ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁদে ধারণার চেয়ে বেশি পানি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: চাঁদে পানি আছে, নাসার বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই অনুমান করে আসছিল। শুধু তাই নয়, ওই পানি বরফাকারে সেখানে জমা রয়েছে বলে আগের গবেষণাগুলোতে জানিয়েছিলো বিজ্ঞানীরা। তবে এবারের গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের ধারণার তুলনায় অনেক বেশি পানি আছে। আর তা সর্বত্র নয়, বরং নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় জমে রয়েছে। গত শুক্রবার নাসার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গবেষকরা বলেন, চাঁদে কিভাবে পানিগুলো আটকে আছে আর কোন অবস্থায় আছে, নতুন করে পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো এ প্রশ্নের সমাধান দেবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের নাসার কোন মিশনে চাঁদের ওই পানি কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তাও জানা যাবে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আগের গবেষণাগুলোতে দেখা যায়, চাঁদের পানিগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে বরফাকারে আটকে আছে। শুধু তাই নয়, পানির পরিমাণও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে নতুন গবেষণা পুরোনো অনেক থিউরির পুরোপুরি পাল্টা মত দিচ্ছে। জানা গেছে, ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ নামের একটি জার্নালে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক জশোয়া ব্যান্ডফিল্ড বলেন, চাঁদে পানি আছে সেটা সবসময় প্রমাণিত ছিলো। তবে চাঁদে কিভাবে পানি গেল এ বিষয়টি নিয়েও এখনও বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। গবেষকদের একটি অংশ মনে করে, পানির অনুগুলো সৃষ্টি হয়েছে সৌর বায়ুর মাধ্যমে। চার্জযুক্ত কণার তরঙ্গের মধ্য দিয়ে সূর্য থেকে চাঁদ পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। এতে চাঁদে পানি জমেছে। গবেষকদের আরেকটি দল মনে করেন, শতকোটি বছর আগে চাঁদের সৃষ্টির সময়-ই চাঁদে পানি সংরক্ষিত ছিল। এদিকে চাঁদের পানিকে জ্যোতির্বিদদের জন্য পানীয় করে তোলা যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নাসার বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই না, এ লক্ষ্যে চাঁদের পানি ব্যবহারযোগ্য কি না, তা যাচাইয়ের জন্য কাজ চালিয়েছে গবেষকরা। এদিকে হাইড্রোজেন রকেটের জ্বালানি হিসেবে চাঁদের পানিকে কাজে লাগানো যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়েও কাজ করছে তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চাঁদে ধারণার চেয়ে বেশি পানি

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: চাঁদে পানি আছে, নাসার বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই অনুমান করে আসছিল। শুধু তাই নয়, ওই পানি বরফাকারে সেখানে জমা রয়েছে বলে আগের গবেষণাগুলোতে জানিয়েছিলো বিজ্ঞানীরা। তবে এবারের গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের ধারণার তুলনায় অনেক বেশি পানি আছে। আর তা সর্বত্র নয়, বরং নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় জমে রয়েছে। গত শুক্রবার নাসার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গবেষকরা বলেন, চাঁদে কিভাবে পানিগুলো আটকে আছে আর কোন অবস্থায় আছে, নতুন করে পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো এ প্রশ্নের সমাধান দেবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের নাসার কোন মিশনে চাঁদের ওই পানি কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তাও জানা যাবে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আগের গবেষণাগুলোতে দেখা যায়, চাঁদের পানিগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে বরফাকারে আটকে আছে। শুধু তাই নয়, পানির পরিমাণও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে নতুন গবেষণা পুরোনো অনেক থিউরির পুরোপুরি পাল্টা মত দিচ্ছে। জানা গেছে, ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ নামের একটি জার্নালে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক জশোয়া ব্যান্ডফিল্ড বলেন, চাঁদে পানি আছে সেটা সবসময় প্রমাণিত ছিলো। তবে চাঁদে কিভাবে পানি গেল এ বিষয়টি নিয়েও এখনও বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। গবেষকদের একটি অংশ মনে করে, পানির অনুগুলো সৃষ্টি হয়েছে সৌর বায়ুর মাধ্যমে। চার্জযুক্ত কণার তরঙ্গের মধ্য দিয়ে সূর্য থেকে চাঁদ পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। এতে চাঁদে পানি জমেছে। গবেষকদের আরেকটি দল মনে করেন, শতকোটি বছর আগে চাঁদের সৃষ্টির সময়-ই চাঁদে পানি সংরক্ষিত ছিল। এদিকে চাঁদের পানিকে জ্যোতির্বিদদের জন্য পানীয় করে তোলা যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নাসার বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই না, এ লক্ষ্যে চাঁদের পানি ব্যবহারযোগ্য কি না, তা যাচাইয়ের জন্য কাজ চালিয়েছে গবেষকরা। এদিকে হাইড্রোজেন রকেটের জ্বালানি হিসেবে চাঁদের পানিকে কাজে লাগানো যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়েও কাজ করছে তারা।