ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারা দেশে নানা আয়োজনে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালনসহ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে মোববাতী প্রজ্জ্বলন

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার শহিদবেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, আলোক মিছিল, প্রতীকী ব্লাক আউট ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী আলোচনা সভা, প্রার্থনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি ছিল উল্লেখযোগ্য। গণহত্যা দিবসের প্রতিটি কর্মসূচিতে এবারও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দিবসটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ছিল সকলের মুখে মুখে।

পাকিস্তানিদের ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানের নতুন ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘একাত্তরের গণহত্যাসহ পৃথিবীর সব গণহত্যা যেন আমরা ভুলে না যায়। অব্যাহতভাবে এ গণহত্যার স্বীকৃতি হিসেবে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার সপক্ষে দাবি জোরদার করতে হবে। এখনও কিছু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রয়েছে, যাদের প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। বাঙালির জাতির আত্মপরিচয় ও মর্যাদার ইতিহাস প্রতিষ্ঠার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের জবাব দিতেই ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকা শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।

প্রতিকী ব্ল্যাক আউট ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর আগ মুহূর্তে যেভাবে চারদিক ভয়ঙ্কর অন্ধকার করে রাখা হয়। ঠিক সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে এক মিনিটের জন্য প্রতীকী অন্ধকারে রাখা হয় গোটা চুয়াডাঙ্গা শহর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সহায়তায় রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া জেলা শহরের সব জায়গায় এই প্রতীকী অন্ধকার (ব্ল্যাক আউট) কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র/প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করে জেলা তথ্য অফিস। সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ও অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ হাসান চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে মোববাতী প্রজ্জ্বলন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলাদ মাহফিল:

ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে পবিত্র কুরআন খতম, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডশেন চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আশরাফ আলী।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত সকলকে আসন্ন পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানান। তিনি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি ২৫ মার্চসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন, সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নি সেনা মইনদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অহর আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামিম রেজার উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম আজম প্রমুখ। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির শহিদবেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সন্ধ্যার ৭টার দিকে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অহর আলী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. হামিদুল ইসলাম আজম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম, ইনস্ট্রাক্টর জামাল হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, সোহেল প্রমুখ।

দর্শনা:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দর্শনা ফুলতলায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে কালোরাত্রীকে স্মরণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কংগ্রেস পার্টির অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা (কমরেড) শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান ও দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রবিউল হক সুমন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, মামুন শাহ্, আশরাফুল ইসলাম, সোলাইমান কবীর, দর্শনা পৌর কর্মকতা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাত ৯টায় ১ মিনিটে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সাইরেন বাজনোর সাথে সাথে ১ মিনিটে স্থির থাকার পর দর্শনা ফুলতলা থেকে এক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে কেরুজ সৃতিস্তম্ভে যেয়ে শেষ হয়।

জীবননগর:

জীবননগরে ভয়াল ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক প্রমুখ।

মেহেরপুর:

মেহেরপুরে ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক।

এছাড়াও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে দর্শকদের মন জয় করে।

গাংনী:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে গাংনী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মণ্টু আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডামের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন ওস্তাদ সেলিম রেজা, তবলায় বুলবুল আহমেদ, জিপসীতে সাংবাদিক সাহাজুল ইসলাম সাজু ও দোতারায় জেএস বাপ্পী। সংগীত পরিবেশন করেন মাহবুবা আক্তার বিউটি, মকসুরাতুম লাজ, আদ্রিতা ইমরোজ মেঘ, আজিজুল হক রানু, গোলাম মোস্তফা, নিরব হোসেন ও শিশু শিল্পী আরোহী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারা দেশে নানা আয়োজনে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২

প্রতীকী ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালনসহ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে মোববাতী প্রজ্জ্বলন

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার শহিদবেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, আলোক মিছিল, প্রতীকী ব্লাক আউট ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী আলোচনা সভা, প্রার্থনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি ছিল উল্লেখযোগ্য। গণহত্যা দিবসের প্রতিটি কর্মসূচিতে এবারও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দিবসটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ছিল সকলের মুখে মুখে।

পাকিস্তানিদের ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানের নতুন ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘একাত্তরের গণহত্যাসহ পৃথিবীর সব গণহত্যা যেন আমরা ভুলে না যায়। অব্যাহতভাবে এ গণহত্যার স্বীকৃতি হিসেবে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার সপক্ষে দাবি জোরদার করতে হবে। এখনও কিছু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রয়েছে, যাদের প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। বাঙালির জাতির আত্মপরিচয় ও মর্যাদার ইতিহাস প্রতিষ্ঠার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের জবাব দিতেই ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকা শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।

প্রতিকী ব্ল্যাক আউট ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর আগ মুহূর্তে যেভাবে চারদিক ভয়ঙ্কর অন্ধকার করে রাখা হয়। ঠিক সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে এক মিনিটের জন্য প্রতীকী অন্ধকারে রাখা হয় গোটা চুয়াডাঙ্গা শহর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সহায়তায় রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া জেলা শহরের সব জায়গায় এই প্রতীকী অন্ধকার (ব্ল্যাক আউট) কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র/প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করে জেলা তথ্য অফিস। সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ও অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ হাসান চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে মোববাতী প্রজ্জ্বলন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলাদ মাহফিল:

ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে পবিত্র কুরআন খতম, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডশেন চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আশরাফ আলী।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত সকলকে আসন্ন পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানান। তিনি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি ২৫ মার্চসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন, সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নি সেনা মইনদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অহর আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামিম রেজার উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম আজম প্রমুখ। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির শহিদবেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সন্ধ্যার ৭টার দিকে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অহর আলী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. হামিদুল ইসলাম আজম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম, ইনস্ট্রাক্টর জামাল হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, সোহেল প্রমুখ।

দর্শনা:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দর্শনা ফুলতলায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে কালোরাত্রীকে স্মরণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কংগ্রেস পার্টির অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা (কমরেড) শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান ও দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রবিউল হক সুমন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, মামুন শাহ্, আশরাফুল ইসলাম, সোলাইমান কবীর, দর্শনা পৌর কর্মকতা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাত ৯টায় ১ মিনিটে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সাইরেন বাজনোর সাথে সাথে ১ মিনিটে স্থির থাকার পর দর্শনা ফুলতলা থেকে এক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে কেরুজ সৃতিস্তম্ভে যেয়ে শেষ হয়।

জীবননগর:

জীবননগরে ভয়াল ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক প্রমুখ।

মেহেরপুর:

মেহেরপুরে ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক।

এছাড়াও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে দর্শকদের মন জয় করে।

গাংনী:

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে গাংনী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মণ্টু আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডামের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন ওস্তাদ সেলিম রেজা, তবলায় বুলবুল আহমেদ, জিপসীতে সাংবাদিক সাহাজুল ইসলাম সাজু ও দোতারায় জেএস বাপ্পী। সংগীত পরিবেশন করেন মাহবুবা আক্তার বিউটি, মকসুরাতুম লাজ, আদ্রিতা ইমরোজ মেঘ, আজিজুল হক রানু, গোলাম মোস্তফা, নিরব হোসেন ও শিশু শিল্পী আরোহী।