ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে অন্তঃসত্বা নারীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে অন্তঃসত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে (৫০) গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও দর্শনা থানার অর্ন্তগত তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের সরকারি আবাসনে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার সুবারেকের ছেলে দিনমুজুর আব্দুস সালামের সাথে ৮ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর পূর্বপাড়ার আব্দুস সামাদের কন্যা (২২)-এর। বিয়ে পর থেকেই একই গ্রামের আনিছ উদ্দিনের ছেলে গ্রামের মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লা (৫০) ওই নারীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। তাঁর অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগে ওই নারীকে তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে দিয়েছেন অভিযুক্ত মাতা মোল্লা। এরমধ্যে ওই নারী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লেও অভিযুক্ত মাতা মোল্লা তার পিছু ছাড়েনি। ধারাবাহিক কু-প্রস্তাবে অতিষ্ঠ হয়ে অন্তঃসত্বা ওই নারী বিষয়টি তাঁর স্বামী ও পিতার পরিবারকে জানান। এমন কথা জানার পর ওই নারীর স্বামী তার পরিবারকে নিয়ে ঘটনা সমাধানে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লার বাড়িতে যায়। এসময় ওই নারীর স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই নারীকে বিরক্ত না করার জন্য মাতা মোল্লাকে বলে আসা হয়। সেসময় ওই নারীকে আর বিরক্ত করবে না বলেও মাতা কথা দেন। কিন্ত এর কিছুদিন পরেই গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ৬২ আড়িয়া গ্রামের ফার্মপাড়ায় অবস্থিত সরকারি আবাসনে বসবাসকারী ওই নারীর ঘরে কৌশলে প্রবেশ করেন মাতা মোল্লা। এসময় অন্তঃসত্বা নারী খাটের ওপর শুয়ে ছিলেন। তখন এক সন্তানের জননী অন্তঃসত্বা ওই নারীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লা। এসময় ধর্ষণের শিকার হওয়া অন্তঃসত্বা ওই নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি কাউকে না জানাতে মাতা মোল্লা তাকে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেরদিনই ধর্ষণের শিকার গর্ভবতী ওই নারীর পিতা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা পরপরই অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে গ্রেপ্তার দর্শনা থানা পুলিশ। দর্শনা থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে অন্তঃসত্বা নারীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৮:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে অন্তঃসত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে (৫০) গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও দর্শনা থানার অর্ন্তগত তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের সরকারি আবাসনে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার সুবারেকের ছেলে দিনমুজুর আব্দুস সালামের সাথে ৮ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর পূর্বপাড়ার আব্দুস সামাদের কন্যা (২২)-এর। বিয়ে পর থেকেই একই গ্রামের আনিছ উদ্দিনের ছেলে গ্রামের মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লা (৫০) ওই নারীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। তাঁর অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগে ওই নারীকে তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে দিয়েছেন অভিযুক্ত মাতা মোল্লা। এরমধ্যে ওই নারী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লেও অভিযুক্ত মাতা মোল্লা তার পিছু ছাড়েনি। ধারাবাহিক কু-প্রস্তাবে অতিষ্ঠ হয়ে অন্তঃসত্বা ওই নারী বিষয়টি তাঁর স্বামী ও পিতার পরিবারকে জানান। এমন কথা জানার পর ওই নারীর স্বামী তার পরিবারকে নিয়ে ঘটনা সমাধানে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লার বাড়িতে যায়। এসময় ওই নারীর স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই নারীকে বিরক্ত না করার জন্য মাতা মোল্লাকে বলে আসা হয়। সেসময় ওই নারীকে আর বিরক্ত করবে না বলেও মাতা কথা দেন। কিন্ত এর কিছুদিন পরেই গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ৬২ আড়িয়া গ্রামের ফার্মপাড়ায় অবস্থিত সরকারি আবাসনে বসবাসকারী ওই নারীর ঘরে কৌশলে প্রবেশ করেন মাতা মোল্লা। এসময় অন্তঃসত্বা নারী খাটের ওপর শুয়ে ছিলেন। তখন এক সন্তানের জননী অন্তঃসত্বা ওই নারীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লা। এসময় ধর্ষণের শিকার হওয়া অন্তঃসত্বা ওই নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি কাউকে না জানাতে মাতা মোল্লা তাকে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেরদিনই ধর্ষণের শিকার গর্ভবতী ওই নারীর পিতা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা পরপরই অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে আবুল হোসেন ওরফে মাতা মোল্লাকে গ্রেপ্তার দর্শনা থানা পুলিশ। দর্শনা থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।