ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পর্যায়ে আ.লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তারা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলা সদর, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ পালন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ:
বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সকল উন্নয়ন ধ্বংস করার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শহিদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি বাংলা মানুষের অনেক প্রত্যাশা। এই সরকার যে উন্নয়ন করেছে, যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা গেছে, হাজার বছরের অন্ধকার এলাকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের বাতি গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে আছি আমরা। আজকে বিএনপি-জামায়াত আপনারা যায় মনে করেন, আমাদের নেত্রী বারবার বলেছে শান্ত পরিবেশকে আমরা অশান্ত করতে দেব না। আমাদের আজকের আয়োজনের নামও শান্তি সমাবেশ। আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ দিতে পারতাম। আমরা কাউকে বাধা দেব না। আমরা শান্তির সাথে আন্দোলন করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে, এই বাংলায় আর কোনো সরকার তা পারেনি। বিএনপি-জামায়াত আপনারা ষড়যন্ত্র করবেন না। দেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত পাগলের প্রলাপ করছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে রাজনৈনিতক কর্মসূচির নামে পদযাত্রার ডাক দিয়ে তামাশা করছে বিএনপি। তাদের মাঠে কোনো অস্তিত্ব নেই। আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার নামে জনগণের সাথে ঠাট্টা করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আশরাফ আলী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে একটি রাষ্ট্রীয় ক্রান্তিকালে আপনাদের মাঝে দাঁড়াতে হয়েছে। সরকার গঠন হয় জনগণের ভোটে। ধাক্কা দিলে সরকার পড়ে যায়, এ রকম কথা রাজনীতিতে নেই। কিন্তু আজ শোনা যাচ্ছে। আরেকবার শুনেছি, হীরক রাজার দেশের সিনেমায়। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে এসছে। জনগণ যদি চায়, আপনারা যতই স্লোগান দেন, কাজ হবে না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকে। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। বিএনপি-জামায়াতকে বলব, জ্বালাও-পোড়াও বাদ দিয়ে সুষ্ঠু রাজনীতি করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, ‘এই দেশের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল, আমরা তখন বিরোধী দল ছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম। যখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছি, সেই মুহূর্তে আপনারা কী করেছেন? সেই সময় আমরা ভুলিনি, এই চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণও ভোলেনি। আমাদেও মুখ বন্ধ করার জন্য, আমাদের পঙ্গু করার জন্য, হত্যা করার জন্য আপনারা আমাদের ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করেছেন। সেই হামলার যদি বর্ণনা দিতে যায়, তাহলে শেষ হবে না। অসংখ্য নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে জেলখানায় আটকে রেখেছিলেন। অনেকেকে হত্যা করে মায়ের কোলকে খালি করে দিয়েছেন। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে অসংখ্য অত্যাচার করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই সব সন্ত্রাসীরা আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেকের পরিচালনায় শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক জনি আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল রানা, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওয়াসিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে শহরের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম করেন নেতৃবৃন্দ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ:
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এই সমাবেশের আয়োজন করে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগ। শান্তি সমাবেশে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ এটা বুঝে, কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা বুঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ২০১৪-১৫ সালেও এইরকম দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল অবরোধ ডাকে। সে সময় বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ২০১৪-১৫ সালের মতো যদি আবার বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে চুয়াডাঙ্গায় জেলা যুবলীগের তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
এসময় অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা। আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান, দরূদ হাসান, হাসানুল ইসলাম পলেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, শেখ রাসেল, খালিদ মন্ডল, দিপু বিশ্বাস, লোকমান, রনি, জামাল, জাকির, নোমান, জনি, লিফটন, বাচ্চু, মোমিন, জিসান, সোহাগ, আনোয়ার, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি- আসাদ, সম্পাদক- বিল্পব হোসেন, ৩নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রানা, সম্পাদক খানজাহান, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বনফুল, সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মেম্বার, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক চাঁদ, নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রহিদুল ইসলাম, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সভাপতি নইম হাসান জোয়ার্দ্দারের নির্দেশনায় আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে সস্ত্রাস নৈরাজ্য ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে এই শান্তি সমাবেশ করা হয়। জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান শিলনের সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেহালা ইউপি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ (বকুল), ডাউকি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমেদ, ইউপি যুবলীগের সদস্য নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়নের যুবলীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি সেক্রেটারিসহ সদস্যবৃন্দ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন তোহিদ হোসেন।


