এ ঘটনা দেখে রফিকের পিতা আলী হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল শামিমকে শান্ত হতে বলে। এসময় কনস্টেবল শামিম তার হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে আলী হায়দারকে জোরে আঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলে আলী হায়দারের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আহতকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় গ্রামবাসীর নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হয় পুলিশ অফিসার আমিরুল ইসলাম। পরে হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আমিরুল অন্যায় শিকার করে উত্তেজিত জনগনের কাছে। ঘটনার পর স্থানীয় মন্ডল-মাতবরা ওই রাতেই উভয় পরিবারের আপস মিমাংসা করে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ওই শিশুকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এসময় ওই গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সালেহ, আ. লীগ নেতা হাবিবুর রহমান কাজলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।