ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁদের মাটিতে রেসিং কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
আজকের দিনে অটো রেসিং বা দ্রুতবেগে গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা খুব জনপ্রিয় স্পোর্টস। এই জনপ্রিয় খেলাটি পৃথিবী ছেড়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার (২ লাখ ৩৯ হাজার মাইল) দূরে চাঁদে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মুনমার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ‘নোভা-সিল্যান্ডার’ মহাকাশযানে রেসিং কার দুটি এ বছর অক্টোবরে চাঁদে পৌঁছাবে। এরপর একদিন অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পৃথিবীর বাইরে জনমানবহীন চাঁদে এমন প্রতিযোগিতা। তবে উন্নত প্রযুক্তিতে ঠাসা চার চাকার এমন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং চালানো হবে পৃথিবী থেকে। প্রতিটি গাড়ির ওজন আড়াই কেজি (সাড়ে পাঁচ পাউন্ড)। গাড়ি দুটি ঠিকঠাক চাঁদের মাটিতে স্থাপনের জন্য আরেকটি তিন কেজি (৬.৬ পাউন্ড) ওজনের যন্ত্র থাকবে সঙ্গে। মোট আট কেজি অর্থাৎ ১৭.৬ পাউন্ড ওজন মোটেও কম কথা নয়। কারণ পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছাতে প্রতি কেজি ওজনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে তা ১০ কোটি টাকারও বেশি! মজার ব্যাপার হলো, এই গাড়ির নকশা করছে ছয়টি মাধ্যমিক স্কুলের কিশোর শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে থেকে বাছাই করা মাত্র দুটি গাড়ি চাঁদে পৌঁছাবে এবং সেখানে প্রতিযোগিতা করবে। এই গাড়িতে থাকবে অত্যাধুনিক ক্যামেরা যা প্রতিটি মুহূর্তের অত্যন্ত নিখুঁত ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে। ফলে পূর্ব নির্ধারিত ট্র্যাকে গাড়ি দুটি যখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে দ্রুতবেগে ছুটতে থাকবে, সেসময় পৃথিবীতে নিজের ঘরে বসে আরাম করে সে দৃশ্য উপভোগ করা যাবে!

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চাঁদের মাটিতে রেসিং কার

আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

প্রযুক্তি প্রতিবেদন:
আজকের দিনে অটো রেসিং বা দ্রুতবেগে গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা খুব জনপ্রিয় স্পোর্টস। এই জনপ্রিয় খেলাটি পৃথিবী ছেড়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার (২ লাখ ৩৯ হাজার মাইল) দূরে চাঁদে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মুনমার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ‘নোভা-সিল্যান্ডার’ মহাকাশযানে রেসিং কার দুটি এ বছর অক্টোবরে চাঁদে পৌঁছাবে। এরপর একদিন অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পৃথিবীর বাইরে জনমানবহীন চাঁদে এমন প্রতিযোগিতা। তবে উন্নত প্রযুক্তিতে ঠাসা চার চাকার এমন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং চালানো হবে পৃথিবী থেকে। প্রতিটি গাড়ির ওজন আড়াই কেজি (সাড়ে পাঁচ পাউন্ড)। গাড়ি দুটি ঠিকঠাক চাঁদের মাটিতে স্থাপনের জন্য আরেকটি তিন কেজি (৬.৬ পাউন্ড) ওজনের যন্ত্র থাকবে সঙ্গে। মোট আট কেজি অর্থাৎ ১৭.৬ পাউন্ড ওজন মোটেও কম কথা নয়। কারণ পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছাতে প্রতি কেজি ওজনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে তা ১০ কোটি টাকারও বেশি! মজার ব্যাপার হলো, এই গাড়ির নকশা করছে ছয়টি মাধ্যমিক স্কুলের কিশোর শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে থেকে বাছাই করা মাত্র দুটি গাড়ি চাঁদে পৌঁছাবে এবং সেখানে প্রতিযোগিতা করবে। এই গাড়িতে থাকবে অত্যাধুনিক ক্যামেরা যা প্রতিটি মুহূর্তের অত্যন্ত নিখুঁত ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে। ফলে পূর্ব নির্ধারিত ট্র্যাকে গাড়ি দুটি যখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে দ্রুতবেগে ছুটতে থাকবে, সেসময় পৃথিবীতে নিজের ঘরে বসে আরাম করে সে দৃশ্য উপভোগ করা যাবে!