ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার এসপি জাহিদের হস্তক্ষেপে বাবা-মায়ের আদর স্নেহ ফিরে পেল শিশু জান্নাতুল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের হস্তক্ষেপে জান্নাতুল ফিরে পেল বাবা-মায়ের আদর স্নেহ। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’-এর সহযোগিতায় শিশু জান্নাতুলের বাবা-মায়ের চলমান ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের আকবর আলীর মেয়ে মোছা. তাসলিমা খাতুন (২৫) ও সিএন্ডবিপাড়ার আকবরের ছেলে মো. কামরুজ্জামান জনির (৩০) ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জান্নাতুল নামের চার বছরের একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান জন্ম নেওয়ার কিছুদিন পরেই কামরুজ্জামান ও তাসলিমার পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাসলিমা খাতুন তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে মোছা. তাসলিমা খাতুন তার চার বছরের সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ জাহিদুল ইসলাম উক্ত অভিযোগটি আমলে নেন এবং তার কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এ কর্মরত নারী এএসআই মিতা রানী বিশ্বাসের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে ডাকেন। গতকাল মঙ্গলবার কামরুজ্জামান ও তাসলিমা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে এসপি জাহিদুল ইসলাম দুইপক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে চার হাত এক করে দেন। এতে করে শিশু জান্নাতুল ফিরে পাই তার বাবা-মায়ের আদর স্নেহ। আর কামরুজ্জামান ও তাসলিমার সংসার জোড়া লেগে যায়। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় একটি সংসারে সুখ ফিরে আসলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এসপিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার এসপি জাহিদের হস্তক্ষেপে বাবা-মায়ের আদর স্নেহ ফিরে পেল শিশু জান্নাতুল

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের হস্তক্ষেপে জান্নাতুল ফিরে পেল বাবা-মায়ের আদর স্নেহ। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’-এর সহযোগিতায় শিশু জান্নাতুলের বাবা-মায়ের চলমান ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের আকবর আলীর মেয়ে মোছা. তাসলিমা খাতুন (২৫) ও সিএন্ডবিপাড়ার আকবরের ছেলে মো. কামরুজ্জামান জনির (৩০) ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে জান্নাতুল নামের চার বছরের একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান জন্ম নেওয়ার কিছুদিন পরেই কামরুজ্জামান ও তাসলিমার পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাসলিমা খাতুন তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে মোছা. তাসলিমা খাতুন তার চার বছরের সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ জাহিদুল ইসলাম উক্ত অভিযোগটি আমলে নেন এবং তার কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এ কর্মরত নারী এএসআই মিতা রানী বিশ্বাসের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে ডাকেন। গতকাল মঙ্গলবার কামরুজ্জামান ও তাসলিমা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে এসপি জাহিদুল ইসলাম দুইপক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে চার হাত এক করে দেন। এতে করে শিশু জান্নাতুল ফিরে পাই তার বাবা-মায়ের আদর স্নেহ। আর কামরুজ্জামান ও তাসলিমার সংসার জোড়া লেগে যায়। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায় একটি সংসারে সুখ ফিরে আসলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এসপিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।