দামুড়হুদা:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটায় স্থানীয় ডাকবাংলো চত্ত্বর থেকে শান্তি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড হয়ে ব্রিজ মোড় ঘুরে চৌরাস্তার মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে চৌরাস্তার মোড়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্যান্টনমেন্টে বসে গঠন করা কোনো দল নয়। আওয়ামী লীগ মাটি-মানুষের দল, এর শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে এটা বিএনপির আকাশ কুসুম কল্পনা। আওয়ামী লীগ দেশে যে উন্নয়ন করেছে, সারা বিশ্ব আজ তার প্রশাংসা করছে। অথচ তাদের চোখে পড়ে না। তিনি হেনরি কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি টেনে বলেন, উনি এখনো বেঁচে আছেন। ওনি আফসোস করে বলেছেন, কেন যে আমি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলাম। সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হক, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম মহসীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূট্টু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল্লাহ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ: সালাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক নূর আলম লাভলু, মোমিনুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম মেম্বার, দফতর সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান, আলফাজ মল্লিক, জসিম উদ্দিন, ইউসুফ আলী খান ইছা মেম্বার, নুরুল মেম্বার, সুলতান, টোকন, আবু ফয়সাল, আসাদুল হক, উপজেলা যুবলীগের দফতর সম্পাদক রকিবুল হাসান, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভূট্টু, নতিপোতা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনার রশিদ, যুবলীগ নেতা হযরত আলী, হায়দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ হাফিজুর শামসের, নাহিদ হোসেন, শাহিন, ফজু, হেকমত, স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিক, সাবেক সভাপতি নিশান তরফদার, জামিরুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীন মোল্লা, যুগ্মআহবায়ক এমএ করিম, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, আব্দুর রহমান জসিম, আরজু আহমেদ রাকিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।


আন্দুলবাড়ীয়া:
সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪ টায় আন্দুলবাড়ীয়া চোয়েল চত্ত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোহা. আব্দুল লতিফ অমল।
বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশা, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, যুগ্ম সম্পাদক এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু, শেখ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোল্লা, আলতাফ হোসেন ফেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হারুণ মোল্লা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুসজ্জোহা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম নাসিম উদ্দিন, একাংশের সাধারণ সম্পাদক মীর জ্যাকি, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, মোস্তাফিজুর রহমান সেতু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষায়ক সম্পাদক বাগদাদ হোসেন বোকদাদ, যুবলীগনেতা পল্লব, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো, হাজী আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক শেখ রেজা বিডিয়ার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজের আলী, শেখ সামাদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আসাউল ইসলাম গোলাপ, শেখ সামাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী। স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়সমী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. খন্দকার মো. মিজানুর রহমান।


হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আওয়ামী লীগের বিশাল শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার সাতব্রীজ বাজার প্রাঙ্গনে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধক্ষ্য শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা রওশন আলী, ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা তুষার, জোড়াদাহ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু, তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ, ফলসী ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, রুঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মনজের।
শান্তি সমাবেশ বক্তারা বলেন, ‘নৌকা যার ভোট তার। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ সবসময় রাজপথে ছিলো আছে এবং থাকবে। তথাকথিত বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য বন্ধ করতে কঠোর হুশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একই সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সদা প্রস্তুত থাকার জন্য আহবানও জানান তাঁরা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পর্যায়ে আ.লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তারা

আপলোড টাইম : ০৭:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলা সদর, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ পালন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ:
বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সকল উন্নয়ন ধ্বংস করার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শহিদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি বাংলা মানুষের অনেক প্রত্যাশা। এই সরকার যে উন্নয়ন করেছে, যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা গেছে, হাজার বছরের অন্ধকার এলাকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের বাতি গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে আছি আমরা। আজকে বিএনপি-জামায়াত আপনারা যায় মনে করেন, আমাদের নেত্রী বারবার বলেছে শান্ত পরিবেশকে আমরা অশান্ত করতে দেব না। আমাদের আজকের আয়োজনের নামও শান্তি সমাবেশ। আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ দিতে পারতাম। আমরা কাউকে বাধা দেব না। আমরা শান্তির সাথে আন্দোলন করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে, এই বাংলায় আর কোনো সরকার তা পারেনি। বিএনপি-জামায়াত আপনারা ষড়যন্ত্র করবেন না। দেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত পাগলের প্রলাপ করছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে রাজনৈনিতক কর্মসূচির নামে পদযাত্রার ডাক দিয়ে তামাশা করছে বিএনপি। তাদের মাঠে কোনো অস্তিত্ব নেই। আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার নামে জনগণের সাথে ঠাট্টা করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আশরাফ আলী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে একটি রাষ্ট্রীয় ক্রান্তিকালে আপনাদের মাঝে দাঁড়াতে হয়েছে। সরকার গঠন হয় জনগণের ভোটে। ধাক্কা দিলে সরকার পড়ে যায়, এ রকম কথা রাজনীতিতে নেই। কিন্তু আজ শোনা যাচ্ছে। আরেকবার শুনেছি, হীরক রাজার দেশের সিনেমায়। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে এসছে। জনগণ যদি চায়, আপনারা যতই স্লোগান দেন, কাজ হবে না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকে। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। বিএনপি-জামায়াতকে বলব, জ্বালাও-পোড়াও বাদ দিয়ে সুষ্ঠু রাজনীতি করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, ‘এই দেশের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল, আমরা তখন বিরোধী দল ছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম। যখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছি, সেই মুহূর্তে আপনারা কী করেছেন? সেই সময় আমরা ভুলিনি, এই চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণও ভোলেনি। আমাদেও মুখ বন্ধ করার জন্য, আমাদের পঙ্গু করার জন্য, হত্যা করার জন্য আপনারা আমাদের ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করেছেন। সেই হামলার যদি বর্ণনা দিতে যায়, তাহলে শেষ হবে না। অসংখ্য নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে জেলখানায় আটকে রেখেছিলেন। অনেকেকে হত্যা করে মায়ের কোলকে খালি করে দিয়েছেন। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে অসংখ্য অত্যাচার করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই সব সন্ত্রাসীরা আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেকের পরিচালনায় শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক জনি আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল রানা, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওয়াসিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে শহরের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম করেন নেতৃবৃন্দ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ:
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এই সমাবেশের আয়োজন করে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগ। শান্তি সমাবেশে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ এটা বুঝে, কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা বুঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ২০১৪-১৫ সালেও এইরকম দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল অবরোধ ডাকে। সে সময় বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ২০১৪-১৫ সালের মতো যদি আবার বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে চুয়াডাঙ্গায় জেলা যুবলীগের তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
এসময় অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা। আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান, দরূদ হাসান, হাসানুল ইসলাম পলেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, শেখ রাসেল, খালিদ মন্ডল, দিপু বিশ্বাস, লোকমান, রনি, জামাল, জাকির, নোমান, জনি, লিফটন, বাচ্চু, মোমিন, জিসান, সোহাগ, আনোয়ার, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি- আসাদ, সম্পাদক- বিল্পব হোসেন, ৩নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রানা, সম্পাদক খানজাহান, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বনফুল, সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মেম্বার, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক চাঁদ, নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রহিদুল ইসলাম, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সভাপতি নইম হাসান জোয়ার্দ্দারের নির্দেশনায় আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে সস্ত্রাস নৈরাজ্য ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে এই শান্তি সমাবেশ করা হয়। জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান শিলনের সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেহালা ইউপি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ (বকুল), ডাউকি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমেদ, ইউপি যুবলীগের সদস্য নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়নের যুবলীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি সেক্রেটারিসহ সদস্যবৃন্দ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন তোহিদ হোসেন।


