ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় কর্মব্যস্ত দিন পার করলেন কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কারো বাবা নেই, কারো নেই মা। আবার কারো বাবা-মা কেউই নেই। চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের (এতিমখানা) এমন শিশুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার ভাগ করে খেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এসব এতিম বাঁচ্চাদের সাথে গল্প ও মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে গল্প করে এবং দুপুরের খাবার খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছে সরকারি শিশু পরিবারের এই শিশুরা।
গতকাল দুপুরে শিশুসদনে মধ্যাহ্নভোজের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রোম্মানা বিলকিসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে এই এতিম বাঁচ্চাদের শীতবস্ত্রসহ তাদের পড়াশোনার সুবিধার্থে আইপিএস প্রদান করতে এসে কথা দিয়েছিলাম, তাদের সাথে একবেলা আহার করব। তাদেরকে দেওয়া কথা রাখতে আমি সব কাজ ফেলে চুয়াডাঙ্গায় এসেছি এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় দুপুরে একসাথে খাবারও খাব। এই এতিম বাঁচ্চারা আমাদের সমাজেরই অংশ, এরাও তো আমাদের সন্তান। আমি এই এতিম বাঁচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করছি এবং যতদিন বাঁচব করে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই এতিম বাঁচ্চাদেরও এখন থেকেই স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। আর আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। আপনারা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক আকবর ও স্থানীয় সংবাদপত্রের সংগঠনিক সম্পাদক পরিষদের সদস্য জান্নাতুল আওলিয়া নিশি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা বলেন, ‘যাদের বাবা-মা নেই তারা চাইলেও পরিবারের সাথে খাবার খেতে পারে না। আজ চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এই এতিম বাঁচ্চাদের সাথে আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেলেন। আমারা তার মহানুভবতা দেখালাম। এই বাঁচ্চাদের হাসিমুখ আমাদেরকেও আনন্দিত করেছে।’ অনুষ্ঠানে তারা দেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক সজলসহ চুয়াডাঙ্গায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার আওতায় আনলো তারা দেবী ফাউন্ডেশন। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গণুর হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন তারা বেদী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালব বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আলমডাঙ্গা পৌর শহরের রথতলা সংলগ্ন টকিজ সিনেমা হল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের আলমডাঙ্গা ইউনিটের সেক্রেটারি এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় অনেক আগেই গর্ভবতী মায়েদের সেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এবার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার আওতায় আনলাম। চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রসূতি মায়েদের সেবা নিশ্চিতসহ জরুরি মুহূর্তে সেবা প্রদান করায় হবে এই অ্যাম্বুলেন্সের কাজ। শুধামাত্র প্রসূতি মায়েরা নয়, তারা দেবী ফাউন্ডেশনের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, হতদরিদ্র পরিবারের বয়বৃদ্ধ অসুস্থ রোগীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু গড়েই তোলেননি, তিনি এ বাংলাকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করেছেন। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। তার এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি এই চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে এবং এ জেলার মানুষের কল্যাণে নিজের দ্বায়বদ্ধতা থেকেই কাজ করছি। আমি যতদিন বাঁচব মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাব। এই তারা দেবী ফাউন্ডেশনটি আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছি। আপনারা আমার স্বর্গীয় মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’
তারা দেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের আলমডাঙ্গা ইউনিটের সহসভাপতি রহমান মুকুল ও কোষাধ্যক্ষ বিজেশ কুমার রামেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম রিফাত, তরিকুল ইসলাম রিফাত, বাজুস আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি বাবু দিলীপ কুমার চৌধুরী ও সেক্রেটারি আব্দুল জলিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় কর্মব্যস্ত দিন পার করলেন কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

আপলোড টাইম : ০৭:৩৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কারো বাবা নেই, কারো নেই মা। আবার কারো বাবা-মা কেউই নেই। চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের (এতিমখানা) এমন শিশুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার ভাগ করে খেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এসব এতিম বাঁচ্চাদের সাথে গল্প ও মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে গল্প করে এবং দুপুরের খাবার খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছে সরকারি শিশু পরিবারের এই শিশুরা।
গতকাল দুপুরে শিশুসদনে মধ্যাহ্নভোজের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রোম্মানা বিলকিসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে এই এতিম বাঁচ্চাদের শীতবস্ত্রসহ তাদের পড়াশোনার সুবিধার্থে আইপিএস প্রদান করতে এসে কথা দিয়েছিলাম, তাদের সাথে একবেলা আহার করব। তাদেরকে দেওয়া কথা রাখতে আমি সব কাজ ফেলে চুয়াডাঙ্গায় এসেছি এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় দুপুরে একসাথে খাবারও খাব। এই এতিম বাঁচ্চারা আমাদের সমাজেরই অংশ, এরাও তো আমাদের সন্তান। আমি এই এতিম বাঁচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করছি এবং যতদিন বাঁচব করে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই এতিম বাঁচ্চাদেরও এখন থেকেই স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। আর আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। আপনারা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক আকবর ও স্থানীয় সংবাদপত্রের সংগঠনিক সম্পাদক পরিষদের সদস্য জান্নাতুল আওলিয়া নিশি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা বলেন, ‘যাদের বাবা-মা নেই তারা চাইলেও পরিবারের সাথে খাবার খেতে পারে না। আজ চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এই এতিম বাঁচ্চাদের সাথে আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেলেন। আমারা তার মহানুভবতা দেখালাম। এই বাঁচ্চাদের হাসিমুখ আমাদেরকেও আনন্দিত করেছে।’ অনুষ্ঠানে তারা দেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক সজলসহ চুয়াডাঙ্গায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার আওতায় আনলো তারা দেবী ফাউন্ডেশন। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গণুর হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন তারা বেদী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালব বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আলমডাঙ্গা পৌর শহরের রথতলা সংলগ্ন টকিজ সিনেমা হল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের আলমডাঙ্গা ইউনিটের সেক্রেটারি এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় অনেক আগেই গর্ভবতী মায়েদের সেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এবার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার আওতায় আনলাম। চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রসূতি মায়েদের সেবা নিশ্চিতসহ জরুরি মুহূর্তে সেবা প্রদান করায় হবে এই অ্যাম্বুলেন্সের কাজ। শুধামাত্র প্রসূতি মায়েরা নয়, তারা দেবী ফাউন্ডেশনের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, হতদরিদ্র পরিবারের বয়বৃদ্ধ অসুস্থ রোগীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু গড়েই তোলেননি, তিনি এ বাংলাকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করেছেন। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। তার এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি এই চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে এবং এ জেলার মানুষের কল্যাণে নিজের দ্বায়বদ্ধতা থেকেই কাজ করছি। আমি যতদিন বাঁচব মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাব। এই তারা দেবী ফাউন্ডেশনটি আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছি। আপনারা আমার স্বর্গীয় মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’
তারা দেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের আলমডাঙ্গা ইউনিটের সহসভাপতি রহমান মুকুল ও কোষাধ্যক্ষ বিজেশ কুমার রামেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম রিফাত, তরিকুল ইসলাম রিফাত, বাজুস আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি বাবু দিলীপ কুমার চৌধুরী ও সেক্রেটারি আব্দুল জলিল।