ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসার দায়িত্ব নিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ২০০ বার পড়া হয়েছে

মা হলেন মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী, মেলেনি বাবার পরিচয়
প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী। গত শুক্রবার বিকেলে সন্তান প্রসব করেন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী। পরে রাত ৮ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে হাসপাতালে ছুটে যান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। তিনি হাসপাতালেই অজ্ঞাত ওই নারীর নবজাতককে বুকে তুলে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। বিষয়টির দেখভাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর শুনে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নবজাতক ও নবজাতকটির মায়ের সকল চিকিৎসার খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো অর্থ প্রদানও করেন জেলা প্রশাসক। মা ও সদ্যজাত নবজাতকের চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে নিজ বাড়িতে আশ্রয় ও সেবাদানকারী উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের দিনমজুর আমজাদ-ছাকিরন দম্পতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়াকর্মিদের সহযোগীতায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল ৪টার দিকে তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আফসানা পারভিন জানান, ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে স্বভাবিক না থাকায় একটি অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান বের করা হয়েছে। তবে মা ও নবজাতক এখন সুস্থ আছে। আনুমানিক ২২-২৩ বছরের পরিচয়হীন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী উপজেলার কোলাবাজারে ঘোরাফেরা করতেন। নিজের নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারেন না। গত কয়েকদিন আগে পরিচয়হীন এই প্রতিবন্ধী অসুস্থ অবস্থায় ময়ধরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। ওই রাতেই গ্রামের কয়েকজন তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখেই বলেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এখন তার পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া আর বিশ্রাম দরকার। দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা। এরপর বেশ খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এই অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের মৃত সালামত আলীর ছেলে দিনমজুর আমজাদ আলী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চিকিৎসার দায়িত্ব নিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

মা হলেন মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী, মেলেনি বাবার পরিচয়
প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী। গত শুক্রবার বিকেলে সন্তান প্রসব করেন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী। পরে রাত ৮ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে হাসপাতালে ছুটে যান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। তিনি হাসপাতালেই অজ্ঞাত ওই নারীর নবজাতককে বুকে তুলে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। বিষয়টির দেখভাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর শুনে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নবজাতক ও নবজাতকটির মায়ের সকল চিকিৎসার খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো অর্থ প্রদানও করেন জেলা প্রশাসক। মা ও সদ্যজাত নবজাতকের চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে নিজ বাড়িতে আশ্রয় ও সেবাদানকারী উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের দিনমজুর আমজাদ-ছাকিরন দম্পতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়াকর্মিদের সহযোগীতায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল ৪টার দিকে তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আফসানা পারভিন জানান, ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে স্বভাবিক না থাকায় একটি অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান বের করা হয়েছে। তবে মা ও নবজাতক এখন সুস্থ আছে। আনুমানিক ২২-২৩ বছরের পরিচয়হীন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী উপজেলার কোলাবাজারে ঘোরাফেরা করতেন। নিজের নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারেন না। গত কয়েকদিন আগে পরিচয়হীন এই প্রতিবন্ধী অসুস্থ অবস্থায় ময়ধরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। ওই রাতেই গ্রামের কয়েকজন তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখেই বলেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এখন তার পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া আর বিশ্রাম দরকার। দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা। এরপর বেশ খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এই অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের মৃত সালামত আলীর ছেলে দিনমজুর আমজাদ আলী।