ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

জেলার উন্নয়নে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই
মেহেরাব্বিন সানভী: জেলার সব ধরনের সমস্যা সমাধানে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে সাথে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। গতকাল রোববার আলাদা আলাদাভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে পৃথক দুটি মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, সকলের সমস্যার কথা আমি শুনেছি এবং তা লিপিবদ্ধ করেছি শিঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উত্থাপিত বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা উত্তরণে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাই আপনাদের সহযোগিতাও অগ্রগণ্য। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ১১তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হবে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে চাই। আমি যেখানে চাকরি করেছি আমি নিজেকে সেই জেলার অধিবাসী মনে করেছি। আমি যখন থেকে চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করেছি তখন থেকে নিজেকে এই চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ মনে করছি। আমি আপনাদেরই একজন। আমি চুয়াডাঙ্গার একজন নাগরিক। আমাকে সহযোগীতা করবেন, আমি শুধু আপনাদের নয়, নিজেদের হয়ে কাজ করবো।
পূর্ববর্র্তী জেলা প্রশাসকের কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই জেলায় যোগদান করার পূর্বেই জেনেছি, আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক অত্যন্ত দক্ষ এবং চৌকস। তিনি আমার সার্ভিসের সিনিয়র। আমি আশ্বাস দিচ্ছি আপনাদের সহযোগীতায় ওনার সমস্ত ভালো কাজ অব্যাহত থাকবে। চুয়াডাঙ্গাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার প্রসঙ্গে কথা ওঠলে তিনি বলেন আমি জেনেছি, ডিসি কনফারেন্সে আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাছাড়া, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, জীবননগরে বৃহৎ একটি বিএডিসি ফার্ম আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। আমি আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করবো। খুব শিঘ্রই একটি মিটিং করে প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আমি আমার যথাসাধ্য, চেষ্টা করবো। রেল ক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি শুনছি। আমি এটা নিয়েই প্রথম কাজ করবো। চুয়াডাঙ্গার মানুষ যাতে বিড়ম্বনায় না পড়ে সেজন্য আমি মন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কে যোগাযোগ করবো। সর্বোপরি এই জেলার সকলের সহযোগীতায় আমি এই জেলার হয়ে কাজ করে যাবো। আপনাদের সকলের সহযোগীতা চাই।
গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবীদ, এনজিও, সূশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে এবং বিকাল ৫টায় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাউজার চৌধুরি, দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র সম্পাদক ও প্রকাশক শরীফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রিফাত রহমান, দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক এ্যাড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিপুল আশরাফজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, এনজিও, সূশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

জেলার উন্নয়নে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই
মেহেরাব্বিন সানভী: জেলার সব ধরনের সমস্যা সমাধানে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে সাথে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। গতকাল রোববার আলাদা আলাদাভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে পৃথক দুটি মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, সকলের সমস্যার কথা আমি শুনেছি এবং তা লিপিবদ্ধ করেছি শিঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উত্থাপিত বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা উত্তরণে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাই আপনাদের সহযোগিতাও অগ্রগণ্য। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ১১তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হবে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে চাই। আমি যেখানে চাকরি করেছি আমি নিজেকে সেই জেলার অধিবাসী মনে করেছি। আমি যখন থেকে চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করেছি তখন থেকে নিজেকে এই চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ মনে করছি। আমি আপনাদেরই একজন। আমি চুয়াডাঙ্গার একজন নাগরিক। আমাকে সহযোগীতা করবেন, আমি শুধু আপনাদের নয়, নিজেদের হয়ে কাজ করবো।
পূর্ববর্র্তী জেলা প্রশাসকের কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই জেলায় যোগদান করার পূর্বেই জেনেছি, আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক অত্যন্ত দক্ষ এবং চৌকস। তিনি আমার সার্ভিসের সিনিয়র। আমি আশ্বাস দিচ্ছি আপনাদের সহযোগীতায় ওনার সমস্ত ভালো কাজ অব্যাহত থাকবে। চুয়াডাঙ্গাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার প্রসঙ্গে কথা ওঠলে তিনি বলেন আমি জেনেছি, ডিসি কনফারেন্সে আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাছাড়া, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, জীবননগরে বৃহৎ একটি বিএডিসি ফার্ম আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। আমি আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করবো। খুব শিঘ্রই একটি মিটিং করে প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আমি আমার যথাসাধ্য, চেষ্টা করবো। রেল ক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি শুনছি। আমি এটা নিয়েই প্রথম কাজ করবো। চুয়াডাঙ্গার মানুষ যাতে বিড়ম্বনায় না পড়ে সেজন্য আমি মন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কে যোগাযোগ করবো। সর্বোপরি এই জেলার সকলের সহযোগীতায় আমি এই জেলার হয়ে কাজ করে যাবো। আপনাদের সকলের সহযোগীতা চাই।
গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবীদ, এনজিও, সূশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে এবং বিকাল ৫টায় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাউজার চৌধুরি, দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র সম্পাদক ও প্রকাশক শরীফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রিফাত রহমান, দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক এ্যাড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিপুল আশরাফজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, এনজিও, সূশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।