ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীনকে মহাকাশ যুদ্ধে টেক্কা দিতে প্রস্তুতি শুরু ভারতের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
ভারত দু’বছর আগে উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরুর বার্তা দিয়েছিল। এবার দেশটির মহাকাশ প্রতিরক্ষা সংস্থা (ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি বা ডিএসএ) প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের উদ্দেশ্যে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। ভূপৃষ্ঠের ৩০০ কিলোমিটার উপরে থাকা একটি বাতিল উপগ্রহকে ২০১৯-এর ২৭ মার্চ ধ্বংস করেছিল ডিআরডিও-র ‘মিশন শক্তি’ কর্মসূচিতে তৈরি ‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র । ওডিশার এ পি জে আব্দুল কালাম উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে প্রথম ভারতীয় পদার্পণের সেই ইতিহাসের পর ২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা এবং মহাকাশ যুদ্ধের কৌশলগত পদক্ষেপের পাশাপাশি মহাকাশের পরিবেশ রক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে এ বিষয়ে প্রাথমিক ঘোষণা আসতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ধ্বংস হওয়া অকোজো উপগ্রহটির শ’চারেক টুকরো মহাকাশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অভিযোগ তুলেছিল সে সময়। সামরিক উদ্দেশ্যে মহাকাশের ব্যবহারের পথপ্রদর্শক আমেরিকা। পরবর্তীকালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনও সেই পথ অনুসরণ করে। অতীতে ওই ৩ দেশের বিরুদ্ধেও উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মহাকাশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে চীন একটি উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল। ভারতকে ‘জবাব’ দিতেই চীনের ওই পদক্ষেপ ছিল বলে মনে করেন কেউ কেউ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চীনকে মহাকাশ যুদ্ধে টেক্কা দিতে প্রস্তুতি শুরু ভারতের

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিশ্ব ডেস্ক:
ভারত দু’বছর আগে উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরুর বার্তা দিয়েছিল। এবার দেশটির মহাকাশ প্রতিরক্ষা সংস্থা (ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি বা ডিএসএ) প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের উদ্দেশ্যে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। ভূপৃষ্ঠের ৩০০ কিলোমিটার উপরে থাকা একটি বাতিল উপগ্রহকে ২০১৯-এর ২৭ মার্চ ধ্বংস করেছিল ডিআরডিও-র ‘মিশন শক্তি’ কর্মসূচিতে তৈরি ‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র । ওডিশার এ পি জে আব্দুল কালাম উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে প্রথম ভারতীয় পদার্পণের সেই ইতিহাসের পর ২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা এবং মহাকাশ যুদ্ধের কৌশলগত পদক্ষেপের পাশাপাশি মহাকাশের পরিবেশ রক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে এ বিষয়ে প্রাথমিক ঘোষণা আসতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ধ্বংস হওয়া অকোজো উপগ্রহটির শ’চারেক টুকরো মহাকাশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অভিযোগ তুলেছিল সে সময়। সামরিক উদ্দেশ্যে মহাকাশের ব্যবহারের পথপ্রদর্শক আমেরিকা। পরবর্তীকালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনও সেই পথ অনুসরণ করে। অতীতে ওই ৩ দেশের বিরুদ্ধেও উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মহাকাশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে চীন একটি উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল। ভারতকে ‘জবাব’ দিতেই চীনের ওই পদক্ষেপ ছিল বলে মনে করেন কেউ কেউ।