ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার গ্রিন ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২০৮ বার পড়া হয়েছে

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য তৈরিসহ বিস্তর অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদক:
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, খাবারে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিকেল মিশ্রনসহ নানা অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে দেখা যায়, কারখানার পুরাতন টিনশেডে ময়লা আবর্জনার বাসা। তৈরি খাবারগুলো রাখা আছে খোলামেলা পরিবেশে। তার আশপাশে রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিকেল ও একাধিক তেলের ড্রাম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি খাদ্যপণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিং, পেস্ট্রি মজুত করে রাখা হয়েছে সেখানেই।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের খাবার তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে গ্রীন ফুডের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ও ৫৩ ধারানুসারে এ দ- দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার গ্রিন ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য তৈরিসহ বিস্তর অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদক:
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, খাবারে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিকেল মিশ্রনসহ নানা অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে দেখা যায়, কারখানার পুরাতন টিনশেডে ময়লা আবর্জনার বাসা। তৈরি খাবারগুলো রাখা আছে খোলামেলা পরিবেশে। তার আশপাশে রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিকেল ও একাধিক তেলের ড্রাম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি খাদ্যপণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিং, পেস্ট্রি মজুত করে রাখা হয়েছে সেখানেই।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের খাবার তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে গ্রীন ফুডের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ও ৫৩ ধারানুসারে এ দ- দেওয়া হয়েছে।