ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চিলাভালকিতে মসজিদ ও ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে উত্তেজনা : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকি গ্রামের মসজিদ ও ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। গ্রামবাসীর সুবিধার জন্য গ্রামের মৃত গোলজার মাষ্টার নিজের উপর মসজিদ, ঈদগাহ ও করব স্থান নির্মান করেন। নিজের জমির উপর দিয়ে একটি রাস্তাও করে দেন তিনি। গোলজার মাষ্টারের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসেরা রাস্তা ঘিরে দিয়ে অন্য দিকে রাস্তা করে দিয়ে পুরানো রাস্তার উপর দোকান নির্মান করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে আলমডাঙ্গা থানায় গ্রামের কয়েকজন কে আসামী করে মামলা হয়েছে।
জানা গেছে আলমডাঙ্গার চিলাভালকি গ্রামের মৃত গোলজার মাষ্টার গ্রামবাসীর সুবিধার জন্য নিজ জমির উপর একটি মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মান করে। সেই মসজিদ ও ঈদগাহের যাতায়াযাতের জন্য নিজ জমির উপর দিয়ে রাস্তা করে দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই রাস্তার উপর মাঠি ভরাট করে। গতকাল সরেজমিনে গেলে গোলজার মাষ্টারের ছেলে মোরারফ, মিলন, টিটুল ও পলাশ অভিযোগ করে বলেন মসজিদ ও ঈদগাহ তাদের নিজেদের জমির উপর নির্মান করা। জমিটি প্রায় ৪০ বিঘা। জমিটির চার পাশ দিয়ে মোট ৫/৬ টি রাস্তা রয়েছে মসজিদের যাবার জন্য। জমিটি অরক্ষিত থাকার কারণে দখল হয়ে যাচ্ছে। মেইন রাস্তার পাশে দিয়ে একটি রাস্তা মসজিদের যাবার জন্য রয়েছে। কয়েকদিন আগে সেই রাস্তার পাশে একটি পাকা দোকান নির্মান করতে গেলে গ্রামের কিছু ব্যক্তি বাধা প্রদান করে। উক্ত রাস্তা নিয়ে গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গোলজার মাষ্টারের ছেলেদের অভিযোগ যেহেতু জমিটির ৬টি জায়গা দিয়ে রাস্তা সেহেতু যেকোন একটি রাস্তা দিয়ে মসজিদে গেলেই হলো মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে রাস্তা দিলে মেইন পজিশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেদিক দিয়ে রাস্তা দিচ্ছি সেই রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে সুবিধা হবে। গ্রামের একটি পক্ষ রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন হয়রানি করে চলেছে। এ ব্যাপারে গ্রামের অপর পক্ষ গোলজার মাষ্টারের ছেলেদের ও গ্রামের কয়েকজনের নামে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। অপর দিকে গ্রামবাসী জানাই, মৃত গোলজার মাষ্টার মৌখিক ভাবে উক্ত রাস্তাটি মসজিদের নামে দান করে দিয়ে যান। বর্তমানে তার সন্তানেরা সেই রাস্তা বন্ধ করে পাকা দোকান নির্মান করায় এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চিলাভালকিতে মসজিদ ও ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে উত্তেজনা : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

আপলোড টাইম : ০৫:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকি গ্রামের মসজিদ ও ঈদগাহের রাস্তা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। গ্রামবাসীর সুবিধার জন্য গ্রামের মৃত গোলজার মাষ্টার নিজের উপর মসজিদ, ঈদগাহ ও করব স্থান নির্মান করেন। নিজের জমির উপর দিয়ে একটি রাস্তাও করে দেন তিনি। গোলজার মাষ্টারের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসেরা রাস্তা ঘিরে দিয়ে অন্য দিকে রাস্তা করে দিয়ে পুরানো রাস্তার উপর দোকান নির্মান করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে আলমডাঙ্গা থানায় গ্রামের কয়েকজন কে আসামী করে মামলা হয়েছে।
জানা গেছে আলমডাঙ্গার চিলাভালকি গ্রামের মৃত গোলজার মাষ্টার গ্রামবাসীর সুবিধার জন্য নিজ জমির উপর একটি মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মান করে। সেই মসজিদ ও ঈদগাহের যাতায়াযাতের জন্য নিজ জমির উপর দিয়ে রাস্তা করে দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই রাস্তার উপর মাঠি ভরাট করে। গতকাল সরেজমিনে গেলে গোলজার মাষ্টারের ছেলে মোরারফ, মিলন, টিটুল ও পলাশ অভিযোগ করে বলেন মসজিদ ও ঈদগাহ তাদের নিজেদের জমির উপর নির্মান করা। জমিটি প্রায় ৪০ বিঘা। জমিটির চার পাশ দিয়ে মোট ৫/৬ টি রাস্তা রয়েছে মসজিদের যাবার জন্য। জমিটি অরক্ষিত থাকার কারণে দখল হয়ে যাচ্ছে। মেইন রাস্তার পাশে দিয়ে একটি রাস্তা মসজিদের যাবার জন্য রয়েছে। কয়েকদিন আগে সেই রাস্তার পাশে একটি পাকা দোকান নির্মান করতে গেলে গ্রামের কিছু ব্যক্তি বাধা প্রদান করে। উক্ত রাস্তা নিয়ে গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গোলজার মাষ্টারের ছেলেদের অভিযোগ যেহেতু জমিটির ৬টি জায়গা দিয়ে রাস্তা সেহেতু যেকোন একটি রাস্তা দিয়ে মসজিদে গেলেই হলো মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে রাস্তা দিলে মেইন পজিশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেদিক দিয়ে রাস্তা দিচ্ছি সেই রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে সুবিধা হবে। গ্রামের একটি পক্ষ রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন হয়রানি করে চলেছে। এ ব্যাপারে গ্রামের অপর পক্ষ গোলজার মাষ্টারের ছেলেদের ও গ্রামের কয়েকজনের নামে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। অপর দিকে গ্রামবাসী জানাই, মৃত গোলজার মাষ্টার মৌখিক ভাবে উক্ত রাস্তাটি মসজিদের নামে দান করে দিয়ে যান। বর্তমানে তার সন্তানেরা সেই রাস্তা বন্ধ করে পাকা দোকান নির্মান করায় এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।