দামুড়হুদা:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটায় স্থানীয় ডাকবাংলো চত্ত্বর থেকে শান্তি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড হয়ে ব্রিজ মোড় ঘুরে চৌরাস্তার মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে চৌরাস্তার মোড়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্যান্টনমেন্টে বসে গঠন করা কোনো দল নয়। আওয়ামী লীগ মাটি-মানুষের দল, এর শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে এটা বিএনপির আকাশ কুসুম কল্পনা। আওয়ামী লীগ দেশে যে উন্নয়ন করেছে, সারা বিশ্ব আজ তার প্রশাংসা করছে। অথচ তাদের চোখে পড়ে না। তিনি হেনরি কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি টেনে বলেন, উনি এখনো বেঁচে আছেন। ওনি আফসোস করে বলেছেন, কেন যে আমি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলাম। সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হক, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম মহসীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূট্টু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল্লাহ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ: সালাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক নূর আলম লাভলু, মোমিনুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম মেম্বার, দফতর সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান, আলফাজ মল্লিক, জসিম উদ্দিন, ইউসুফ আলী খান ইছা মেম্বার, নুরুল মেম্বার, সুলতান, টোকন, আবু ফয়সাল, আসাদুল হক, উপজেলা যুবলীগের দফতর সম্পাদক রকিবুল হাসান, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভূট্টু, নতিপোতা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনার রশিদ, যুবলীগ নেতা হযরত আলী, হায়দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ হাফিজুর শামসের, নাহিদ হোসেন, শাহিন, ফজু, হেকমত, স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিক, সাবেক সভাপতি নিশান তরফদার, জামিরুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীন মোল্লা, যুগ্মআহবায়ক এমএ করিম, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, আব্দুর রহমান জসিম, আরজু আহমেদ রাকিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।


আন্দুলবাড়ীয়া:
সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪ টায় আন্দুলবাড়ীয়া চোয়েল চত্ত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোহা. আব্দুল লতিফ অমল।
বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশা, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, যুগ্ম সম্পাদক এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু, শেখ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোল্লা, আলতাফ হোসেন ফেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হারুণ মোল্লা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুসজ্জোহা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম নাসিম উদ্দিন, একাংশের সাধারণ সম্পাদক মীর জ্যাকি, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, মোস্তাফিজুর রহমান সেতু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষায়ক সম্পাদক বাগদাদ হোসেন বোকদাদ, যুবলীগনেতা পল্লব, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো, হাজী আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক শেখ রেজা বিডিয়ার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজের আলী, শেখ সামাদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আসাউল ইসলাম গোলাপ, শেখ সামাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু জিহাদী। স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়সমী লীগের সভাপতি ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. খন্দকার মো. মিজানুর রহমান।


হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আওয়ামী লীগের বিশাল শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার সাতব্রীজ বাজার প্রাঙ্গনে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধক্ষ্য শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা রওশন আলী, ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা তুষার, জোড়াদাহ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু, তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ, ফলসী ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, রুঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মনজের।
শান্তি সমাবেশ বক্তারা বলেন, ‘নৌকা যার ভোট তার। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ সবসময় রাজপথে ছিলো আছে এবং থাকবে। তথাকথিত বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য বন্ধ করতে কঠোর হুশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একই সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সদা প্রস্তুত থাকার জন্য আহবানও জানান তাঁরা।’