চার বছর পর ঘরের মাঠে মুশফিকের সেঞ্চুরি
- আপলোড টাইম : ০৯:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮
- / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
খেলাধুলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে বৃহস্পতিবার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সাদা পোশাকে ঘরের মাঠে চার বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ১০১ রান করেছেন মুশফিক। দিনের খেলা শেষ হওয়ার এক ওভার আগে পেসার এবাদত হোসেনের বলে ১ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের নবম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেঞ্চুরির স্বাদ পান মুশফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার রয়েছে ৫ টেস্ট সেঞ্চুরি। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ওয়ালটনের বিপক্ষে লড়াই করে বিসিবি নর্থ জোন। ১২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক ও আরিফুল ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বাঁধেন। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন তারা। আরিফুল ৪২ রানে ফিরে গেলেও মুশফিক একপ্রান্ত আগলে রাখেন। আরিফুলের পর সাজঘরের পথ ধরেন ফরহাদ রেজাও। দ্রুত সঙ্গী হারালেও মুশফিক ২২ গজে থিতু হয়ে ছিলেন। শেষ বিকেলে তাইজুলকে নিয়ে ১১৩ বলে ৭০ রান যোগ করেন মুশফিক। এতে তাইজুলের অবদান মাত্র ২১ রান। বাকি রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তাতেই তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন। ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন ভালোভাবেই। ঘরের মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুশফিক শেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেনি বিসিবি নর্থের জার্সিতেই। ২০১৪ সালে বিসিএলের দ্বিতীয় আসরে বিকেএসপিতে নর্থের হয়ে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের বিপক্ষে ১০০ রান করেছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব কম ম্যাচ খেলেছেন। তবে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও সাদা পোশাকে পাননি সেঞ্চুরির স্বাদ। ওই ম্যাচের পর দেশের বাইরে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১৬, ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৯, হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে ১২৭ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন। এরপর তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো সেঞ্চুরি নেই। এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের মাটিতে মুশফিকের সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আট বছর আগে। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে করেছিলেন ১০১ রান। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই একই বছরের মার্চে ৯৫ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি বছর ৯২ রান করেছেন মুশফিক। আজ নিজ শহরের মাঠে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরালো তার।