ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের তেঘরীতে পরপর দু’দিন ডাকাতদলের তা-ব:ঝটিকা অভিযানে ৯ জন আটক : মিষ্টি বিতরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহে ডাকাতদলের হামলার ঘটনায় নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। ডাকাতদলের হামলার শিকার পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। গত শনিবার রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, ডাকাতিসহ বহু অপকর্মের হোতা তেঘরী গ্রামের মনোয়ার হোসেনসহ ৯ জনকে আটক করে সদর থানায় নেয়া হয়। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের রেজাউলের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। এসময় বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনার গহনা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়া তারা। পরেরদিন শুক্রবার রাতে একদল দুর্বৃর্ত্ত্ব তেঘরী-কলাগাছী গ্রামের মাঝামঝি একটি পুকুরের কাছে পৌছালে পুকুরের নৈশপ্রহরী তাদের দেখে ফেলে ডাকাত বলে চিৎকার দেয়। এসময় দুর্বৃত্ত্বরা পুকুরের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর আলমকে পিটিয়ে জখম করে তারা। এঘটনায় গত শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস, এসআই মাসুদ পারভেজ এবং তিতুদহ ফাড়ি পুলিশ রাতভর যৌথ অভিযান চালায়। এসময় বোমা বিস্ফারণ, ডাকাতিসহ বহু অপকর্মের হোতা তেঘরী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ারকে (৩২) আটক করে। একই রাতে তেঘরী গ্রামের মেজো খোকার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০), মজিদের ছেলে আশা (৩৫), মৃত আবুলের ছেলে নুরু মোল্লা (৫৫), বিত্তিরদাড়ি গ্রামের নাজু ম-লের ছেলে ছাত্তার (৩৫), তিতুদহ গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), একই ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের আব্দুল রবের ছেলে মোস্তফা (২৮), রশিদের ছেলে আলম (৩১) এবং কলাগাছি গ্রামের রজবের ছেলে দুলুকে (৩০) আটক করে পুলিশ। রাতেই তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, এপর্যন্ত যে কয়টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তারমধ্যে সব কয়টির সাথেই এই চক্রটি জড়িত। রাতেই আসামী সকলকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরন করে পুলিশ। এদিকে, বহু অপকর্মের হোতা মনোয়ারকে আটক করার খবরে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করে তেঘরী গ্রামের বাসিন্দারা। তিতুদহ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক লিটন গাজী সমীকরণকে জানান, রাতভর অভিযান চালানোর ফলে ৯ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদেরকেও খুব দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের তেঘরীতে পরপর দু’দিন ডাকাতদলের তা-ব:ঝটিকা অভিযানে ৯ জন আটক : মিষ্টি বিতরণ

আপলোড টাইম : ০৫:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহে ডাকাতদলের হামলার ঘটনায় নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। ডাকাতদলের হামলার শিকার পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। গত শনিবার রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, ডাকাতিসহ বহু অপকর্মের হোতা তেঘরী গ্রামের মনোয়ার হোসেনসহ ৯ জনকে আটক করে সদর থানায় নেয়া হয়। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের রেজাউলের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। এসময় বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনার গহনা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়া তারা। পরেরদিন শুক্রবার রাতে একদল দুর্বৃর্ত্ত্ব তেঘরী-কলাগাছী গ্রামের মাঝামঝি একটি পুকুরের কাছে পৌছালে পুকুরের নৈশপ্রহরী তাদের দেখে ফেলে ডাকাত বলে চিৎকার দেয়। এসময় দুর্বৃত্ত্বরা পুকুরের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর আলমকে পিটিয়ে জখম করে তারা। এঘটনায় গত শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস, এসআই মাসুদ পারভেজ এবং তিতুদহ ফাড়ি পুলিশ রাতভর যৌথ অভিযান চালায়। এসময় বোমা বিস্ফারণ, ডাকাতিসহ বহু অপকর্মের হোতা তেঘরী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ারকে (৩২) আটক করে। একই রাতে তেঘরী গ্রামের মেজো খোকার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০), মজিদের ছেলে আশা (৩৫), মৃত আবুলের ছেলে নুরু মোল্লা (৫৫), বিত্তিরদাড়ি গ্রামের নাজু ম-লের ছেলে ছাত্তার (৩৫), তিতুদহ গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), একই ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের আব্দুল রবের ছেলে মোস্তফা (২৮), রশিদের ছেলে আলম (৩১) এবং কলাগাছি গ্রামের রজবের ছেলে দুলুকে (৩০) আটক করে পুলিশ। রাতেই তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, এপর্যন্ত যে কয়টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তারমধ্যে সব কয়টির সাথেই এই চক্রটি জড়িত। রাতেই আসামী সকলকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরন করে পুলিশ। এদিকে, বহু অপকর্মের হোতা মনোয়ারকে আটক করার খবরে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করে তেঘরী গ্রামের বাসিন্দারা। তিতুদহ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক লিটন গাজী সমীকরণকে জানান, রাতভর অভিযান চালানোর ফলে ৯ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদেরকেও খুব দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।