ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গা’র পুরস্কার বিতরণকালে ডিসি নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘আগে বলা হতো, নলেজ ইজ পাওয়ার। এখন বলা হয় ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার। আমাদের জগৎটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাবনারও পরিবর্তন হয়েছে। আজকের এই আয়োজনে অল্প কয়েকজন উপস্থিত আছেন। কিন্তু আপনাদের সাথে ১৫ হাজার মানুষের কানেক্টিভিটি আছে। এই এতো বড় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনারা সকলে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারছেন। চুয়াডাঙ্গার যেকোনো বিষয়ের সাথে আপনাদের মতামত দিতে পারছেন। কী রকম চুয়াডাঙ্গা দেখতে চান। আপনি আজকে যে রকম ভাবছেন। সেরকম হয়ত এক দিনে সম্ভব হবে না। কিন্তু বাস্তবায়নের পথে এগোতে পারবেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘শীতের চুয়াডাঙ্গা’ ফটোকন্টেস্ট-এর পুরস্কার বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা একটায় চুয়াডাঙ্গা অভিজাত তিন তারকা হোটেল সাহিদ প্যালেসের রাফেল কনভেশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আজকের যে বাংলাদেশ, সেটি ১০ বা ২০ বছর আগের বাংলাদেশের সাথে অনেক পার্থক্য। এটা সম্ভব হয়েছে পরিকল্পনা করতে করতে। আজ আমাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা নিয়েও আমি একটি মহাপরিকল্পনা করেছি। এই পরিকল্পনায় পর্যটন থেকে শুরু করে এই জেলার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু আছে। জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করার পরিকল্পনাও আছে। নিশ্চয় এই পরিকল্পনা এক দিন বাস্তবায়ন হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভালো কাজের মধ্যে থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গা যে শুধু বাংলাদেশের বুকে নয়, বিশ্বের বুকে আছে, নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গা তার একটি পরিচয় বহন করে। এই কাজগুলোকে আরও বেশি তরান্বিত করতে হবে।’
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, দৈনিক প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার এডমিন সাদিক আনাম জোয়ার্দ্দার। দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর নিজস্ব প্রতিবেদক অধিকারকর্মী মেহেরাব্বিন সানভীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার অন্যতম এডমিন সজল আহমেদ অর্ণব, মাহমুদা আক্তার অনি, মারিয়াম বিনতে জাহাঙ্গীর, মেহেদী খান, রাশেদুল ইসলাম রানা, ফাহিম ফয়সাল মল্লিক প্রমুখ।
নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে তাঁদের নিজস্ব ফেসবুক গ্রুপে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘শীতের চুয়াডাঙ্গা’ শিরোনামে একটি ফটোকন্টেস্ট হয়। এই কন্টেস্টে লাইক ও কমেন্টের ভিত্তিতে চারটি ক্যাটাগরি মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিশেষ ক্যাটাগরিতে বখতিয়ার হামিদ, শীতের প্রকৃতি ক্যাটাগরিতে প্রথম হন অ্যাভেনি রহমান, দ্বিতীয় ফাহিম ফয়সাল মল্লিক, তৃতীয় আব্দুল্লাগ আল মাপুজ রুমি, শীতের সৃজনশীলতায় প্রথম মিরানা অনি, দ্বিতীয় অ্যাভেনি রহমান ও তৃতীয় পাপিয়া সুলতানা এবং শীতের সেলফিতে মাহবুব আলম, ইমাজউদ্দীন কৌশিক ও তৃতীয় ফাহিম ফয়সাল মল্লিক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে

আপলোড টাইম : ১০:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গা’র পুরস্কার বিতরণকালে ডিসি নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘আগে বলা হতো, নলেজ ইজ পাওয়ার। এখন বলা হয় ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার। আমাদের জগৎটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাবনারও পরিবর্তন হয়েছে। আজকের এই আয়োজনে অল্প কয়েকজন উপস্থিত আছেন। কিন্তু আপনাদের সাথে ১৫ হাজার মানুষের কানেক্টিভিটি আছে। এই এতো বড় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনারা সকলে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারছেন। চুয়াডাঙ্গার যেকোনো বিষয়ের সাথে আপনাদের মতামত দিতে পারছেন। কী রকম চুয়াডাঙ্গা দেখতে চান। আপনি আজকে যে রকম ভাবছেন। সেরকম হয়ত এক দিনে সম্ভব হবে না। কিন্তু বাস্তবায়নের পথে এগোতে পারবেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘শীতের চুয়াডাঙ্গা’ ফটোকন্টেস্ট-এর পুরস্কার বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা একটায় চুয়াডাঙ্গা অভিজাত তিন তারকা হোটেল সাহিদ প্যালেসের রাফেল কনভেশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আজকের যে বাংলাদেশ, সেটি ১০ বা ২০ বছর আগের বাংলাদেশের সাথে অনেক পার্থক্য। এটা সম্ভব হয়েছে পরিকল্পনা করতে করতে। আজ আমাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা নিয়েও আমি একটি মহাপরিকল্পনা করেছি। এই পরিকল্পনায় পর্যটন থেকে শুরু করে এই জেলার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু আছে। জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করার পরিকল্পনাও আছে। নিশ্চয় এই পরিকল্পনা এক দিন বাস্তবায়ন হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভালো কাজের মধ্যে থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গা যে শুধু বাংলাদেশের বুকে নয়, বিশ্বের বুকে আছে, নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গা তার একটি পরিচয় বহন করে। এই কাজগুলোকে আরও বেশি তরান্বিত করতে হবে।’
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, দৈনিক প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার এডমিন সাদিক আনাম জোয়ার্দ্দার। দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর নিজস্ব প্রতিবেদক অধিকারকর্মী মেহেরাব্বিন সানভীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার অন্যতম এডমিন সজল আহমেদ অর্ণব, মাহমুদা আক্তার অনি, মারিয়াম বিনতে জাহাঙ্গীর, মেহেদী খান, রাশেদুল ইসলাম রানা, ফাহিম ফয়সাল মল্লিক প্রমুখ।
নেটওয়ার্ক চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে তাঁদের নিজস্ব ফেসবুক গ্রুপে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘শীতের চুয়াডাঙ্গা’ শিরোনামে একটি ফটোকন্টেস্ট হয়। এই কন্টেস্টে লাইক ও কমেন্টের ভিত্তিতে চারটি ক্যাটাগরি মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিশেষ ক্যাটাগরিতে বখতিয়ার হামিদ, শীতের প্রকৃতি ক্যাটাগরিতে প্রথম হন অ্যাভেনি রহমান, দ্বিতীয় ফাহিম ফয়সাল মল্লিক, তৃতীয় আব্দুল্লাগ আল মাপুজ রুমি, শীতের সৃজনশীলতায় প্রথম মিরানা অনি, দ্বিতীয় অ্যাভেনি রহমান ও তৃতীয় পাপিয়া সুলতানা এবং শীতের সেলফিতে মাহবুব আলম, ইমাজউদ্দীন কৌশিক ও তৃতীয় ফাহিম ফয়সাল মল্লিক।