ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাকরি ছেড়ে রাতারাতি হয়ে উঠে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

বন্দুকযুদ্ধে নিহত কার্পাসডাঙ্গার বারী হক ওরফে বারেক জড়িয়ে পড়ে মাদক সিন্ডিকেটে

অঙ্কন মল্লিক : দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার চিহ্নিত মাদক স¤্রাট ক্রসফায়ারে নিহত বারেক কার্পাসডাঙ্গার খাবলি পাড়ার মৃত আব্দুল গনির ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্য ৪র্থ সন্তান। বারেক তার আপন চাচাতো বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে বারেকের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বারেক জীবনের শুরুতে তাল্লু স্পিনিং মিলে প্রায় দু’বছর চাকরি করেছে বলে জানা গেছে। তাল্লু স্পিনিং মিলে চাকরি ছেড়ে দেবার পর বারেক জড়িয়ে পড়ে চোরাকারবারীর সাথে। ভারতীয় শাড়ি কাপড়সহ ভারতীয় সাইকেল চোরাচালান করতো। চোরাকারবারীর পাশাপাশি একসময় বারেক মাদকের অন্ধকার জগতে পা বাড়ায়। প্রথমেই মদ ও ফেন্সিডিল ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। এরপর সে আস্তে আস্তে হয়ে উঠে এলাকার শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। সে এলাকার ছোট বড় সকলে কাছে মাদকের সম্রাট হিসাবেই পরিচিত। বারেক মদ ফেন্সিডিলের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার হয়ে উঠে। এলাকার শত শত যুবককে মাদকের নীল থাবায় যুক্ত করে সে। তার নামে দামুড়হুদা মডেল থানাসহ অন্যান্য থানায় প্রায় ১৫টিরও অধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে। বারেক মাদকের মামলায় অনেকবার হাজতবাস করেছে কিন্তু জামিনে বের হয়েই আবার পুরোদমে শুরু করতো তার মাদকের ব্যবসা। তার অবর্তমানে মাদকের ব্যবসার দেখভাল করতো তার স্ত্রী। তার স্ত্রীর নামেও মাদকের মামলা আছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ বেশ কয়েকদিন পূর্বে বারেক হাজতবাস থেকে জামিনে বের হলে পুলিশ তাকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেবার পথে বারেককে ছিনিয়ে নিতে তার সঙ্গীদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। মাদক সম্রাট বারেকের পতনে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চাকরি ছেড়ে রাতারাতি হয়ে উঠে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী

আপলোড টাইম : ১১:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯

বন্দুকযুদ্ধে নিহত কার্পাসডাঙ্গার বারী হক ওরফে বারেক জড়িয়ে পড়ে মাদক সিন্ডিকেটে

অঙ্কন মল্লিক : দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার চিহ্নিত মাদক স¤্রাট ক্রসফায়ারে নিহত বারেক কার্পাসডাঙ্গার খাবলি পাড়ার মৃত আব্দুল গনির ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্য ৪র্থ সন্তান। বারেক তার আপন চাচাতো বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে বারেকের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বারেক জীবনের শুরুতে তাল্লু স্পিনিং মিলে প্রায় দু’বছর চাকরি করেছে বলে জানা গেছে। তাল্লু স্পিনিং মিলে চাকরি ছেড়ে দেবার পর বারেক জড়িয়ে পড়ে চোরাকারবারীর সাথে। ভারতীয় শাড়ি কাপড়সহ ভারতীয় সাইকেল চোরাচালান করতো। চোরাকারবারীর পাশাপাশি একসময় বারেক মাদকের অন্ধকার জগতে পা বাড়ায়। প্রথমেই মদ ও ফেন্সিডিল ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। এরপর সে আস্তে আস্তে হয়ে উঠে এলাকার শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। সে এলাকার ছোট বড় সকলে কাছে মাদকের সম্রাট হিসাবেই পরিচিত। বারেক মদ ফেন্সিডিলের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার হয়ে উঠে। এলাকার শত শত যুবককে মাদকের নীল থাবায় যুক্ত করে সে। তার নামে দামুড়হুদা মডেল থানাসহ অন্যান্য থানায় প্রায় ১৫টিরও অধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে। বারেক মাদকের মামলায় অনেকবার হাজতবাস করেছে কিন্তু জামিনে বের হয়েই আবার পুরোদমে শুরু করতো তার মাদকের ব্যবসা। তার অবর্তমানে মাদকের ব্যবসার দেখভাল করতো তার স্ত্রী। তার স্ত্রীর নামেও মাদকের মামলা আছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ বেশ কয়েকদিন পূর্বে বারেক হাজতবাস থেকে জামিনে বের হলে পুলিশ তাকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেবার পথে বারেককে ছিনিয়ে নিতে তার সঙ্গীদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। মাদক সম্রাট বারেকের পতনে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।