ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীনকে ‘বন্ধু’ বলল তালেবান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
চীনকে আফগানিস্তানের ‘বন্ধু’ হিসেবে বিচেবনা করছে তালেবান। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীন বিনিয়োগ করবে বলে আশা করছে সংগঠনটি। এমনকি চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর যোদ্ধাদের তালেবান কোনো রকম সহযোগিতা করবে না বলেও বেইজিংকে আশ্বস্ত করেছে সংগঠনটি। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ দখলের বিষয়টি জানিয়ে দেশটির পুনর্গঠনে চীন বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তালেবান ক্ষমতায় গেলে আফগানিস্তান পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলনের (ইটিআইএম) জন্য কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে চীন উদ্বেগ প্রকাশের পর তালেবানের তরফ থেকে এই মন্তব্য করা হলো। এর আগে তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সংশ্লিষ্টতা আছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল চীন।এমনকি চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর আন্দোলনের পেছনে তালেবানের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করে আসছিল বেইজিং। তবে আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া শেষ না করেই সেখান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারে বেশ বেকায়দায় পড়েছে চীন। চার্টার্ড বিমানে করে আফগানিস্তানে থাকা ২১০ চীনা নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বেইজিং। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি বলেছিলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি চীন আর পাকিস্তান- দুই দেশের ওপরই প্রভাব ফেলছে। তাই আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় বেইজিং ও ইসলামাবাদের একসাথে কাজ করা দরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চীনকে ‘বন্ধু’ বলল তালেবান

আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

বিশ্ব প্রতিবেদন:
চীনকে আফগানিস্তানের ‘বন্ধু’ হিসেবে বিচেবনা করছে তালেবান। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীন বিনিয়োগ করবে বলে আশা করছে সংগঠনটি। এমনকি চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর যোদ্ধাদের তালেবান কোনো রকম সহযোগিতা করবে না বলেও বেইজিংকে আশ্বস্ত করেছে সংগঠনটি। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ দখলের বিষয়টি জানিয়ে দেশটির পুনর্গঠনে চীন বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তালেবান ক্ষমতায় গেলে আফগানিস্তান পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলনের (ইটিআইএম) জন্য কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে চীন উদ্বেগ প্রকাশের পর তালেবানের তরফ থেকে এই মন্তব্য করা হলো। এর আগে তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সংশ্লিষ্টতা আছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল চীন।এমনকি চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর আন্দোলনের পেছনে তালেবানের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করে আসছিল বেইজিং। তবে আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া শেষ না করেই সেখান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারে বেশ বেকায়দায় পড়েছে চীন। চার্টার্ড বিমানে করে আফগানিস্তানে থাকা ২১০ চীনা নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বেইজিং। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি বলেছিলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি চীন আর পাকিস্তান- দুই দেশের ওপরই প্রভাব ফেলছে। তাই আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় বেইজিং ও ইসলামাবাদের একসাথে কাজ করা দরকার।