ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার এসপিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক পোস্ট : তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হিমেল জেলহাজতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

Untitled-1 copyনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান হিমেল ও সাইদুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক হিমেল ও সাইদুলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে হিমেলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনেসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিলো। মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতারের ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্কানীমূলক বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করায় হিমেলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল হিমেল ও সাইদুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে হেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, মেহেদি হাসান হিমেলের ফেসবুক আইডি চেক করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মত পোস্ট দেখা গেছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টটি ছিলো – ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে যানান পুলিশের মহাপরিদর্শক একে এম শহিদুল হক স্যার। এন.এস.আই. রিপোর্ট অনুযায়ী যার মধ্যে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুফি উল্লাসহ আরো বিভিন্ন জেলার এসপিরা……….জয়তু দেশরতœ শেখ হাসিনা’।
তিনি আরও জানান,এই পোস্টের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হিসেবে কোন চিঠি বা মৌখিক কোন কিছুই আসেনি বলে জানিয়েছেন তারা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই পোস্টের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, নড়াইল পুলিশ সুপার, আরআরএফ কমান্ড্যান্টসহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও মানহানি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করে হিমেল। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশোধনী আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার নিজের আইডি দিয়ে ওই পোস্ট করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হিমেল।
উল্লেখ্য,  গত সোমবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের সামনে থেকে মেহেদি হাসান হিমেলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যুবককেও আটক করা হয়েছে। মেহেদি হাসান হিমেল চুয়াডাঙ্গা শহরের মাস্টারপাড়ার তালেবুর রহমানের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলো। হিমেল ও সাইফুল দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে ফিরছিলো। এসময় পুলিশ লাইনের সামনে বসানো চেকপোস্ট  থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নেয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার এসপিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক পোস্ট : তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হিমেল জেলহাজতে

আপলোড টাইম : ১১:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৭

Untitled-1 copyনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান হিমেল ও সাইদুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক হিমেল ও সাইদুলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে হিমেলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনেসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিলো। মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতারের ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্কানীমূলক বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করায় হিমেলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল হিমেল ও সাইদুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে হেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, মেহেদি হাসান হিমেলের ফেসবুক আইডি চেক করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মত পোস্ট দেখা গেছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টটি ছিলো – ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে যানান পুলিশের মহাপরিদর্শক একে এম শহিদুল হক স্যার। এন.এস.আই. রিপোর্ট অনুযায়ী যার মধ্যে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুফি উল্লাসহ আরো বিভিন্ন জেলার এসপিরা……….জয়তু দেশরতœ শেখ হাসিনা’।
তিনি আরও জানান,এই পোস্টের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হিসেবে কোন চিঠি বা মৌখিক কোন কিছুই আসেনি বলে জানিয়েছেন তারা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই পোস্টের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, নড়াইল পুলিশ সুপার, আরআরএফ কমান্ড্যান্টসহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও মানহানি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করে হিমেল। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশোধনী আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার নিজের আইডি দিয়ে ওই পোস্ট করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হিমেল।
উল্লেখ্য,  গত সোমবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের সামনে থেকে মেহেদি হাসান হিমেলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যুবককেও আটক করা হয়েছে। মেহেদি হাসান হিমেল চুয়াডাঙ্গা শহরের মাস্টারপাড়ার তালেবুর রহমানের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলো। হিমেল ও সাইফুল দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে ফিরছিলো। এসময় পুলিশ লাইনের সামনে বসানো চেকপোস্ট  থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নেয়া হয়।